এইমাত্র
  • তিন সমন্বয়কের খোঁজে ডিবি কার্যালয়ে ১২ শিক্ষক, দেখা দিলেন না হারুন
  • সব হত্যাকাণ্ডের দায় নিয়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি ফখরুলের
  • যারা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে তাদের রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে বিচারের দাবি
  • রংপুরে পৃথক দুর্ঘটনায় বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
  • কলেজছাত্রীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করায় লজ্জায় আত্মহত্যা
  • তালেবানের চোখ এড়িয়ে অলিম্পিকে মানিজা
  • পর্যটকদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ শহরের তালিকায় শীর্ষ দশে ঢাকা
  • বাংলাদেশের জনগণ সহিংসতার শিকার হওয়ায় আমরা মর্মাহত: কানাডা হাইকমিশন
  • দুর্নীতির অভিযোগে রাশিয়ার সাবেক উপপ্রতিরক্ষা মন্ত্রী গ্রেপ্তার
  • সারাদেশে ৫৫০ মামলায় গ্রেপ্তার ৬ হাজারের বেশি
  • আজ শনিবার, ১২ শ্রাবণ, ১৪৩১ | ২৭ জুলাই, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    মমতাজের বছরে আয় সাড়ে ৪৯ লাখ টাকা

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১০ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১০ পিএম

    মমতাজের বছরে আয় সাড়ে ৪৯ লাখ টাকা

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১:১০ পিএম

    মানিকগঞ্জ-২ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে দলটির প্রার্থী শিল্পী মমতাজ বেগমের আয় গত পাঁচ বছরে বেড়েছে। কমেছে ঋণের পরিমাণ। এছাড়া, দুটি ফৌজদারি মামলার আসামিও তিনি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইসিতে দাখিল করা হলফনামায় তার আয়-ব্যয় সংক্রান্ত তথ্য বিবরণী বিশ্লেষণ করে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া হলফনামার তথ্য অনুযায়ী, ৫ বছরে মমতাজ বেগমের আয় বেড়েছে প্রায় ২৮ শতাংশ। বছরে তার আয় এখন ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেয়া হলফনামায় যা ছিল ৩৮ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৬ টাকা।

    অন্যদিকে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামার তথ্য অনুযায়ী- মমতাজ বেগমের আয় ছিল ৭৯ লাখ ২৬ হাজার ৮৩৪ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাতে ৭০ হাজার, ব্যবসা থেকে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৯৫৩ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৩০ লাখ, তার পেশা থেকে ৩ লাখ ৩০ হাজার আর অন্যান্য থেকে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৮৮১ টাকা আয় দেখিয়ে ছিলেন মমতাজ। তবে সে সময় বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট অথবা দোকান বা অন্যান্য এই খাতে কোনো আয়ই ছিল না মমতাজ বেগমের।

    বর্তমানে বিভিন্ন খাত থেকে মমতাজ বেগমের বার্ষিক আয় ৪৯ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৮ টাকা। এর মধ্যে কৃষি খাত থেকে ৩ লাখ টাকা, বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট অথবা দোকান ভাড়া থেকে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৭ টাকা, শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত থেকে ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৮৫১ টাকা, পেশা থেকে ৭ লাখ টাকা, সংসদ সদস্য ভাতা ৬ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও আনুষঙ্গিক পারিতোষিক বাবদ ১৬ লাখ ৫৮ হাজার টাকা আয় করেন তিনি।

    অস্থাবর সম্পত্তি হিসেবে মমতাজ বেগমের হাতে আছে নগদ ৫ লাখ টাকা, তার স্বামীর নামেও নগদ অর্থ আছে ৫ লাখ টাকা। আর একাদশ জাতীয় নির্বাচনের হলফনামাও তার নগদ টাকা ছিল ৫ লাখ আর তার স্বামী ডা. মঈন হাসানের নামে ছিল ২ লাখ। কিন্তু ২০১৪ সালের দশম জাতীয় নির্বাচনে নিজের নগদ অর্থ ছিল ২ লাখ ২০ হাজার টাকা আর স্বামীর নামে কোনো টাকাই ছিল না।

    ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তার জমা অর্থের পরিমাণ ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ২১৮ টাকা। স্বামীর নামে ১৮ লাখ। যা ২০১৮ সালের নির্বাচনের হলফনামায় ছিল ৮৬ লাখ ৯৯ হাজার ১৯৭ টাকা এবং ২০১৪ সালের হলফনামায় ছিল ৩০ লাখ টাকা এবং স্বামীর নামে ছিল ২০ লাখ টাকা। মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজ লিমিটেডের ৩ কোটি ৫০ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের শেয়ার আছে তার। সঞ্চয়পত্র আছে ৪৫ লাখ টাকার।

    মমতাজ বেগমের নামে গাড়ি আছে তিনটি। ল্যান্ডক্রুজার নামে একটি গাড়ির দাম ১ কোটি ৩ লাখ ১২ হাজর ৫০০ টাকা। এ ছাড়া ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮ মডেলের গাড়ির দাম ৪৬ লাখ ২০ হাজার টাকা এবং ২৮ লাখ টাকা মূল্যের টয়োটা হাইয়েস আছে। আর স্বামীর ৮ লাখ টাকা মূল্যের একটি ১৩০০ সিসি ফান কার্গো গাড়ি রয়েছে। আর ২০১৪ সালের হলফনামায় তার স্বামীর নামে কোনো গাড়ি দেখাননি তিনি। নির্ভরশীলদের নামে মধু উজালা কোল্ড স্টোরেজের শেয়ার আছে ৬৫ লাখ ৭৬ হাজার টাকার।

    কৃষি জমি না বাড়লেও ৫ বছরে মমতাজের ৭০০ শতাংশ অকৃষি জমি কমেছে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে হলফনামা অনুযায়ী তার অকৃষি জমি ছিল ১২০০ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫০০ শতাংশে। আর ২০১৪ সালের হলফনামা অনুযায়ী অকৃষি জামির পরিমাণ ছিল ৫ কাটা, যার মূল্য ছিল ৫ কোটি টাকা। মহাখালীতে ৫ তলা বিশিষ্টি একটি বাড়ি রয়েছে তার যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৮ হাজার ৫০০ টাকা আর সিংগাইরের জয়মন্টপ এলাকায় ২ তলা বিশিষ্ট একটি বাড়ি আছে মমতাজের। যার মূল্য দেখানো হয়েছে ৫৭ লাখ ৫ হাজার ৪৪০ টাকা। অন্যদিকে ২০১৪ সালের হলফনামা অনুযায়ী তার নিজ নামে কোনো বাড়ির তথ্য ছিল না। তবে নিজ নামে একটি কোল্ড স্টোরেজ ছিল, যার মূল্য ছিল ৯০ লাখ টাকা।

    হলফনামায় নিজের পরিচয়ে মৃত বাবার নাম উল্লেখ থাকলেও মমতাজের স্বামীর নামে নগদ ৫ লাখ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা ১৮ লাখ টাকা এবং ১৩০০ সিসি ফান কার্গো নামে একটি গাড়ি দেখানো হয়েছে। গাড়িটির মূল্য ৮ লাখ টাকা।

    ৫ বছরে প্রায় ৫২ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ঋণের পরিমাণ কমেছে মমতাজের। ২০১৮ সালে মমতাজের ব্যাংক ঋণ ছিল ৩ কোটি ৩৪ লাখ ১১ হাজার ৪৬৪ টাকা। ২০২৩ সালের হলফনামায় ব্যাংক ঋণ দেখানো হয়েছে ২ কোটি ৮১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা। আর ২০১৪ সালের হলফনামায় ব্যক্তিগত ঋণ দেখিয়ে ছিলেন ৪০ লাখ টাকা। ভারতের বহরমপুর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতে এবং কলকাতার হাইকোর্টে মমতাজের বিরুদ্ধে দুটি ফৌজদারি মামলা চলমান আছে।

    মমতাজ বেগম এবারের হলফনামায় তার স্বর্ণের পরিমাণ দেখিয়েছেন ৫০ তোলা, যার মূল্য ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। ২০১৮ ও ২০১৪ সালের হলফনামায় স্বার্ণের পরিমাণ দেখানো হয়েছিল ৩৫ ভরি, যার মূল্য দেখানো হয়েছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…