হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের কার্যালয় পরিদর্শন করেছেন নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম. সাখাওয়াত হোসেন।
এ সময় তিনি বলেন, পক্ষে-বিপক্ষে মতভেদ থাকবে— এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে সহিংসতা ও হামলা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এটি একটি অত্যন্ত দুঃখজনক ঘটনা।
আজ রবিবার (২৮ ডিসেম্বর) গণমাধ্যম দুটির ক্ষতিগ্রস্ত ভবন পরিদর্শন করেন তিনি। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামো ঘুরে দেখেন এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, গণমাধ্যম সম্পূর্ণ স্বাধীন হওয়া উচিত। মিডিয়ার ওপর সরকার কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করে না। মিডিয়া হচ্ছে সরকারের চোখ। সরকার ও গণমাধ্যমকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে কাজ করতে হবে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।
দেশ গঠনে গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মিডিয়া সত্য তুলে ধরবে— এটাই জনগণের প্রত্যাশা। ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। আগামী সরকার অবশ্যই অতীত থেকে শিক্ষা নেবে এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ বজায় রাখবে।
উপদেষ্টা বলেন, এতো বড় একটি দুর্ঘটনার পরও মাত্র এক দিনের মধ্যে পত্রিকা প্রকাশের সক্ষমতা একটি বিরাট সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয়। এ সময় তিনি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দৃঢ়তার প্রশংসা করেন।
তিনি জানান, গণমাধ্যমের সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে।
পরিদর্শন শেষে নৌপরিবহন উপদেষ্টা ক্ষতিগ্রস্ত গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করেন এবং বলেন, গণমাধ্যম ঘুরে দাঁড়াবে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বজায় থাকবে।
পরিদর্শনকালে ডেইলি স্টারের উপদেষ্টা সম্পাদক কামাল আহমেদ, প্রথম আলো পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফসহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তা ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এইচএ