এইমাত্র
  • তীব্র গরম সহসাই কমছে না, তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে
  • চাকরি ছাড়লেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ৫৭ কর্মকর্তা
  • লক্ষ্মীপুরে গরমে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়া, ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ রোগি ভর্তি
  • জয় চৌধুরীকে আজীবনের জন্য বয়কট করলো সাংবাদিকরা
  • তীব্র তাপদাহে রাতের আঁধারে ধান কাটছে কৃষক
  • ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
  • সিরাজগঞ্জে মেলায় জাদু খেলার নামে অশ্লীল নৃত্য, আটক ৫
  • জয়পুরহাটে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজ আদায়
  • আরও তিনদিনের জন্য হিট অ্যালার্ট জারি
  • ফুলবাড়ীতে বৃষ্টির জন্য ইসতিসকার নামাজে কাঁদলেন হাজারো মুসল্লি
  • আজ বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
    জাতীয়

    মির্জা ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: ওবায়দুল কাদের

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম
    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম

    মির্জা ফখরুলের বক্তব্য আদালত অবমাননার শামিল: ওবায়দুল কাদের

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ৩১ মে ২০২৩, ০৬:০৫ পিএম

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ফরমায়েশি বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের আইন ও আদালত অবমাননার শামিল বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

    বুধবার (৩১ মে) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে এ বিবৃতি দেন তিনি।

    ওবায়দুল কাদের জানান, দুর্নীতির মামলায় ইতোপূর্বে বিএনপির দুই নেতাকে নিম্ন আদালতের দেয়া সাজা বহাল রেখে দেশের উচ্চ আদালত যে রায় দিয়েছে, সে সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য দেশবাসীকে হতাশ করেছে।

    তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তা দেশের আইন ও পবিত্র আদালত অবমাননার শামিল। বিএনপির এই দুই নেতার আজকের পরিণতি তাদের ধারাবাহিক অপরাজনীতিরই ফসল।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি-জামাত জোট শাসনমালে হাওয়া ভবন খুলে তারা দুর্নীতি ও লুটপাটের মহোৎসবে মেতে উঠেছিল, যার পরিণতিতে বাংলাদেশ দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। সেসময় হাওয়া ভবনের কর্ণধার জিয়াপুত্র তারেক রহমানের দুর্নীতির খতিয়ান বিশ্ব গণমাধ্যম ও বিশ্বখ্যাত গোপন নথি প্রকাশকারী সংস্থা উইকিলিকস-এ বিস্তারিত প্রকাশিত হয়েছে।

    তিনি বলেন, সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির দুই নেতার দুর্নীতির মামলার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের কোনো যোগসূত্র নেই। ২০০৭ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে এবং তাদের অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ার পর নিম্ন আদালত শাস্তিমূলক রায় দেয়। প্রায় ১৬ বছর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে আদালত তাদের সাজা দিয়েছে।

    আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশের পবিত্র সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান, কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। যার কারণে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী, এমপি ও গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও আইন ও বিচারের মুখোমুখি হয়েছেন। এমনকি বিশ্বজিৎ হত্যাকাণ্ড এবং বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার হত্যা মামলায়ও ছাত্রলীগের নেতারা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ভোগ করছেন।

    তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশের বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে স্বাধীন বিচারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিএনপিই বিচারব্যবস্থাকে দলীয়করণ করেছিল।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা খুনি জিয়াউর রহমান ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করার মধ্য দিয়ে পবিত্র সংবিধানকে কলঙ্কিত করেন। মূলত জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে বিচারহীনতার অপসংস্কৃতি চালু করে। অন্যদিকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে দেশে আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।

    তিনি বলেন, বিএনপি দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে তাদের দলীয় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করেছে এবং দলের চিহ্নিত শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের সুরক্ষা দিয়েছে। অনুরূপভাবে তারা বিজ্ঞ আদালতের রায়কে ‘ফরমায়েশি রায়’ বলে দেশের উচ্চ আদালত এবং পবিত্র সংবিধানকে অবমাননা করেছে।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…