এইমাত্র
  • দেশবাসীর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও বার্তায় যা বললেন
  • সীমান্ত সু-রক্ষায় কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশ
  • ঈদের ছুটিতে বেনাপোলে উপচে পড়া ভিড়, দুই ইমিগ্রেশনেই ভোগান্তি
  • কুড়িগ্রামে বাড়ছে সব নদ-নদীর পানি, ঈদে বন্যার শঙ্কা
  • লেবাননে মসজিদসহ বিভিন্ন স্থাপনায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
  • ইতালির প্রধানমন্ত্রী মেলোনির সঙ্গে মোদির সেলফি
  • ২০ বছরে হেফাজতে মৃত্যু কত, জানতে চান হাইকোর্ট
  • শেষ মুহূর্তে বাড়ির পথে মানুষের ঢল
  • হঠাৎ উধাও নাফ নদে থাকা ‘মিয়ানমারের জাহাজ’
  • নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে কলেজছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার
  • আজ রবিবার, ২ আষাঢ়, ১৪৩১ | ১৬ জুন, ২০২৪
    দেশজুড়ে

    কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম

    কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২৩ মে ২০২৪, ০৯:১৭ পিএম

    কিশোরগঞ্জে ভুল চিকিৎসায় সামীম ইয়াসার আফফান সাড়ে চার বছর বয়সী নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মে) দুপুরে সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলামের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে আফফানের পরিবার।

    অভিযুক্ত দুই চিকিৎসক জেলা শহরের মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের অ্যানিস্থসিয়া বিশেষজ্ঞ মো. আবু তাহের মিয়া। নাক, কান,গলা বিশেষজ্ঞ মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন।

    বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সিভিল সার্জন কার্যালয়ে গিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে বিক্ষোভ করেছেন রোগীর স্বজনেরা ও এলাকাবাসী। তাঁরা প্ল্যাকার্ড ও ব্যানার নিয়ে মিছিল করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, কিশোরগঞ্জ পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইসমাইল হোসেন ইদু, নাগরিক অধিকার সুরক্ষা মঞ্চের আহ্বায়ক শেখ সেলিম কবির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আতিউল্লাহ ভুবন প্রমুখ।

    লিখিত অভিযোগ দায়ের করা শেষে বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৭ কর্ম দিবসের মধ্যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি স্বরূপ চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন। তারা বলেন, নিষ্পাপ শিশুকে যারা চিকিৎসার নামে হত্যা করেছে তাদের বিচার করতে হবে। বিচার পাওয়া আমাদের অধিকার। চিকিৎসার নামে অপচিকিৎসা বন্ধ করতেই হবে। আর তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে নামব।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শিশু আফফান ইয়াসার গলা ব্যথা, ঠান্ডা, কাশি রোগে আক্রান্ত হয়ে। গত ২৪ এপ্রিল আফফানের বাবা সারোয়ার জাহান উপল ও মা আফসারা মুনা মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডে নিয়ে যান ছেলের চিকিৎসার জন্য। সেখানে নাক, কান, গলার চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমনের কাছে চিকিৎসা সেবার জন্য শরণাপন্ন হন। আফানকে দেখার পর কয়েকটি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে বলেন চিকিৎসক। পরে গত ২৫ এপ্রিল চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও অ্যানিস্থসিয়া চিকিৎসক মো. আবু তাহের মিঞা স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে টনসিল ও অ্যাডিনয়েড অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। অস্ত্রোপচার না করলে শিশু আফফানের চরম ক্ষতি হবে বলে জানান চিকিৎসকেরা। তখন পরিবারের সদস্যরা আফফানের ঠান্ডাজনিত সমস্যার কথা জানিয়ে দুটি অস্ত্রোপচার একত্রে চলবে কি না জিজ্ঞাসা করলে চিকিৎসকেরা জানান অস্ত্রোপচার করা হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। পরে ওই দিন রাত ১০টার দিকে টনসিল এবং অ্যাডিনয়েড গ্রন্থিতে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর থেকেই আফফানের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এতে তাকে অক্সিজেন সরবরাহ করতে হয়।

    গত ২৬ এপ্রিল বিকেলে আফফানের শ্বাসকষ্ট প্রচণ্ড আকার ধারণ করলে চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন ও আবু তাহের মিঞা শিশুটিকে জরুরি ভিত্তিতে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য পরামর্শ দেন। ওই দিন রাত ১১টায় আফফানকে নিয়ে স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে মুমূর্ষু অবস্থায় দেখে ভর্তি করেনি। পরে তাকে ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

    ভর্তির পর হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদন দেখে জানান, শিশু আফফান নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত। এই অবস্থায় এত ছোট শিশুর অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত দায়িত্বশীল কোনো চিকিৎসকের কাছ থেকে কাম্য নয়। অস্ত্রোপচার করার পেছনে আর্থিক বা অন্য কোন উদ্দেশ্য থাকতে পারে। এরপর ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ মে সন্ধ্যায় আফফান মারা যায়।

    নিহত শিশুর বাবা সারোয়ার জাহান উপল জানান, চিকিৎসক সুমন ও তাহের মিঞার ভুল এবং ত্রুটিপূর্ণ অস্ত্রোপচারের জন্য আমার ছেলে মারা গেছে। এটা হত্যা। চিকিৎসকদের বলা হয়েছিল আমার ছেলের ঠান্ডাজনিত সমস্যা আছে তারপরও তাঁরা অপারেশন করেছে। এই চিকিৎসকদের জন্য আমার ছেলে আমাদের মধ্যে নেই। আমরা এই চিকিৎসকদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

    অভিযোগের বিষয়ে অ্যানিস্থসিয়া চিকিৎসক আবু তাহের মিঞা বলেন, আমরা যে রিপোর্ট দেখেছি সেইখানে নিউমোনিয়ার কোনো লক্ষণ ছিল না।

    চিকিৎসক মুহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম সুমন বলেন, ‘টনসিল ও অ্যাডিনয়েড রোগের লক্ষণই সর্দি-কাশি। আর টেস্টের রিপোর্টে নিউমোনিয়া ছিল না। নিউমোনিয়া থাকলে আমরা অপারেশন করতাম না।

    মেডিল্যাব হেলথ সেন্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রণব কুমার সাহা মঞ্জু বলেন, আমিতো মেডিকেল লাইনের কেউ না। এ বিষয়ে ওই চিকিৎসকরাই ভালো বলতে পারবেন।

    সিভিল সার্জন সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…