এইমাত্র
  • মেঘনা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার
  • যে বুট পায়ে ২০২৬ বিশ্বকাপ মাতাবেন মেসি
  • দর্শনায় ১৪ ভারতীয়কে পুশব্যাক
  • কক্সবাজার-১ আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন সালাউদ্দিন আহমদ
  • ভোলায় ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৩, আহত ৩
  • যুব বিশ্বকাপের দল ঘোষণা ভারতের
  • দল ছাড়লেন এনসিপির আরেক নেতা
  • জীবননগরে শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি ফিরেছে বাজারে
  • ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রথম নারী এমডি নুজহাত আনোয়ার
  • ২১ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে বড় ব্যর্থতা, নকশার ত্রুটি, নেই মোবাইল নেটওয়ার্ক
  • আজ রবিবার, ১৪ পৌষ, ১৪৩২ | ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ‘ত্যাগের মূল্যায়ন হয়নি’

    টানা ৪৩ বছরের রাজনীতিতে ইতি টানার ঘোষণা শাহীনের

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম
    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

    টানা ৪৩ বছরের রাজনীতিতে ইতি টানার ঘোষণা শাহীনের

    রবিউল আউয়াল, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:২৬ পিএম

    টানা ৪৩ বছরের রাজনৈতিক জীবনের ইতি টানার ঘোষণা দিয়েছেন ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন। দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ার ক্ষোভ থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একই সঙ্গে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়ার ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

    রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন বলেন, “দলীয় মনোনয়ন না পাওয়ায় ৪৩ বছরের রাজনীতি ছাড়লাম।” এরপর তিনি তার দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলার নানা অধ্যায়ের কথা তুলে ধরেন।

    লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ফজলুল হক হলের নির্বাচিত প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তার যাত্রা শুরু। এরপর চার দশকের বেশি সময় ধরে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।

    তিনি বলেন, এক-এগারোর সংকটকালীন টেলিভিশনের টকশোসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে দলের পক্ষে অবস্থান নেওয়া ছিল ঝুঁকিপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামে অংশ নিতে গিয়ে তাকে একাধিকবার জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে।

    শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন জানান, ২০০১ সালে বিএনপির মনোনয়ন পেয়ে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও সে সময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। ২০১৪ সালে বিএনপি নির্বাচনে অংশ না নেওয়ায় তিনি প্রার্থী হননি। ২০১৮ সালে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পেলেও জোটগত সিদ্ধান্তের কারণে শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন থেকে বঞ্চিত হন।

    তিনি আরও বলেন, দলীয় সংকটের সময়েও তিনি নেতাকর্মীদের সংগঠিত রেখে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের পক্ষ থেকে তার দীর্ঘ রাজনৈতিক ত্যাগ ও অবদানের মূল্যায়ন হবে—এমন প্রত্যাশা ছিল তার। তবে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত একাধিক মনোনয়ন রদবদল হলেও তার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় তিনি বিএনপি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

    সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এ বিষয়ে পদত্যাগপত্র বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবর ডাকযোগে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি তিনি স্পষ্ট করে বলেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে অংশ নেবেন।

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন বলেন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে তাঁকে মনোনয়ন নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। তবে এখনো অন্য কোনো দলে যোগ দেওয়া বা সেখান থেকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি।

    উল্লেখ্য, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক লুৎফুল্লাহেল মাজেদ। অন্যদিকে, শাহ্ নূরুল কবীর শাহীন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে গত ১৮ ডিসেম্বর সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন।

    ইখা

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…