কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে গত দুইদিনের বৃষ্টিতে কিছু জমিতে পানি জমেছে৷ ফলে কাটা ধানগুলো জমিতে স্তূপ করে রাখা হয়েছে৷ ধান শুকানোর পরিবর্তে সবাই এখন ধান কাটাতে মনযোগী।
কিশোরগঞ্জে রবিবার সকাল থেকেই আবহাওয়া ছিলো মেঘলা। দুপুরের দিকে আবারো উত্তপ্ত হয় তাপমাত্রা। আকাশে রোদের তাপ ছিলো৷ রাত ৭ টার পর থেকে আকাশ মেঘের আনাগোনা৷ সাথে মাঝে মধ্যে আকাশে গর্জন। এর পর মুশলধারায় বৃষ্টি নেমে আসে৷ তীব্র বাতাশে অনেক স্থানে গাছ উপড়ে পড়ে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। সন্ধা থেকেই বিদ্যুৎ বন্ধ রয়েছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অনেক স্থানে বিদ্যুৎ সচল হয়নি৷
বৃষ্টিতে স্বস্তি এলেও কৃষকদের দুশ্চিন্তা বেড়েছে। কারণ শিলাবৃষ্টিতে শেষ মুহূর্তে ধানের ক্ষতি হলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বে কৃষকেরা। রাতভর বৃষ্টি হওয়ায় বিভিন্ন হাওরে কৃষকরা আজ সোমবার আগেভাগেই ভোর থেকেই ধান কাটার কাজ শুরু করেছেন। আপাতত ধান শুকানোর কাজ বাদ দিয়ে সবাই কাটার দিকে মন দিয়েছেন৷ কেননা বৃষ্টির ভয় সবার মধ্যে। জমি তলিয়ে গেলে ধান তোলা সম্ভব হবেনা৷
কৃষক আবুল কাশেম বলেন, আর এক সপ্তাহ দিনটা ভালো থাকলে ফসল নিয়ে আসতে পারতাম। একদিন ধান কাটছি, আরেকদিকে মাড়াই করছি৷ শুকিয়ে ঘরে তোলার চেষ্টা করছি৷ গতকালের শিলাবৃষ্টি ভয় তৈরি করেছে। জানিনা সামনে কি হয়৷
আরইউ