কক্সবাজার টেকনাফের গহীন পাহাড়ী এলাকায় পুলিশ সদস্যরা সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে অস্ত্রধারী দু'জন অপহরণকারীকে আটক করেছে। এসময় তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক অপহরণকারিদের আস্তানা থেকে বিপুল পরিমাণ দেশীয় তৈরি অস্ত্রসস্ত্র উদ্ধার করতেও সক্ষম হয় পুলিশ।
ধৃত দুই অপহরণকারী হচ্ছে-টেকনাফ উপজেলা হোয়াইক্যং ইউপি ৩নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত রইক্ষ্যং এলাকার বাসিন্দা মৃত রুহুল আমিনের পুত্র মো. নবী সুলতান প্রকাশ নবীন (৩৫) এবং বাহারছড়া ইউপির অন্তর্গত উত্তর শিলখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত হোছনের পুত্র মো.ছলিম (২৬)।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত তিনটার দিকে উক্ত অভিযানের সত্যতা নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, গত ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে অপহরণ হওয়া ১০ ভিকটিমকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করার জন্য গত বুধবার (২৭ মার্চ) বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) গভীর রাত পর্যন্ত হোয়াইক্যং,বাহারছড়া ইউনিয়নের অন্তর্গত গহীন পাহাড় গুলোতে পুলিশের অভিযানিক দলের সদস্যরা বেশ কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে।
এরপর পুলিশের অভিযান চলাকালীন সময়ে অপহরণকারীরা দিশেহারা হয়ে অপহৃত ১০ জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। জিম্মি দশা থেকে ফেরত আসা ভিকটিমদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে এই দু'জন অপহরণকারিকে আটক করতে সক্ষম হই। পাশাপাশি ধৃত দুই অপহরণকারীর হেফাজত থাকা ১টি দেশীয় তৈরী ওয়ান শুটার গান (এলজি), ৩টি বড় দা, ৪টি মাথা বাকানো দা,১টি লম্বা দা উদ্ধার করা হয়।
এবিষয়ে হোয়াইক্যং ইউপির ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. শাহজালাল সময়ের কন্ঠস্বরকে জানান, ফেরত আসা অপহৃতরা সবাই মিলে প্রায় দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়ে ফেরত এসেছে। তবে সংঘটিত ঘটনার পর পুলিশ সদস্যরা গহীন পাহাড় গুলোতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করে। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যদের অভিযানে অপহরণকারীরা দিশেহারা সল্প টাকার বিনিময়ে অপহৃত ১০ জনকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছে বলেও জানান তিনি।
পিএম