এইমাত্র
  • শিক্ষার্থীদের বেলা ১১-৩টা পর্যন্ত রোদে না যাওয়ার পরামর্শ
  • রাজধানীতে মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ২২
  • রামপুরায় অটোরিকশাচালকদের সড়ক অবরোধ, তীব্র যানজট
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মারা গেছেন
  • রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ‘কেউ বেঁচে নেই’
  • ‘হীরামন্ডি’ সিরিজের শারমিনকে বিয়ের প্রস্তাব সালমানের
  • রাইসির হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ
  • কুড়িগ্রামে বজ্রপাতে দর্জির মৃত্যু
  • ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি
  • দুই সন্তান নিয়ে আবারও বিয়ে করলেন গায়িকা বর্ষা
  • আজ সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    উদ্বোধনের একদশক পরেও অভিভাবক শূন্য ইউনিয়ন পরিষদ ভবন

    মাহফুজুর রহমান উদয়, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম
    মাহফুজুর রহমান উদয়, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম

    উদ্বোধনের একদশক পরেও অভিভাবক শূন্য ইউনিয়ন পরিষদ ভবন

    মাহফুজুর রহমান উদয়, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০২:৫৩ পিএম

    ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার একটি ইউপি ভবন গত ১০ বছর ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। আর ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম ও নাগরিক সেবা চলে উপজেলা শহরের একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে। প্রায় কোটি টাকার ব্যয়ে নির্মিত এ ভবন অব্যবহৃত থাকায় বর্তমান সরকারের উন্নয়নের সমালোচনায় গোটা উপজেলায় ঝড় উঠেছে। নির্মাণ কাজ শেষ ও ভবন হস্তান্তরের ১০ বছর অতিক্রম হলেও উপজেলার ফলসী ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম এখনো শুরু হয়নি।

    সরজমিনে ওই এলাকায় গেলে দেখা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে গৃহপালিত পশুর বিচরণ। পরিষদের প্রতিটা কক্ষের দরজায় ঝুলছে তালা। বারান্দায় পশুপাখির মলমূত্র। দেয়ালের প্লাস্টার খসে পড়ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সরকারের নবনির্মিত কোটি টাকার ব্যয়ে তৈরি ভবন অকেজো হয়ে পড়ে আছে। হরিণাকুণ্ডু পৌর এলাকায় পরিত্যক্ত একটি ভবনে বসেই করেন পরিষদের দাপ্তরিক কার্যক্রম। ইউনিয়ন পরিষদ ভবন থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হওয়ায় নাগরিক সেবা নিতে আসা জনসাধারণের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

    অথচ ওই ইউনিয়নের বিগত ও বর্তমান চেয়ারম্যানদের দাবি, ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম থেকে নতুন ভবন দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে লোকজন যেতে চায় না। ফলে ভবন নির্মাণের ১০ বছর পার হলেও সেখানে নতুনভাবে অফিস স্থানান্তর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। মাঝে মাঝে বড় পরিসরে নাগরিক সেবা কার্যক্রম হলে ওই নতুন ভবনে যাওয়া হয়। তাছাড়া সব সময় অস্থায়ী কার্যালয়েই চলে সকল কার্যক্রম।

    ফলসী ইউপি ভবন নির্মাণকারী সংস্থা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে ফলসী ইউনিয়ন পরিষদ ভবন নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তিন তলা ভবনের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয় ৬৭ লাখ টাকা। কাজ সম্পন্ন করে ২০১৩ সালের ৫ জুলাই। শহর এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে ভবন হস্তান্তর করে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হরিণাকুণ্ডুর পৌর বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি ভবন। ভবনের ২য় তলা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় এবং নিচতলা হরিণাকুণ্ডু স্কলার প্রি-ক্যাডেট ইনস্টিটিউট।

    এ বিষয়ে স্থানীয়রা জানান, আমাদের এই ইউনিয়ন পরিষদ দীর্ঘদিন ধরে তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সমস্ত কার্যক্রম শহরের অস্থায়ী একটি ভবনে করে থাকেন। বর্তমানে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন এডভোকেট বজলুর রহমান। তিনিও শহরের পরিত্যক্ত ওই ভবনেই ইউনিয়নের কার্যক্রম চালান। তাছাড়া যে চেয়ারম্যানই নির্বাচিত হয়ে আসে তাদের নিজস্ব সুবিধার জন্য ওই পরিত্যক্ত ভবনকে পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। যেখানে পরিষদের সব ধরনের সেবামূলক কাজকর্ম হওয়ার কথা ছিল নতুন এ ইউপি ভবনে। কিন্তু সেটা না হওয়ার কারণে আমাদের অনেক ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন আলম বলেন, ১০ বছর ধরে তালাবদ্ধ নতুন এ ইউপি ভবন। যে চেয়ারম্যানই নির্বাচিত হয় তাদের সুবিধার্থে উপজেলা শহরের অস্থায়ী পরিত্যক্ত ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম করে থাকেন। প্রয়োজনের তাগিদে পায়ে হেটে দুই-আড়াই কিলো রাস্তা আমাদের যেতে হয়।

    এলাকার তারেক, বেল্টু, মিলুসহ কয়েক জন বলেন, পরিষদে আমাদের অনেক কাজ থাকে। আমরা কাজের জন্য আসি, কিন্তু এখানে কখনও চেয়ারম্যান বা কোন মেম্বররা আসেন না। মূল পরিষদ রেখে তাদের পছন্দমত জায়গায় তারা ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয় স্থাপন করেছেন। সেখানে কোনমতে কাজ কর্ম করেন। যার ফলে আমরা সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হচ্ছি পরিষদের সেবা থেকে।

    ইউপি চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বলেন, ইউনিয়নের শড়াতালা,কুলবাড়িয়া বোয়ালিয়াসহ কয়েকটি গ্রাম থেকে নতুন ভবন দূরবর্তী হওয়ায় সেখানে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। ফলে ভবন নির্মাণ হলেও ১০ বছরে সেখানে নতুনভাবে অফিস স্থানান্তর সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাছাড়া নতুন ইউপি ভবন এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না। তেমন কোনো হাট-বাজারও নেই। তাই উপজেলা শহরের একটি ভবনে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম চালানো হয়।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমি কিছুদিন পূর্বে যোগদান করেছি। উদ্বোধনের ১০ বছরেও কার্যক্রম চালু হয়নি এটা দুঃখজনক। এ বিষয়ে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    এআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…