এইমাত্র
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারা গেছেন
  • রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ‘কেউ বেঁচে নেই’
  • ‘হীরামন্ডি’ সিরিজের শারমিনকে বিয়ের প্রস্তাব সালমানের
  • রামপুরায় অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
  • রাইসির হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ
  • কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে দর্জির মৃত্যু
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
  • দুই সন্তান নিয়ে আবারও বিয়ে করলেন গায়িকা বর্ষা
  • পাবনায় ফেনসিডিলসহ রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য আটক
  • রাঙামাটিতে ইউপিডিএফের অর্ধদিবস অবরোধ চলছে
  • আজ সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪
    বিনোদন

    যে গোয়েন্দা চরিত্রগুলো হয়েছে বিশ্বসেরা

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ১০:৫৫ এএম
    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ১০:৫৫ এএম

    যে গোয়েন্দা চরিত্রগুলো হয়েছে বিশ্বসেরা

    বিনোদন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ১০:৫৫ এএম

    মানুষ জন্ম সুত্র থেকেই কৌতূহলী , আর তাই সৃষ্টির শুরু থেকেই মানুষ কিভাবে সৃষ্টি হয়েছে এবং তার জন্ম প্রক্রিয়া কি, এই বিশ্ব ব্রহ্মান্ড কিভাবে সৃষ্টি হল, এমনই নানা অজানার সন্ধান করে গেছে অবিরাম। থেমে থাকেনি রহস্য-রোমাঞ্চের প্রতি মানুষের আকর্ষণ তাই বছরের পর বছর ধরে শিল্প-সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ অংশজুড়ে রয়েছে রহস্যের বিস্তার। পৃথিবীজুড়ে অসংখ্য রহস্যগল্প ও চরিত্রের আগমন ঘটেছে বইয়ের পাতায় কিংবা সেলুলয়েডের ফিতায়।

    কিন্তু সবগুলো চরিত্র দর্শকের মনে জায়গা করে নিতে না পারলেও কিছু চরিত্র এমন আছে যে, কখনো কখনো চরিত্রের স্রষ্টার চেয়ে তার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্র বিখ্যাত হয়ে যায়। শার্লক হোমস , এ চরিত্রটি তার স্রষ্টা আর্থার কোনান ডায়েলের চেয়েও বেশি খ্যাতিমান বা আমদের ফেলুদার কথায় ধরুন , মনে পরলেই চোখের সামনে ভেসে উঠে সব্যসাচী চক্রবর্তী বা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এর মুখখানা।আমাদের বাংলাদেশেও কাজী আনোয়ার হোসেনের তৈরি গোয়েন্দা চরিত্র মাসুদ রানাও জনপ্রিয়তার দিক থেকে কোন অংশে পিছিয়ে নেই।

    এছাড়াও জনপ্রিয়তার দিক থেকে তুঙ্গে থাকা চরিত্রগুলোর আরও কয়েকটি হচ্ছে জেমস বন্ড, ফেলুদা, এরকুল পিয়েরো, ব্যোমকেশ ইত্যাদি। বাস্তবে নেই যার কোন অস্তিত্ব অথচ মানুষের মনের ভিতর অবস্থানকারী এসব দুর্ধর্ষ গোয়েন্দারা তৈরি করে নিয়েছে একটি আলাদা জগত। আমাদের আজকের আয়োজন সেই সব চরিত্রগুলো নিয়ে।

    শার্লক হোমস

    বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় গোয়েন্দা মনে করা হয় স্যার আর্থার কোনান ডায়েলের অনবদ্য সৃষ্টি শার্লক হোমসকে। পৃথিবীর মানুষের সামনে এই চরিত্র প্রথম আসে ১৮৮৭ সালে। ১৮৯১ সালে দ্য স্ট্র্যান্ড ম্যাগাজিন পত্রিকায় প্রথম ছোটগল্পের সিরিজটি প্রকাশ হওয়ার পরই শার্লক হোমস চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। মানুষের মনে এখনো শার্লক হোমস এক জীবন্ত চরিত্র হয়ে আছে। শার্লক হোমসের সিরিজ অনূদিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায়। নির্মাণ হয়েছে ২০০-এর বেশি ছবি। অন্তত ৭০ অভিনেতা শার্লক হোমস সেজেছেন এতে। মঞ্চে বা এর বাইরে এই সংখ্যা আরও বেশি।

    ফেলুদা

    বাংলা সাহিত্যের অন্যতম সেরা গোয়েন্দা মনে করা হয় ফেলুদাকে। এই ফেলুদার স্রষ্টা সত্যজিৎ রায়। জনপ্রিয় এই কাল্পনিক চরিত্রটির আসল নাম প্রদোষ চন্দ্র মিত্র। তবে এই নাম ছাপিয়ে বছরের পর বছর ধরে বই-মঞ্চ আর সিনেমায় ফেলুদা নামেই এর রাজত্ব। এই চরিত্রটি প্রথম মানুষের সামনে আসে ১৯৬৫ সালের ডিসেম্বর মাসে। পশ্চিম বাংলার জনপ্রিয় পত্রিকা সন্দেশ-এর ডিসেম্বরের সংখ্যায় সত্যজিৎ রায়ের লেখা ফেলুদা সিরিজের প্রথম গল্প 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' প্রকাশিত হয়। সেই শুরু। এরপর কেবল চরিত্রের জনপ্রিয়তা আর বিস্তৃতি বেড়েই চলেছে। কখনো কমেনি।

    জেমস বন্ড

    জেমস বন্ড ০০৭ নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্মার্ট এক গোয়েন্দার মুখ। এটি বিখ্যাত ঔপন্যাসিক ইয়ান ফ্লেমিংয়ের লেখা উপন্যাসের কাল্পনিক চরিত্রবিশেষ। ১৯৫৩ সালে রচিত এ উপন্যাসে জেমস বন্ড রয়েল নেভি কমান্ডার হিসেবে রয়েছেন। এই চরিত্রটিকে নিয়ে এখন পর্যন্ত অসংখ্য চলচ্চিত্র, উপন্যাস, কমিকস, ভিডিও গেমস তৈরি হয়েছে। অন্যদিকে মেয়েদের কাছে জেমস বন্ড সব সময়ই আবেদনময়ী পুরুষ।

    বিশ্বজুড়ে জেমস বন্ডের এই জনপ্রিয়তার হাওয়া লাগে চলচ্চিত্রের বাজারেও। এখন পর্যন্ত ২৫টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয়েছে জেমস বন্ডকে নিয়ে। এগুলো কেবল ‘জেমস বন্ড ০০৭’কে নিয়েই। তবে গোল্ডেন আই চলচ্চিত্রে এজেন্ট ০০৭ এবং এজেন্ট ০০৬ দুজনকেই দেখানো হয়েছে।

    ব্যোমকেশ

    বাংলা সাহিত্যের সবচেয়ে মধুর গোয়েন্দা ব্যোমকেশ। শরবিন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি এই গোয়েন্দা চরিত্রটি ভারতীয় উপমহাদেশের পাঠকদের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। সত্যজিৎ রায় ব্যোমকেশ সিরিজের গল্প অবলম্বনে ‘চিড়িয়াখানা’ নামে একটি সিনেমা তৈরি করেছিলেন, যার মূল ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল মহানায়ক উত্তম কুমারকে। ‘চিড়িয়াখানা’য় দুর্দান্ত অভিনয় করে বেশ সফল হন তিনি।

    সেই সুবাদে উত্তম জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছিলেন। তবে ক্যারিয়ারে মাত্র একবারই ব্যোমকেশ হিসেবে দেখা গিয়েছে তাকে। ব্যোমকেশের প্রত্যেকটি গল্পের অন্যতম সুন্দর দিক, যে সময়ে গল্পটি বলা হচ্ছে- পাঠক গল্পের সঙ্গে, ব্যোমকেশের সমস্যা সমাধানের চিন্তাধারার পাশাপাশি তৎকালীন সময়ের কলকাতার চিত্র যেন নিজের চোখের সামনে কল্পনা করতে পারবেন।

    মাসুদ রানা

    ১৯৬৬ সালের কথা বলছি, বাংলা রহস্য সাহিত্যে তখন কেবল ব্যোমকেশের জনপ্রিয়তা। আর ফেলুদা সবে মাত্র প্রকাশ হয়েছে। এর মধ্যেই নতুন ধারার নতুন একটি গোয়েন্দা চরিত্রের জন্ম হলো যার নাম মাসুদ রানা।

    বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের কল্পিত দুর্ধর্ষ এক এজেন্ট। এই মাসুদ রানা মূলত জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের সৃষ্ট একটি জনপ্রিয় চরিত্র। মাসুদ রানার অধিকাংশ কাহিনিই বিভিন্ন বিদেশি লেখকের বই থেকে ধার করা। অ্যালিস্টার ম্যাকলিন, রবার্ট লুডলাম, জেমস হেডলি চেজ, উইলবার স্মিথ, ক্লাইভ কাসলার, ফ্রেডরিক ফরসাইথসহ বহু বিদেশি; বিশেষ করে ইংরেজি সাহিত্যিকের লেখা কাহিনি থেকে ধার করে মাসুদ রানা সিরিজ।

    মিশন ইম্পসিবল

    মিশন ইম্পসিবল নামটি শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে স্মার্ট এক এজেন্টর মুখ। মুভিটি মূলত সিবিএস চ্যানেলে ১৯৬৬-১৯৭৩ সালে প্রচারিত একই নামের টিভি সিরিজের অভিযোজন, এর পরিচালক ব্রায়ান ডি পালমা। টম ক্রুজ ছোটবেলায় সিরিজটির পাঁড় ভক্ত ছিলেন, সিরিজ থেকে মুভি বানানোর ব্যাপারটি তার মাথাতেই প্রথমে আসে।

    অত্যাধুনিক গ্যাজেটধারী স্পাইদের ভিড়ে টম ক্রুজ তার মিশন ইম্পসিবল সিরিজ নিয়ে এসেছিলেন আজ থেকে প্রায় বাইশ বছর আগে। মুখের মুখোশ টেনে আসল চেহারা দেখিয়ে কাহিনীর মোড় পাল্টে দেওয়া, ইম্পসিবল মিশন ফোর্সের এজেন্ট কিংবা ডাবল এজেন্টদের দুর্ধর্ষ সব অভিযান কিংবা বিস্ফোরক থিম সং, সবকিছুই এখন আইকনিক।

    তাছাড়া এই সিরিজের অ্যাকশননির্ভর বুদ্ধিদীপ্ত স্ক্রিপ্ট আর ক্রুজের ডেয়ারডেভিল স্ট্যান্ট- সব মিলিয়ে বর্তমান সময়ের সেরা ব্লকবাস্টার ফ্র্যাঞ্চাইজে স্পাই সিনেমার ধারায় যুক্ত করেছে ভিন্ন এক মাত্রা। যা দর্শক মহলে জনপ্রিয়তা পাওয়ার অন্যতম কারণ।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…