এইমাত্র
  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার অভিযোগ
  • জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কমিটি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
  • প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে পাঠাবে সরকার
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ছিনতাইকারীর দখলে কক্সবাজারের অন্ধকার রাস্তা!

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম
    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

    ছিনতাইকারীর দখলে কক্সবাজারের অন্ধকার রাস্তা!

    শাহীন মাহমুদ রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (কক্সবাজার) প্রকাশ: ৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম

    সন্ধ্যা নামলেই পর্যটন শহর কক্সবাজারে নেমে আসে ঘুটঘুটে অন্ধকার। নির্দিষ্ট দূরত্বের পর পর ল্যাম্প পোস্ট গুলো এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও জ্বলে না বাতি। আর এই অন্ধকারের সুযোগ নিয়েই শহর দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ছিনতাইকারীরা।

    কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে হলিডের মোড় হয়ে কলাতলী থেকে বাসটার্মিনাল পর্যন্ত সড়কটি নতুন করে সাজানো হয়েছে। এর মধ্যে শহরের জাম্বুর মোড় থেকে কলাতলী ঘুরে বাসটার্মিনাল হয়ে হাশেমিয়া মাদ্রাসা পর্যন্ত সড়কটি চারলেইন করে মাঝখানে ডিভাইডার দিয়ে ল্যাম্পপোষ্ট স্থাপন করা হয়েছে। তবে ল্যাম্পপোষ্ট থাকলেও বেশির ভাগ

    সড়কে বাতিই জ্বলে না। তবে বিজিবি ক্যাম্পের মধ্যবর্তী স্থান আমতলা এলাকার দুপাশে দোকানপাট ঘরবাড়ি না থাকায় এবং সড়ক বাতি না জ্বলার কারণে এই এলাকাতেই সবচেয়ে বেশী ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে।

    জানা গেছে, গত ২ বছরে আলোচিত ছিনতাই আর খুনের ঘটনা ঘটেছে শতাধিক। দিনের পর দিন রাতের অন্ধকারে সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে শহরবাসীকে। এছাড়া, রাতে প্রধান সড়কে ল্যাম্প পোস্টের বাতি যেমন থাকে না,তেমনই ওইসব সড়কে দেখা মেলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের টহল। এরপরেও সড়কে অন্ধকারের সুযোগ নেয় ছিনতাইকারীরা।

    অনেকেই ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে টাকা, গহনা, মোবাইল ফোনসহ মূল্যবান জিনিসপত্র খোয়াচ্ছেন। অনেকেই হারিয়েছেন স্বজনের স্বজন। শহরবাসী মনে করেন, এসব অপরাধ দমনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে।

    তবে ঝিলংজা বিএডিসি এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সদর থানা পুলিশের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আপনার মতো আমরাও দেখতে পাচ্ছি টার্মিনাল থেকে আমতলা রোডলাইট আছে আলো নেই। মাঝেমধ্যে জ্বলে আবার মাঝেমধ্য জ্বলে না। অন্ধকারের কারণে চুরি-ছিনতাই যেন না হয়, সেজন্য আমরা দায়িত্বে রয়েছি।

    বিজিবি ক্যাম্প চৌধুরি পাড়া এলাকার সাঈদ হোসেন বলেন, পাশের গলিতেই আমার বাসা। জরুরি কাজে ঢাকা যেতে হচ্ছে। বাসা থেকে বাসটার্মিলে আসতে পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথ। এ পর্যন্ত আসতে সড়কে রোডলাইট থাকলে আলো জ্বলতে দেখলাম না । অন্ধকারে অটোর(টমটম) জন্য দাঁড়িয়ে আছি। ভয় লাগছে,কখন কী হয়ে যায়।

    টার্মিনাল এলাকার অটো (টমটম) চালক নুরুল আলম বলেন, বয়স তো প্রায় শেষ। পেটের দায়ে টমটম চালাই । রাত হলে এই সড়কে ভাড়া নিয়ে যেতে ভয় হয় কারণ অতীতে অনেক ড্রাইভার ছিনতায়ের শিকার হয়েছে। যদিও রাস্তা চার লেন হবার পর আগের তুলনায় অনেক কমেছে এরপরেও আতঙ্কে থাকি।

    এই বিষয়ে জানতে চাইলে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহে আরেফীন বলেন, পুরো ৯ কিলোমিটার সড়কের কাজ শেষ,শেষের ১ কিলোমিটার (রেল ক্রসিং) রেল লাইনের কাজ করার কারণে বারবার বিঘ্ন ঘটছে। তিন চারবার এই সড়ক বাতি ঠিকও করা হয়েছে। সরকারী অর্থ অপচয় রোধে এটি বন্ধ রাখতে হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ সমস্যা সমাধানের কথা জানান এই কর্মকর্তা।

    কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি মাঝে মধ্যেই শহর ঘুরে ঘুরে দেখি। অনেকবারই দেখেছি সন্ধ্যা হলেই শহরের কিছু এলাকার সড়ক বাতি জ্বলেনা। অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় চারপাশ। আর এই সুযোগটাই কাজে লাগায় অপরাধীরা। যদি শহরের সড়কবাতি ঠিকমত জ্বলে তবে অপরাধ অনেকাংশে কমে যাবে। সড়ক বাতি গুলো জ্বলানোর ব্যবস্থা করতে আমি কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব।

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…