শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচনে স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু ও তার সমর্থিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উজ্জল আকনের বিরুদ্ধে প্রচার প্রচারণায় বধাদান, কর্মী সমর্থকদের হত্যার হুমকি, মারধরসহ নানা অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া। বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়া এই সাংবাদিক সম্মেলনের পরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে শংকা প্রকাশ করেছেন সংবাদ সম্মেলনে।
মঙ্গলবার (০৭ মে) বেলা ১১টায় শরীয়তপুর শহরের রুপনগর বিল্লাল হোসেন দিপুর মিয়ার নিজ বাসায় এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি বলেন, আমাকে যদি হত্যা করা হয় বা আমার জীবনের কোন ক্ষতি হয় তাহলে তার জন্য “স্থানীয় সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন অপু” দায়ী থাকবে। আমি বাঁচতে চাই, আমি সুস্থ্য একটি প্রতিযোগীতা মুলক নির্বাচন চাই। আমি একজন প্রার্থী পালং থানার ওসি আমার ফোনও ধরে না। আমি তার কাছ থেকে কোন আইনী সহায়তা পাচ্ছি না। রির্টানিং অফিসারও আমাদের কথা শুনে না। সংসদ সদস্য ও তার সমর্থিত প্রার্থীর কাছে সবাই জিম্মি হয়ে পড়েছে। আমি জিম্মি দশা থেকে মুক্তি চাই। প্রয়োজনে আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাব। তবুও আমি নির্বাচন থেকে সরে যাব না। আমি পালং এর জনগণকে আশ্বস্ত করতে চাই আমার শরীরে একফোটা রক্ত থাকলেও আমি নির্বাচন থেকে সরে যাব না। আমি আপনাদের সাথেই থাকবো।
সাংবাদিক সম্মেলনে বিল্লাল হোসেন দিপু মিয়ার সহধর্মীনী ফেন্সি বেগম, তার ভাই বাংলাদেশ ছাত্র লীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ফাহাদ হোসেন তপু, ছেলে আলিফ মিয়া উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২১ মে শরীয়তপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে।
এআই