ঢাকা থেকে বরিশালের মুলাদীগামী যাত্রীবাহী এমভি মহারাজ-৭ লঞ্চ মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে। দুর্ঘটনায় লঞ্চের দোতলার বাম পাশের একটি অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে কমপক্ষে ১০ যাত্রী আহত হয়েছে।
রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে লঞ্চের স্টাফ জাকির হোসেন খান জানিয়েছেন, ঘণকুয়াশার কারণে এমভি মহারাজ-৭ লঞ্চটি চাঁদপুর পার হয়ে মুলাদীর উদ্দেশ্যে আসার সময় সকাল নয়টার দিকে আলু বাজার নামক এলাকায় মেঘনা নদীতে দুর্ঘটনার কবলে পরে।
লঞ্চের যাত্রী আবু বক্কর ছিদ্দিক জানিয়েছেন, নদীর তীরের কাছাকাছি একটি মালবাহী জাহাজ নোঙর করাছিলো। ঘণকুয়াশার কারণে লঞ্চের চালক সেটি দেখতে না পাওয়ায় স্বজোরে ধাক্কা লাগে।
এতে লঞ্চের দোতলার পাশের প্রায় ৩০ ফুট অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিনি আরও জানিয়েছেন-দুর্ঘটনায় জিহাদ হোসেন নামের এক শিশু মাথায় মারাত্মক আঘাত প্রাপ্ত হয়। এছাড়া আবুল কালাম, রহমতউল্লাহ, রাসেদ সরদারসহ প্রায় ১০ জন যাত্রী আহত হয়। পরে লঞ্জের দোতলায় থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে নিচ তলায় নিরাপদস্থানে চলে আসে। দুর্ঘটনার পর কিছুক্ষণ বিরতি দিয়ে পুনরায় লঞ্চটি যাত্রা শুরু করে বেলা বারোটার দিকে মুলাদীতে এসে পৌঁছেছে।
লঞ্চের মাস্টার মো. মনিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ঘণকুয়াশার কারণে মেঘনার কাছিকাটা এলাকায় রাত দুইটা থেকে এমভি মহারাজ-৭ লঞ্চ নোঙর করাছিলো। সকাল সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে মুলাদীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলে ছোট একটি কার্গো জাহাজের মাসতুল লঞ্চের মাঝ বরাবর আঘাত করে। এতে লঞ্চের দোতলার দুইটি টেক্সিন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ঘণ কুয়াশায় চাঁদপুরের হাইমচর এলাকার মেঘনা নদীতে যাত্রীবাহী দুটি লঞ্চের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছে। একইদিন পৃথকভাবে আরো ১২টি নৌ-যান দুর্ঘটনায় আরো দুইজন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
পিএম