এইমাত্র
  • পাওয়া গেছে রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার, তবে....
  • রাইসির বেঁচে থাকা নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল
  • খোঁজ মিলছে না ইরানের প্রেসিডেন্টের
  • ‘ভোট চাহিয়া লজ্জা দিবেন না’
  • দুর্ঘটনার কবলে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার
  • ফেনীতে বজ্রপাতে প্রাণ গেল কলেজ ছাত্র মাহাদীর
  • একজন আদর্শ স্বামীর গুণাবলী
  • চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে হিমশিম খাচ্ছেন ৪৬ শতাংশ মানুষ
  • নতুন রেকর্ড গড়লেন ফারহান
  • বাবাকে খুঁজে পেতে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপির মেয়ে ডিবিতে
  • আজ সোমবার, ৫ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    ভৈরবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫৬

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ এএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

    ভৈরবে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫৬

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৮ মে ২০২৪, ১১:৩৩ এএম

    কিশোরগঞ্জের ভৈরবে জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি ও বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে ৫৬ আহত হয়েছে।

    মঙ্গলবার (০৭ মে) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার আগানগর ইউনিয়নের আনন্দ বাজারে আগানগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি ও উত্তর পাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও বেপারী বাড়ির লোকজনের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫৬ জন আহত হয়।

    আহতদের মধ্যে রাহুল আমিন, জয়নাল আবেদীন, লিটন মিয়া, শাকিল মিয়া, আকরাম মিয়া, আক্কাছ মিয়া, জাফর মিয়া, আকাশ মিয়া, সুজন মিয়া, জাকির মিয়া, রায়হান মিয়া, গোলাম দস্তগীর, রাশিদ মিয়া, আবুল হোসেন, মোতাহার হোসেন, রুমান মিয়াসহ ৩০ জন ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এদের মধ্যে গোলাম মোস্তফা, লিটন মিয়া, জাকির মিয়া ও আকাশকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রাখা হয়েছে।

    গুরুতর আহতের মধ্যে কাউসার মিয়া, জাহাঙ্গীর হোসেন, সোহরাফ মিয়া, মোবারক হোসেন, রাশিদ মিয়া ও জীবন মিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে প্রেরণ করা হয়। এছাড়া বাকিরা ভৈরবের বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

    এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, উপজেলার আগানগর গ্রামের দক্ষিণ পাড়া এলাকার সরুল্লা বাড়ি, উত্তর পাড়া এলাকার আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ি ও বেপারী বাড়ির লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের ম্যানেজিং কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব চলছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের পাশে আনন্দ বাজার নামে একটি বাজার রয়েছে। এ বাজারে নিজেদের আধিপত্য বিস্তার নিয়েও দুই পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলমান রয়েছে।

    পরে ২২ এপ্রিল জিল্লুর রহমান স্কুল অ্যান্ড কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় অতিথি প্যানেলের নাম নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে। এসময় স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বিষয়টি মীমাংসা করে দেন। এ দিকে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর পক্ষ নিয়েও এলাকায় উত্তেজনা ছিল। গতকাল মঙ্গবার বিকেলে ড্রেজার পাইপ চুরির বিষয় নিয়ে এ দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে বাগ্-বিতণ্ডা হয়। একই সময় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে শুক্কর মিয়া ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে আক্কাস মিয়ার নির্বাচনি প্রচারণা নিয়ে বাগ্বি-তণ্ডা হয়। এসময় একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন দা, বল্লম, লাঠি, সোটা ও ইটপাটকেল নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন। এতে দুই পক্ষের ৫৬ জন আহত হয়।

    স্থানীয়রা আরও জানান, দক্ষিণ পাড়া সরুল্লা বাড়ির নেতৃত্ব দেন অত্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি মমতাজ উদ্দিন। উত্তর পাড়া বেপারী বাড়ির নেতৃত্ব দেন ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম সুমন।

    বেপারী বাড়ির সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কোন দ্বন্দ্ব নেই। বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন নিয়ে পূর্ব থেকেই দ্বন্দ্ব ছিল। আজ এরই রেশ ধরে শুক্কুর মিয়ারসহ সারুল্লা বাড়ির লোকজন মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে।

    সরুল্লা বাড়ির শুরুর মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবত বেপারী বাড়ি ও আফিল উদ্দিন মিয়ার বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব রয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আমরা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদকের পক্ষে নিয়ে গণসংযোগে গেলে পথের মধ্যে আক্কাস মিয়া তার লোকজন নিয়ে আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। পরে তারা স্থানীয় একটি মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ায়।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসক রওশন আরও রিপা জানান, সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আহত রোগী আসতে থাকে। ইতিমধ্যে ৩০ জন আহত রোগী দেখা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪ জনকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর আহত ৬ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে রোগীর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানান।

    এ বিষয়ে ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। দুই পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    সাব্বির হোসেন/এআই

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…