তাপমাত্রা কমে তীব্র শীতে কাঁপছে গোটা কুড়িগ্রাম। শীতের তীব্র প্রভাব পড়েছে জনজীবনে। হাড় কাঁপানো ঠান্ডায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। ঘন কুয়াশায় আচ্ছাদিত হয়ে পড়েছে পথঘাট ও প্রকৃতি। শীত ও কুয়াশার দাপটে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষরা।
গত পাঁচ দিন ধরে সূর্যের দেখা না মেলায় হিমেল বাতাসে দিনের বেলাতেও তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে ঠান্ডায় অনেকেই ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। বিশেষ করে শীত ও কুয়াশার দাপটে ভোগান্তিতে পড়েছে জেলার ১৬টি নদ-নদীর তীরবর্তী তিন শতাধিক চরের কয়েক লাখ মানুষ।
ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে মানুষ কাজে বের হতে পারছেন না। দিনমজুর, নৌকার মাঝি, কৃষি শ্রমিক রিকশা ও ভ্যান চালকদের আয় প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কাজ না থাকায় অনেকই পরিবার পরিজন নিয়ে খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবনযাপন যাপন করছেন।
আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করেছে কুড়িগ্রামের বাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
কুড়িগ্রামে সিভিল সার্জন ডা. স্বপন কুমার বিশ্বাস জানান, শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টের ঝুঁকি বেড়েছে। শীতজনিত রোগ প্রতিরোধে গরম কাপড় ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় সতর্কতা জরুরি।
শীতের এই প্রকোপে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ— যাদের জীবনে প্রতিটি দিনই সংগ্রামের, আর এই শীতে সেই সংগ্রাম আরও কঠিন হয়ে উঠেছে।
কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র বলেন, বৃহস্পতিবার জেলায় সকাল ৬টায় ১১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
’সময়ের কন্ঠস্বরের মাধ্যমে কুড়িগ্রামের শীতার্ত অসহায় মানুষজনের পাশে দাড়াতে চাইলে যোগাযোগ- ০১৭১৩২০০০৯১।
এফএস