শীতকালীন সবজিতে স্বস্তি ফিরেছে চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের বাজারে। শীতকালীন বিভিন্ন তরতাজা সবজিতে বাজার ভরে গেছে। সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দামও অনেক কম। নাগালের মধ্যে সব ধরনের সবজি ক্রয় করতে পেরে ক্রেতাদের মুখে স্বস্থির হাসি ফুটেছে।
দুই সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন সবজির দাম অর্ধেকের বেশি কমে এসেছে। শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বেড়ে গেছে। যার কারনে দামও কমে গেছে।
তীব্র শীতে সবজিতে রোগবালাই কম হয় ও উৎপাদন অনেক বেড়ে যায়। যার কারনে কৃষকেরা অল্প দামেই সবজি বিক্রি করে দিচ্ছেন।
বাজারে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফুলকপি আকার অনুযায়ী ৫-১০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে। বাধাঁ কপি ১৫ টাকা পিস, বেগুন প্রতি কেজি ২০ টাকা, টমেটো ৪০ টাকা কেজি, সিম ১০-১৫ টাকা কেজি, মুলা ২০ টাকা কেজি, কাঁচা মরিচ ৫০-৬০ টাকা কেজি, গাজর ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসায় দাম অর্ধেক কমে গিয়ে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রসুনের কেজি কমে দাঁড়িয়েছে ৬০ টাকা। বাজারে নতুন আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি। পুরাতন আলু বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা কেজি দরে।
বাজারে কমেছে লালশাক, পালংশাক, ছোলারশাক ও ধনিয়া পাতার দাম। পেঁয়াজের কালি বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা আটি।
তবে শশা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, পেঁপে, বরবটি, কাঁচকলাসহ কিছু সবজির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এ ছাড়াও মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পুকুরে চাষ করা মাছগুলো কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা কমেছে। তেলাপিয়া ও পোনামাছ ১৭০-১৮০ টাকা থেকে কমে ১৪০-১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভারকার্প মাছের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। তবে দেশি প্রজাতির মাছ ও পাঙ্গাশ মাছের দামের পরিবর্তন হয়নি।
ক্রেতা মসলেম আলী জানান, গত কয়েকদিন আগে বাজার করতে এসে টাকা ফুরিয়ে গেলেও বাজারের ব্যাগ বোঝাই হতো না। এখন বাজারের সব সবজির দাম অনেকটা কমে গেছে। ১০০ টাকার মধ্যে পছন্দ মত সব সবজি কিনে বাড়ি নিয়ে যাচ্ছি।
সজিব হোসেন নামের আরেক ক্রেতা বলেন, বাজার করতে এসে এখন খুব ভালো লাগছে। গত কয়েকদিন আগের তুলনায় দাম অর্ধেকেরও বেশি কমে গেছে। অল্প টাকায় টাটকা সবজি কিনতে পারছি।
বিক্রেতারা বলছেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সবজির সরবরাহ চাহিদার তুলনায় অনেক বেড়েছে। এতে সবজির দাম অনেক কমেছে। যার কারনে ক্রেতারা হাসিমুখে বাজার করছে। আগামী কয়েক সপ্তাহ দাম এমন স্থিতিশীল থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।
ইখা