চুরির অভিযোগে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় এক মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অমানবিক শারিরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থীর বাবা শনিবার (৪ মে) থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
শিক্ষার্থীর বাবা রহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ছেলে মোহনগঞ্জ আলিয়াবাদ ক্বওমি মাদ্রাসার আবাসিক শাখায় থেকে মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে। গত মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) রাতে মিথ্যা চুরির অভিযোগে প্রতিষ্ঠানের হুজুর আবু হুরাইরা ছেলেকে লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়ি মারধর করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে কালচে জখম করে।’
‘পরবর্তীতে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন করে বলে আপনার ছেলে একটি অপরাধ করেছে, আপনি মাদ্রাসায় এসে বিষয়টি জেনে-শুনে মীমাংসা করে দিয়ে যাবেন। আমি গত বুধবার সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধ টাকা চুরির মিথ্যা অভিযোগ শুনতে পাই।’
‘আমার ছেলেকে মাদ্রাসা থেকে বাড়িতে নিয়ে আসতে চাইলে কর্তৃপক্ষ নিয়ে আসতে দেয়নি। ঘটনা সন্দেহজনক হওয়ায় পরের দিন আমি পুনরায় মাদ্রাসায় গিয়ে আমার ছেলেকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসি। তখন দেখি ছেলের শরীরে আঘাতের কালচে দাগ।’
তিনি অভিযোগে আরও বলেন, ‘মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে আবু হুরাইয়া আমার শিশু সন্তানকে অমানবিক ভাবে নির্যাতন করেছে। এই ঘটনা না জানানোর জন্য তাকে কসম সহ বিভিন্ন ধরনের শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে নিয়েছে। তার চিকিৎসাও পর্যন্ত করায়নি তারা।’
মোহনগঞ্জ আলিয়াবাদ ক্বওমি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইউনুস আলী বলেন, এই ঘটনা আমাদের মাদ্রাসার জন্য খুবই লজ্জাজনক। আমরা ওই শিক্ষার্থীর অভিভাবকের কাছে ক্ষমা চেয়েছি। সেই সঙ্গে যে শিক্ষক এই কাজ করেছেন আমরা তাকে বহিস্কার করেছি।
বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার বলেন, শনিবার রাতে ওই শিক্ষার্থীর বাবা থানায় এসে অভিযোগ করেন। আমরা মাদ্রাসায় পুলিশ
পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু ওই শিক্ষক মাদ্রাসায় ছিলেন না। তাই তাকে আটক করা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটক করা হবে।
আরইউ