কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুনকে মারধরের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৭ মে) সকালে আবু আহাদ বাদী হয়ে ১১ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন। এই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের চরমিলপাড়া এলাকার রেজাউল করিম (৩৫), শহীদ (৩৩) ও গিরিশ শাহিম (৩২। তাঁরা স্থানীয় কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ জগতের সমর্থক। মামলায় সদর পৌরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষ জগৎকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ সোহেল রানা।
জানা যায়, গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কুষ্টিয়া বড় স্টেশনের নিকট ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিশোর কুমার ঘোষের নেতৃত্বে ও তাঁর সমর্থকেরা নির্বাচনী অফিসে ঢুকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আবু আহাদকে মারধর ও অপহরণের চেষ্টা করেন। আহত অবস্থায় তাঁকে রাতেই কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
৮ মে প্রথম ধাপে অনুষ্ঠিত কুষ্টিয়া সদর উপজেলা নির্বাচনে আবু আহাদ মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা। তিনি আনারস প্রতীক নিয়ে লড়ছেন। আতা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের এমপি মাহবুবউল আলম হানিফের চাচাতো ভাই।
প্রার্থী আবু আহাদ আল মামুন বলেন, ‘থানায় মামলা দায়ের করেছি। আমি শারীরিকভাবে প্রচণ্ড অসুস্থ। হামলাকারীরা আমার মাথা, বুক ও পিঠে আঘাত করেছে।’
এ বিষয়ে বর্তমান চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা জানান, যারা হামলার সঙ্গে জড়িত তাঁরা দলের বা তাঁর কোনো কর্মী-সমর্থক নন।
ওসি সোহেল রানা বলেন, ‘১১ জনের নামে বাদী মামলা করেছেন। মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে কিশোর কুমার ঘোষ জগৎকে। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে রাতেই তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতেও অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এআই