এইমাত্র
  • পাকিস্তানে ট্রাক খাদে পড়ে একই পরিবারের ১৪ জন নিহত
  • নরসিংদীতে পুকুরে মিলল নারীর মরদেহ
  • আর ভিডিও বানাবে না পাকিস্তানি খুদে ভ্লগার সিরাজ
  • কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশা চালকরা
  • গোপালগঞ্জে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ২০
  • ভারতে গিয়ে নিখোঁজ ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আজীম
  • বেনাপোলে চোরাই মোবাইলসহ আটক ৪
  • মিরপুরে পুলিশ-অটোরিকশা চালকদের সংঘর্ষ, ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • জাদু-টোনা থেকে বাঁচার আমল
  • নওগাঁয় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
  • আজ রবিবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ১৯ মে, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    মা-বাবার সেবা করলে মিলবে জান্নাত

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ১১:৩১ এএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ১১:৩১ এএম

    মা-বাবার সেবা করলে মিলবে জান্নাত

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৪, ১১:৩১ এএম

    সন্তান হল স্বামী-স্ত্রীর পবিত্র ভালোবাসার প্রতীক। তবে আমাদের সমাজে এখন প্রায় সময় শোনা যায় সন্তান দ্বারা অসুস্থ ও বৃদ্ধ বাবা-মায়ের প্রতি অবহেলার রোমহর্ষক ঘটনার কথা। কিন্তু এই বাবা-মা একজন সন্তানের সবচেয়ে কাছের মানুষ হওয়ার কথা। বাবা-মা এবং সন্তান সম্পূর্ণ আলাদা সত্তা হলেও দুইজন একই সূত্রে গাঁথা। প্রতিটি সন্তানের জীবনে বাবা-মায়ের ভূমিকা অসামান্য।

    বাবা-মার সঙ্গে সন্তানের সুসম্পর্ক নিয়ে কুরআন এবং হাদিসে অনেক নির্দেশ ও নসিহত রয়েছে। কুরআনের এসব নির্দেশ ও হাদিসের নসিহত সন্তানের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কুরআনে মুমিনদের জন্য তাওহিদের দায়িত্ব পালনের পরপরই বাবা-মার খেদমতের আহ্বান করা হয়েছে । হাদিসে পাকে প্রিয় নবি বাবা-মাকে জান্নাতের সঙ্গে তুলনা করেছেন। যারা বাবা-মার খেদমত করে তাদের সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারবে না। তাদের জন্য সুস্পষ্ট জাহান্নামের কথা বলেছেন বিশ্বনবি।

    এছাড়াও সুসন্তানকে প্রভুর এক বিশেষ নিয়ামত বলে আখ্যা দিয়ে ইরশাদ হয়েছে, আল্লাহ তোমাদের থেকেই তোমাদের জোড়া সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাদের যুগল থেকে পুত্র-পৌত্রাদি সৃষ্টি করেছেন; তবুও কি তারা মিথ্যাতে বিশ্বাস করবে?তারা কি আল্লাহর অনুগ্রহ অস্বীকার করবে? (সূরা নাহল-৭২)। প্রকৃত পক্ষেই সুসন্তান তার পিতা-মাতার যৌবনের সৌন্দর্য, বার্ধক্যে চোখের আলো।

    আল্লাহতায়ালা স্বয়ং মায়ের কথা বেশি বলেছেন। ইরশাদ হয়েছে, ‘মা-বাবার প্রতি সদাচরণ করো, কারণ মা কষ্ট করে তোমাকে গর্ভে ধারণ করেছেন

    তাদের মৃত্যুর পর সন্তানের বেশকিছু করণীয় রয়েছে। এসব পালনের মাধ্যমে সন্তানরা তাদের জন্য আখিরাতে সহায়ক হবে।মৃত্যুর পর মানুষের আমলের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু যে মা-বাবা নেককার সন্তান রেখে কবরে যান, মৃত্যুর পর তার নেকি অর্জনের পথ বন্ধ হয় না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ যখন মারা যায়, তখন তার আমলের পথ বন্ধ হয়ে যায়, তিনটি আমল ছাড়া—সদকায়ে জারিয়া, এমন ইলম (জ্ঞান), যার দ্বারা উপকৃত হওয়া যায় এবং নেক সন্তান, যে তার জন্য দোয়া করে। ’ (মুসলিম, হাদিস : ১৬৩১; তিরমিজি, হাদিস : ১৩৭৬)

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলেন এবং জেহাদের যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার পিতামাতা কি জীবিত আছে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’।

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, ‘পিতামাতার সেবাই তোমার জন্য জেহাদ।’ (মুসলিম)

    একবার হজরত আবুবকর (রা.) বলেন, আমার মা মুশরিক থাকা অবস্থায় তার প্রয়োজনে মদিনায় আমার কাছে এসেছিলেন, এ ব্যাপারে আমি রাসূল (সা.)কে জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসূল (সা.) আমি কি তার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করব? জবাবে রাসূল (সা.) বললেন, হ্যাঁ তুমি তার সঙ্গে সৌজন্যমূলক আচরণ করবে। (বুখারি ও মুসলিম) পার্থিব সব বিষয়ে পিতা-মাতার পূর্ণ আনুগত্য করা সুসন্তানের অন্যতম গুণ; যা কোরআনুল কারিমের ভাষ্যে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত।

    ইরশাদ হচ্ছে- যদি তারা আল্লাহর সঙ্গে শিরক করার জন্য চাপ দেয় যার জ্ঞান তোমার নেই, তা মেনে নেবে না, তবে পার্থিব জীবনে তাদের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করবে। (সূরা লুকমান-১৫)

    হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে আসলেন এবং জেহাদের যাওয়ার অনুমতি প্রার্থনা করলেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘তোমার পিতামাতা কি জীবিত আছে? তিনি উত্তর দিলেন, ‘হ্যাঁ’। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে বললেন, ‘পিতামাতার সেবাই তোমার জন্য জেহাদ।’ (মুসলিম)

    রাসূল (সা.) বলেন, সে ধ্বংস হোক, সে ধ্বংস হোক। বলা হল হে আল্লাহর রাসূল (সা.)কে ধ্বংস হবে? জবাবে তিনি বলেন, যে তার মাতা-পিতা দু’জনের একজনকে অথবা দু’জনকেই বৃদ্ধ অবস্থায় পেল অথচ তাদের সেবা করে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না (সহিহ মুসলিম)। কারণ পিতা-মাতার অবাধ্যতা আল্লাহ কখনও ক্ষমা করবেন না। বরং মৃত্যুর আগেই তার শাস্তি দেয়া হয়। আল্লাহ চাইলে সব গুনাহ ক্ষমা করে দেবেন। পিতা-মাতার অবাধ্যতার অপরাধ ক্ষমা করা হবে না। এ ধরনের গুনাগারের শাস্তি মৃত্যুর পূর্বে দুনিয়াতেই দেয়া হয়ে থাকে। (বায়হাকী)

    সুতরাং প্রত্যেক সন্তানের উচিত কুরআন-সুন্নাহর দিকনির্দেশনা অনুযায়ী বাবা-মার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। তাওহিদের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি বাবা-মার খেদমতের মাধ্যমে পরকালের নাজাতের পথ উন্মুক্ত করা, দুনিয়া ও পরকালের কল্যাণ লাভ করা ।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…