এইমাত্র
  • এগিয়ে আনা হলো বিপিএলের ফাইনাল
  • শেখ হাসিনার বিচারের মঞ্চ হবে ফাঁসির মঞ্চ : সারজিস
  • গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি ‘বায়তুল আমান’
  • বগুড়ায় আওয়ামী লীগ ও জাসদ কার্যালয়ে ভাঙচুর-আগুন
  • সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের বাসভবনে হামলা ভাঙচুর আগুন
  • ফের রিজার্ভ ছাড়াল ২০ বিলিয়ন ডলার
  • ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসররা এ দেশকে অস্থিতিশীল করতে পায়তারা করছে : টুকু
  • আশুলিয়ায় সময়ের কন্ঠস্বরের সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
  • অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওন গ্রেপ্তার
  • জামালপুরে মেহের আফরোজ শাওনের বাড়িতে আগুন
  • আজ শুক্রবার, ২৩ মাঘ, ১৪৩১ | ৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    শিক্ষকদের অবহেলায় বন্ধ ক্লাশ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ

    আশরাফুল ইসলাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭ পিএম
    আশরাফুল ইসলাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭ পিএম

    শিক্ষকদের অবহেলায় বন্ধ ক্লাশ পরীক্ষা, শিক্ষার্থীদের অভিনব প্রতিবাদ

    আশরাফুল ইসলাম, যবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১১:১৭ পিএম

    যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি), প্রস্তাবিত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা এক অভিনব প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

    শনিবার (২৫ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে বিভিন্ন বিভাগের পিঠার স্টল দেখা গেলেও এগ্রো প্রোডাক্ট প্রসেসিং টেকনোলজি (এপিপিটি), প্রস্তাবিত ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জন্য বরাদ্দকৃত স্টলে দেখা যায় একটি সাদা ব্যানারে লাল রঙের লেখায় অর্থাৎ রক্তাক্ত লেখায় 'আমাদেরও অধিকার ছিল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করার'।

    জানা যায়, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও পিঠা উৎসবে উদযাপন থেকে বঞ্চিত করায় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা অভিনব প্রতিবাদের মাধ্যমে নিজেদের হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    এ বিষয়ে জানতে চাইলে এক শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন করার অধিকার আমাদেরও ছিল। বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন হচ্ছে অথচ আমরা উক্ত আয়োজন থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। আমরাও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এসব আয়োজনে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা, অধিকার সবটাই আমাদের ছিল। কিন্তু সেই অধিকার থেকেও শিক্ষকরা আমাদের বঞ্চিত করেছেন।

    ভিসি স্যারের কথায় আমরা আশ্বস্ত হয়ে ক্লাসে ফিরলেও বিভাগের শিক্ষকদের নাটকীয় দাবি শুরু হয়। যার জন্য ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা। দফায় দফায় আমরা ক্লাসে ফেরার জন্য চেষ্টা করি, কিন্তু স্যাররা আমাদের ক্লাসে ফেরার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেননি। আমরা চেয়েছিলাম ক্লাসে ফিরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী মিলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদযাপন করব। কিন্তু উক্ত উদযাপনের বিষয়ে ডিপার্টমেন্ট থেকে আমাদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করেনি।

    শিক্ষকরা আমাদের ক্যারিয়ার নিয়ে ছেলেখেলা শুরু করেছে, যা নিয়ে আমরা সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের জীবন নিয়ে আতঙ্কিত।

    শিক্ষার্থীদের অভিযোগ অস্বীকার করে এপিপিটি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, 'ডিপার্টমেন্টের নাম ও সাটিফিকেট পরিবর্তন নিয়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটি সমস্যা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে সমস্যা রিজেন্ট বোর্ডে প্রায় সমাধান হয়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার জন্য বিভাগের একজন শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছিলাম। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বারবার চেষ্টা করেন। তবে এপিপিটি বিভাগের স্টলে শিক্ষার্থীদের লাগানো বিষয়ে আমি অবগত নই।'

    তবে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে অংশগ্রহণের জন্য কোনো শিক্ষককে দায়িত্ব দিয়েছেন, সে বিষয়ে ওই শিক্ষকের নাম উল্লেখ করেননি।

    উল্লেখ্য, ডিগ্রি-সংক্রান্ত জটিলতায় গণঅভ্যুত্থানের পর থেকেই ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ রেখে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ ১৮ ডিসেম্বর ডিগ্রি ও বিভাগের নাম ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং করার আশ্বাসে ক্লাসে ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষার্থীরা।

    শিক্ষার্থীরা জানায়,জানুয়ারি থেকে ক্লাস হওয়ার কথা থাকলেও একদিন ক্লাস নিয়ে আন্দোলনের জন্য মাফ চাওয়ার কথা বলা হয়। শিক্ষার্থীরা মৌখিকভাবে মাফ চাইলেও নিজেদের নিরপরাধ এবং অধিকার আদায়ের জন্য এ আন্দোলন ছিল বলে লিখিত মাফ চাওয়ার বিষয়ে আপত্তি জানায়। যার ফলে ক্লাসে না ফেরার ঘোষণা দেন শিক্ষকরা।

    এফএস

    ট্যাগ :

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    চলতি সপ্তাহে সর্বাধিক পঠিত

    Loading…