এইমাত্র
  • অবশেষে নামলো স্বস্তির বৃষ্টি
  • বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিল ভারত
  • একে একে মারা গেলেন পরিবারের ৬ সদস্যই
  • ১১ মের মধ্যে এসএসসির ফলাফল প্রকাশ
  • নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালে বহিষ্কৃতদের ‌ক্ষমার ঘোষণা বিএনপির
  • মির্জাপুরে বৃষ্টি প্রার্থনায় অঝোরে কাঁদলেন মুসল্লিরা
  • এবার গাজায় তীব্র গরমে শিশুর মৃত্যু
  • শাহজাদপুরে গলায় ফাঁস নিয়ে কিশোরীর আত্মহত্যা
  • আবারও কমলো সোনার দাম
  • আবাসিক হোটেলে অভিযান, নারীসহ আটক ৭
  • আজ রবিবার, ১৪ বৈশাখ, ১৪৩১ | ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    নাটোরে ঘুষ না দেওয়ায় ৬ শিক্ষকের বেতন বন্ধ!

    মেহেদী হাসান তানিম, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১ পিএম
    মেহেদী হাসান তানিম, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১ পিএম

    নাটোরে ঘুষ না দেওয়ায় ৬ শিক্ষকের বেতন বন্ধ!

    মেহেদী হাসান তানিম, নাটোর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০২৪, ১১:৩১ পিএম

    নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার বিল চলন শহীদ সামসুজ্জোহা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে উৎকোচ না দেওয়ায় ছয় শিক্ষকের বেতন বন্ধ রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। কলেজটির অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক শিক্ষকদের বেতনের চাহিদা পত্র সময়মত না পাঠানোর কারণে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন তাঁরা। বেতন না পাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন তারা। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে শিক্ষামন্ত্রী, শিক্ষা সচিব এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষকরা।

    অভিযোগকারী ও ভুক্তভোগী চার শিক্ষক জানান, ২০১৬ সালে কলেজটি সরকারিকরণের পর ২০১৯ সাল থেকে কর্মরতরা বেতন ভাতা পাওয়া শুরু করেন। তবে বিষয় অধিভুক্ত না হওয়ায় অনার্সের ৭ জন শিক্ষক তখন বেতন পাননি। পরবর্তীতে গত বছরের ২৭শে জুলাই সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে দিয়ে তাদেরকে বেতনের আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে গণিতের প্রভাষক প্রশান্ত কুমার বেতন পেলেও বাকী ৬জন বেতন পাননি। ৬জনের মধ্যে ৪জন অভিযোগকারী মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ, প্রভাষক শামসুল আলম, ভূগোল বিভাগের প্রভাষক আনোয়ার হোসেন এবং বাংলা বিভাগের প্রভাষক শাহীন আলম কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. একরামুল হকের বিরুদ্ধে বেতন-ভাতা চালু করতে উৎকোচ দাবি করাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ করেন।

    ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগ, শিক্ষকদের বেতনের চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানোর বিপরীতে কলেজের অধ্যক্ষ শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রশিদের মাধ্যমে উৎকোচ দাবি করেন। এখন তারা বেতন-ভাতা বঞ্চিত রয়েছেন। বেতন বঞ্চিত বাকী দুইজন শিক্ষক ওই অধ্যক্ষের সাথে আতাত করেছেন। তাঁরা আরো অভিযোগ করেন, বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টিগোচর হওয়ায় ওই অধ্যক্ষ তাদেরকে অন্যায়ভাবে শোকজ করেছেন।

    অভিযোগকারী চার শিক্ষকের পক্ষে মনোবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহ আল মাওদুদ জানান, উৎকোচ না দেওয়ার কারণে অধ্যক্ষ আমাদের বেতন-ভাতার চাহিদা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাননি। যার কারণে বেতন না পেয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। এছাড়া অভিযোগ করায় আমাদের নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে।

    কলেজের শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলা বিভাগের প্রধান মো. আব্দুর রশিদ জানান, অধ্যক্ষ কোন উৎকোচ দাবি করেননি। অডিও কলরেকর্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, এটা অডিওর খন্ডিত অংশ মাত্র।

    অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. মো. একরামুল হক জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ অসত্য, ভিত্তিহীন। তিনি সময়মত চাহিদাপত্র পাঠিয়েছেন। যেকোন সময় তারা বেতন পাবেন বলেও জানান তিনি। এছাড়া বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি পরিস্কার করবেন বলেও জানান ওই অধ্যক্ষ।

    পিএম

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…