এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মাদারীপুরে কালকিনি

    ৫ কোটি টাকার সেতুতে ৪ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

    ৫ কোটি টাকার সেতুতে ৪ বছরেও হয়নি সংযোগ সড়ক, দুর্ভোগে এলাকাবাসী

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৮ মার্চ ২০২৫, ১২:৫৬ পিএম

    প্রায় ৫ কোটি টাকার সেতুতে নেই সংযোগ সড়ক সীমাহীন দুর্ভোগে দুই ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। ব্রিজটির দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা, ছাত্র-ছাত্রীরা নির্ভয়ে যেতে পারছেনা বিদ্যাপীঠে, হাট-বাজারে, ব্যবসা বানিজ্য হচ্ছে না আগের মত। শিশু থেকে বৃদ্ধ সবাই থাকে আতঙ্গে কখন ঘটে দুর্ঘটনা। বার বার কালকিনি এলজিইডি শরনাপন্ন হলেও মিলছে না প্রতিকার।

    কালকিনি উপজেলা এলজিইডি অফিস থেকে জানা যায়, মাদারীপুরের কালকিনির শিকারমঙ্গল ও চরদৌলত খান ইউনিয়নের সিমান্তবর্তী এলাকা মিয়ার হাট নামক স্থানে আড়িয়াল নদের শাখা খালে প্রায় ৫ কোটি (‘অনুর্ধ্ব একশ মিটার ব্রীজ উন্নয়ন প্রকল্পের’ আওতায় ৪ কোটি ৯৪ লাখ ৫৯ হাজার ৩’শ ৭৬ ) টাকায় নির্মান করা হয় ৫১ মিটার দৈর্ঘের এ সেতু টি। চুক্তি অনুযায়ী ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর মিয়ারহাট বাজারের পাশের খালটিতে নির্মাণ কাজ শুরু হয়ে নির্দিষ্ট সময়ে ব্রীজটির তিনটি স্প্যানসহ মূল অবকাঠামো নির্মান কাজ সমাপ্ত করেন ঠীকাদারি প্রতিষ্ঠান সরদার এন্টারপ্রাইজ। তবে সংযোগ সড়ক না করেই ফেলে রাখা হয় সেতুটি। মাটি থেকে সেতুটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট ফলে দুই ইউনিয়নের স্থানীয় বাসিন্দাসহ দুই ইউনিয়নের জনগন পড়েছেন সীমাহীন দুর্ভোগে। সেতুটির পশ্চিম পাশে মিয়ার হাট বাজার থাকায় সেখানকার ব্যবসা বানিজ্য ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। স্কুল,কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী নির্বিগ্নে পারছেনা চলাচল করতে ফলে অভিভাবকেরা থাকেন দুশ্চিন্তায়। ভ্যান চালক, দিনমজুর, থেকে শুরু করে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের দুর্ভোগ হয়ে উঠছে চরমে। প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা তাইতো শিশু থেকে বৃদ্ধা, নারী পুরুষ সকলেই থাকে আতঙ্গে, সেতুটিতে উঠতে নামতে কখন কি ঘটে তা জানা নেই কারো। এলজিইডির পক্ষ থেকে ব্রীজটির এক পাড়ে নামে মাত্র বালু ফেলা হলেও অন্য পার রয়েছে খালি। তাই আসা যাওয়া ওঠা নামা এক আতঙ্গের নাম মিয়ার হাট সেতু। এই সমস্যা থেকে পরিত্রান চায় দুই পারের জনগন।

    স্থানীয় ব্যবসায়ী কাসেম মিয়া বলেন ব্রীজ হয়েছে এতে আমরা অত্যান্ত খুশি কিন্তু আজকে সাড়ে ৩ থেকে ৪ বছর যাবত সংযোগ সড়ক ছাড়া ব্রীজটি ফেলে রেখেছে তারা। এই মিয়ার হাট বাজারে সপ্তাহে দু বার হাট বসে কিন্তু সংযোগ সড়ক সমস্যার কারনে আগের মত মানুষ হচ্ছে না যার কারনে বেচা কিনা নামছে ধস। কয়েক বার তাদের দারস্থ হলেও তারা এর কোন সমাধান করেছ না।

    পথচারী জব্বার আঁকন বলেন এই ব্রিজটির দুই পাশের রাস্তা না দেওয়ায় ব্রীজটিই আমাদের গলার কাটা হয়ে দাড়িয়েছে। দুই পাড়ের কোন একটা মালামাল আনা নেয়া করা যায় না। কয়েক দিন আগে ব্রীজ থেকে নামতে গিয়ে এক বৃদ্ধ দুর্ঘটনার স্বীকার হন । তাই আমরা জোড় দাবি জানাচ্ছি যত দ্রুত সম্ভব এটার সমাধান যেন সরকার করে দেয়।

    কালকিনি উপজেলা প্রকৌশলী রেজাউল করিমে সাথে এ বিষয়ে জানতে চইলে তিনি কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং উর্ধতন কর্তৃপক্ষের দোহাই দেন ।

    তবে উপজেলা নির্বাহি অফিসার উত্তম কুমার দাশ এ বিষয়ে আশ্বাস দিয়ে বলেন, এলজিইডির সাথে তার কথা হয়েছে দ্রুত এর সমাধান করা হবে যাতে করে ঐ অঞ্চলের মানুষেরা দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পায়।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…