এইমাত্র
  • উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হলেন যারা
  • হৃদয়-মাহমুদউল্লাহর ব্যাটে মান বাঁচল বাংলাদেশের
  • আজমিরীগঞ্জে খড়ের স্তুপ থেকে পড়ে কৃষকের মৃত্যু
  • কিশোর-কিশোরীদের জন্য সোশাল মিডিয়া নিষিদ্ধের পক্ষে আলবেনিজ
  • যুক্তরাষ্ট্রের কাছে টস হেরে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
  • জাপানে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প
  • দেশে মাথাপিছু আয় বেড়ে ২৭৮৪ ডলার
  • ট্রাম্পের পক্ষের সাক্ষীকে বিচারকের হুমকি
  • বাংলাদেশিদের জন্য আবারও বন্ধ মালদ্বীপের শ্রমবাজার
  • নিপুণকে ফিল্মে এনেছেন ডিপজল: মিশা সওদাগর
  • আজ মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২১ মে, ২০২৪
    অর্থ-বাণিজ্য

    সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দিশা ইসলাম

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ০১:২৫ পিএম
    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

    সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন দিশা ইসলাম

    স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, সময়ের কণ্ঠস্বর প্রকাশ: ১ মে ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

    একটা সময় ফেসবুক ছিল শুধুই একটা যোগাযোগ মাধ্যম, যেখানে অনেক পুরনো বন্ধু খুঁজে পাওয়া যেত। দেশে ও দেশের বাইরের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা হতো। কিছুটা বিনোদন, কিছুটা অলস সময় কাটানোর ক্ষেত্র ছিল ফেসবুক। কিন্তু বর্তমানে উদ্যোক্তাদের জন্য এই ফেসবুক একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে যেখানে নারীরা তাদের পণ্য কেনাবেচা থেকে শুরু করে নেটওয়ার্কিং, নানা বিষয়ে কর্মশালা ও ট্রেনিংয়ে অংশগ্রহণ পর্যন্ত করতে পারছেন। এবং ফেসবুককে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বল্প পুঁজিতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন।

    তেমনই একজন দিশা ইসলাম। রাজধানীর স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান সরকারি ইডেন মহিলা কলেজ থেকে অনার্স শেষ করেছেন তিনি। লেখাপড়া শেষ করে চাকরি না করে ইচ্ছা ছিল নিজের প্রচেষ্টায় কিছু করবেন। আলাদা পরিচয় তৈরি করবেন। প্রথম দিকে তেমন একটা সাহস করে উঠতে পারেননি। চাকরির সুযোগ থাকলেও নিজেকে কার্যত 'বন্দি' করতে চাননি তিনি।

    ঘরে বসেই কিছু করার চিন্তা নিয়ে ধীরে ধীরে এগোতে থাকেন। একপর্যায়ে ভাবেন মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে অনলাইনে ব্যবসা করবেন। ২০১৭ সালে প্রাথমিকভাবে অল্প পুঁজি নিয়ে নিজের নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘দিশা কালেকশন (Disha Collection's)' নামে একটি ফেসবুক পেজ খোলেন। শুরু থেকেই বিভিন্ন ধরনের রুচিশীল শাড়ি ও থ্রি-পিস বিক্রি করতেন তিনি। ভোক্তাদের রুচি ও পছন্দ অনুযায়ী দেশীয়, ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান থেকে তিনি পণ্য এনে থাকেন। দাম ও মানের কারণে তিনি সাধারণের কাছে অল্প সময়ে ভালো অবস্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছেন। ইতিমধ্যে উদীয়মান নারী উদ্যোক্তা ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন পুরস্কার জিতেছেন দিশা। বর্তমানে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের গ্রীন স্মরণিকা শপিং মলের তৃতীয় তলায় একটি শপ নিয়েছেন তিনি। যেখান থেকে অনলাইন ব্যবসাও পরিচালনা করা হয়।

    দিশা ইসলাম সময়ের কণ্ঠস্বরকে বলেন, আমার কাছে মনে হয় একটা নারীর ঘরের বাইরে বের হয়ে কাজ করার জন্য পরিবারের সাপোর্টটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার শুরুটা অনেক সহজ না হলেও পরিবারের সহযোগিতাতেই আমি এগিয়ে চলার সাহস পেয়েছি।

    লেখাপড়া করে চাকরি করার ইচ্ছে থাকে অনেকের, সেই জায়গা থেকে ব্যবসায় আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি হয়তো ভালো একটা চাকরি করতে পারতাম। কিন্তু অনেক সময় সিচুয়েশনের একটা ব্যাপার থাকে, যেটা কিনা আমাকে বিজনেস করতে বাধ্য করেছে। সেই বাধ্য করার পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে তাঁরমধ্যে অন্যতম বৃহত্তর জায়গা থেকে কাজ করার ইচ্ছা।

    তিনি বলেন, চাকরি করলে একটা ডেস্ক থাকবে, নির্দিষ্ট জব ডেসক্রিপশন থাকবে আর যখন আমি ব্যবসা করব তখন নিজের জব ডেসক্রিপশন যেমন পাবো, তেমনি অসংখ্য মানুষের জব ডেসক্রিপশন তৈরি করতে পারব। তো আমার কাছে মনে হয় এই জায়গাটা আরও বেশি উন্মুক্ত। আর মানুষ তো উন্মুক্ত জায়গায় যেতেই বেশি পছন্দ করে। তাই আমি আমার নিজের জন্য, দেশের জন্য, দেশের অর্থনীতির জন্য শেষপর্যন্ত ব্যবসাকে বেছে নিয়েছি।

    এই তরুণ নারী উদ্যোক্তা বলেন, ২০১৭ সালে ছোট করে অনলাইনে ৫ লক্ষ টাকা দিয়ে আমি আমার ব্যবসা শুরু করেছিলাম। অনলাইনে আমি ভালো সাড়া পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ বর্তমানে আমি রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের স্বরণীকা শপিং মলের তৃতীয় তলায় একটি শপও নিয়েছি। আমি সব সময়ই চেষ্টা করি মোটামুটি রিজেনেবল প্রাইজে ১০০ পারসেন্ট ভালো মানের প্রডাক্ট সেল করার, যাতে কম বেশি সবাই কিনতে পারে।

    ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে দিশা ইসলাম বলেন, আমার কাছে মনে হয় একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হতে হলে অবশ্যই তাঁর মধ্যে ব্যক্তিত্ব থাকতে হবে। আমি উদ্যোক্তা হিসেবে স্বপ্ন দেখি আমাদের দেশে অনেক লোক বেকার আছে, তাদের জন্য একটা জায়গা তৈরি করা। যেখানে মানুষের একটা মিনিমাম রোজগারের ব্যবস্থা করতে পারি। এবং আমি তখনই খুব খুশি হবো, যখন দেখব আমার কোনো প্রতিষ্ঠানে অনেক লোক কাজ করে তাদের পরিবার-পরিজনকে চালাচ্ছে। এটা আমার জীবনের অনেক বড় একটা স্বপ্ন।

    নারীদের হতাশ না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, এখনকার নারীরা কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। অনেকেই ঘরে এবং ঘরের বাইরে পুরুষের সঙ্গে সমানভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমি যেহেতু একজন নারী আমার কাছে যেটা মনে হয় প্রতিটা নারীরই নিজের পায়ে দাঁড়ানো উচিৎ। কারণ একজন নারী সফল উদ্যোক্তা হলে পরিবার নানাভাবে উপকৃত হয় যেমন ছেলে-মেয়েদের শিক্ষার ব্যয়ভার বহন, পুষ্টি-সমৃদ্ধ খাবার নিশ্চিত, পরিবারের চিকিৎসার খরচ জোগান এবং পরিবারের বয়স্ক ব্যক্তিরা ভরসার জায়গা খুঁজে পান।

    দিশা বলেন, যেসব নারীরা উদ্যোক্তা হতে চান তাঁরা অবশ্যই তাঁর পছন্দ অনুযায়ী কাজ করে উদ্যোক্তা হতে পারেন। একজন নারী উদ্যোক্তা হিসেবে বলবো আমাদের জীবনে তখনই পরিপূর্ণতা আসে যখন আমরা দেশের বৃহত্তর জায়গা থেকে অর্থনীতিতে কন্ট্রিবিউট করতে পারি। নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে সমাজ ও দেশের মানুষের জন্য এই কিছু করতে পারাটা একটা নারীর জন্য অনেক সম্মানজনক। শুধু নারী নয়, এটা তাঁর পরিবারের জন্যও সম্মানজনক।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…