এইমাত্র
  • ফেসবুক-ইনস্টাগ্রাম শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, ইইউর তদন্ত শুরু
  • কুমিল্লায় ঠিকাদার বিল্লাল হত্যাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে মানববন্ধন
  • 'নিপুণের পেছনে বড় শক্তি আছে', পদ স্থগিতের পর বললেন ডিপজল
  • সাভারে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত স্ত্রী, আহত পুলিশ কর্মকর্তা
  • ব্যাটারিচালিত রিকশা চলবে, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
  • নাগরিকত্ব ফিরে পেয়ে প্রথমবার ভোট দিলেন অক্ষয়
  • মাদারীপুরে টাকা নিয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগ
  • রাত পোহালেই চুয়াডাঙ্গা সদর ও আলমডাঙ্গা উপজেলায় ভোট
  • ‘তাইওয়ানকে হুমকি দেয়া বন্ধ করুন’
  • যশোরে ট্রাক চাপায় প্রাণ গেল ভ্যান চালকের
  • আজ সোমবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ | ২০ মে, ২০২৪
    ধর্ম ও জীবন

    পালিয়ে বিয়ে করা নিয়ে ইসলাম কী বলে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম

    পালিয়ে বিয়ে করা নিয়ে ইসলাম কী বলে

    ধর্ম ও জীবন ডেস্ক প্রকাশ: ৯ মে ২০২৪, ০৫:২৯ পিএম
    প্রতীকী ছবি

    বিয়ে মানুষের জীবন পরিশীলিত, মার্জিত ও পবিত্র করে তোলে। সৃষ্টির শুরুলগ্ন থেকেই বিয়ের বিধান পালন হয়ে আসছে। বিয়ে মহান আল্লাহর এক বিশেষ নেয়ামত এবং রাসুলুল্লাহ (স.)-এর পবিত্র সুন্নত। ইসলামে পারিবারিক বন্ধন গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইসলামি শরিয়তে বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবকের অভিমত গুরুত্বপূর্ণ। হাদিসে এ বিষয়ে তাগিদ দেওয়া হয়েছে। রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘অভিভাবক ছাড়া বিয়ে সংঘটিত হয় না।’ (তিরমিজি: ১১০১; আবু দাউদ: ২০৮৩)

    প্রাপ্ত বয়স্ক ও সামর্থ্যবান হলে কালবিলম্ব না করে বিয়ে করা প্রত্যেক মুসলমানের ঈমানি দায়িত্ব।তবে পালিয়ে বিয়ে করা অনুচিত। অভিভাবকহীন বিয়ে বা গোপন বিয়ে অসামাজিক ও অকৃতজ্ঞতাপূর্ণ কাজ। এ জন্য বিয়ের ক্ষেত্রে গোপনীয়তা ইসলাম পছন্দ করে না। এছাড়াও গোপন বিয়েতে বহু বিপত্তি রয়েছে। তাই ইসলামের নির্দেশনা হলো, ‘বিয়ে করবে- ঘোষণা দিয়ে।’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস : ৪/৫)

    বিয়ের আকদ (চুক্তি) করানোর দায়িত্ব মেয়ের অভিভাবককে পালন করতে হয়। যেহেতু আল্লাহ তাআলা বিয়ে দেওয়ার জন্য অভিভাবকদের প্রতি নির্দেশনা জারী করেছেন।

    আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের মধ্যে অবিবাহিত নারী-পুরুষদের বিয়ে দাও।’ (সুরা নুর:৩২) নবী (স.) বলেছেন, ‘যে নারী তার অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া বিবাহ করবে তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল, তার বিবাহ বাতিল।’ (তিরমিজি: ১০২১, হাদিসটি সহিহ)

    বিয়ের পরে স্বজনদের আপ্যায়ন করার নির্দেশ আছে ইসলামে । বিয়ের আগে ঘোষণা দিয়ে, বিয়ের পর ছেলের পক্ষে আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব, শুভাকাঙ্ক্ষী ও গরিব-মিসকিনদের সামর্থ্য অনুযায়ী আপ্যায়নের (ওয়ালিমা) কথাও বলা হয়েছে।

    একবার হজরত আনাস (রা.) বলেন, নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবদুর রহমান ইবনে আওফের গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন, এটা কী? তিনি বললেন, আমি এক খেজুর আঁটির ওজন স্বর্ণ দিয়ে একজন মহিলাকে বিবাহ করেছি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘আল্লাহ তোমার বিবাহে বরকত দান করুক। একটি ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওয়ালিমা করো।’ (বুখারি: ৫১৫৫; মুসলিম ও মিশকাত, হাদিস নম্বর-৩২১০)।

    রাসুলুল্লাহ (সা.) নিজেও ওয়ালিমা করেছেন এবং সাহাবিদের করতে বলেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) জয়নব বিনতে জাহাশ (রা.)-কে বিয়ে করার পরদিন ওয়ালিমা করেছিলেন। (বুখারি, হাদিস নম্বর-৫১৭০)। রাসুলুল্লাহ (সা.) ছাফিয়াহ (রা.)-কে বিয়ের পর তিন দিন যাবৎ ওয়ালিমা খাইয়েছিলেন। (মুসনাদে আবু ইয়ালা, হাদিস নম্বর-৩৮৩৪)।

    তাই ইসলাম বলে বিয়ে করতে হবে ঘোষণা দিয়ে আয়জন করে কিন্তু পালিয়ে বিয়ে নিন্দনীয় হলেও কেউ যদি দুজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে বিয়ে করেই ফেলে, তাহলে শরিয়তের দৃষ্টিতে বিশেষ বিবেচনায় বিয়ে শুদ্ধ হয়ে যাবে।

    কারণ বিয়ে শুদ্ধ হওয়ার শর্ত হল মুকাল্লাফ (যাদের উপর শরিয়তের বিধান আরোপিত হয়) এমন দুইজন স্বাধীন পুরুষ সাক্ষী বা একজন স্বাধীন পুরুষ ও দুইজন নারী সাক্ষী হতে হবে, যারা প্রস্তাবনা ও কবুল বলার উভয় বক্তব্য নিজ কানে উপস্থিত থেকে শুনতে পায়। (আদ দুররুল মুখতার: ৩/৯, ফতোয়ায়ে হিন্দিয়া: ১/২৬৮)

    তবে গোপনে বিয়ে করে ফেললে বিয়ে হয়ে যাবে, তখন এই বন্ধন অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। কেননা বিয়ে কোনো ছেলেখেলা নয়, বরং এটি নারী-পুরুষের সারা জীবনের পবিত্র বন্ধন। তাই গোপনে বিয়ে করে ফেললেও তালাকের পথে পা বাড়াবে না।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…