ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত ২ সহায়তাকারী ভারতের মেঘালয় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সন্মেলনে এসব জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) এস এন মো. নজরুল ইসলাম।
এর আগে, ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যার মূলে যারা জড়িত, তাদের প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা উন্মোচন করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী।
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবস্থান কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার জানান, এটি একটি রহস্যজনক হত্যাকাণ্ড। এর পেছনে অনেকে জড়িত থাকার কথা। আমরা এ পর্যন্ত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছি। হত্যাকাণ্ডের পেছনে যারা জড়িত তা উদঘাটনে জোর চেষ্টা চালাচ্ছি। হত্যাকাণ্ডের পেছনে-মূলে যারা রয়েছেন, তাদের প্রত্যেকের নাম-ঠিকানা উন্মোচিত করে দেবো।
তিনি আরও বলেন, হাদিকে গুলির ঘটনায় যে দুটি পিস্তল ব্যবহার করা হয়, সে দুটি পিস্তল উদ্ধার করা হয়েছে। পিস্তল দুটি সায়েন্টিফিক পরীক্ষার জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। যে মোটরসাইকেল ব্যবহার করা হয়েছে সেটি ডিবি পুলিশ উদ্ধার করেছে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় দিনেদুপুরে ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। ১৮ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে সর্বস্তরের মানুষ।