এইমাত্র
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • ‘স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো’
  • রাজধানীতে ১২ তলা ভবনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১৪ ইউনিট
  • হাদিকে দেখতে হাসপাতালে তিন উপদেষ্টা
  • হাদিকে গুলি করা সন্ত্রাসীরা শনাক্ত, যেকোনো সময় গ্রেপ্তার: ডিএমপি কমিশনার
  • হাদির ওপর হামলা: রাতেই সারা দেশে ‘অলআউট’ অভিযান
  • এই হামলা বাংলাদেশের অস্তিত্বের ওপর আঘাত : প্রধান উপদেষ্টা
  • ওসমান হাদির অর্গান কাজ করছে: তাসনিম জারা
  • হাদির চিকিৎসা ও পরিবারের খোঁজখবর নিলেন জুবাইদা রহমান
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভোলার বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন উধাও, বাড়ছে মসলার দাম

    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ এএম
    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ এএম

    ভোলার বাজার থেকে বোতলজাত সয়াবিন উধাও, বাড়ছে মসলার দাম

    মো. সবুজ, ভোলা প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মার্চ ২০২৫, ১১:৪৭ এএম

    ভোলার বাজারে হঠাৎ করে কৃত্রিম সংকটের তৈরী হয়েছে বোতলজাত সয়াবিন তৈলের। এতে চরম বিপাকে পরেছেন সাধারণ ক্রেতারা। অন্যান্য পন্য ক্রয় ব্যতীত মিলছে না বোতলজাত সয়াবিন তৈল। এর সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মসলার দাম।

    ভোলার শহরের কাঁচা বাজার, খালপাড় পাইকারি ও খুচরা মুদি দোকানগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বোতলজাত সয়াবিন তেল কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন সাধারন ক্রেতারা। শহরের বড় আড়ৎ গুলোর বেশির ভাগ দোকানেই নেই বোতলজাত সয়াবিন তেল। তবে হাতেগোনা কয়েকটি দোকানে তেল থাকলেও ক্রয় মিলছে না সহজেই। তেল কিনতে আসা ক্রেতাদের দেওয়া হচ্ছে অন্য পন্য ক্রয় করার শর্ত।

    ক্রেতারা বলছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের অবৈধভাবে মজুদ করে পরবর্তীতে তা বাজারে চড়া দামে বিক্রি করার জন্য বড় ব্যবসায়ীদের এই কারসাজি। পাশাপাশি অন্য পন্য বিক্রির করার একটি কৌশল তৈরি করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি বেশ কিছু পন্যের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে অনিয়ন্ত্রিত। ভোক্তা অধিকার কতৃক নিয়মিত বাজার মনিটরিং করার জন্য জোড় দাবী জানিয়েছেন তারা।

    তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, বোতলজাত সয়াবিন তেলের সবগুলো কোম্পানিই এই সংকট তৈরি করেছেন। তারা তেলের জন্য কোম্পানির প্রতিনিধির কাছে চাহিদা দিলেও মিলছে না তৈল। তেল কিনতে ব্যবসায়ীদেরও দেওয়া হচ্ছে অন্যান্য পন্য ক্রয় করার শর্ত। চিনিগুড়া চাল, চা পাতা, হলুদের গুড়া ক্রয় করা ব্যতীত মিলছে না তেল। সাধারণ ক্রেতাদের চাহিদা মত বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি না করতে পারায় বিক্রেতা দোকান গুলোও পরেছেন বিপাকে।

    ভোলার বাজারে বাজার করতে আসা ক্রেতা কামাল, পাভেল, পেয়ার ইসলাম নুরুদ্দিন জানান, রোজা রেখে বাজারের মধ্যে কয়েকটি দোকান ঘুরেও তেলের দেখা পাননি। তবে হাতেগোনা ৩-৪টি দোকানে তেল পেলেও তেলের সঙ্গে অন্যান্য পন্য ক্রয় করতে বাধ্য করছেন দোকানদাররা। পন্য ক্রয় ছাড়া মিলছে না তেল।

    এদিকে বাজারে সয়াবিন তেলের পাশাপাশি কিছু পন্যের দাম বেড়েছে আবার কিছু পন্যের দাম কমেছে যেমন, ছোলা আগে ছিলো ১২০ টাকা কেজি যা বর্তমানে ১০০ টাকা, চিনি ১৪০ টাকা বর্তমানে ১২০ টাকা, ডাল, খেজুরের দাম অপরিবর্তিত, এলাচ আগে ছিলো ৩১০০ টাকা যা বর্তমানে ৬ হাজার টাকা, দারুচিনি আগে ছিলো ৫০০ টাকা বর্তমানে ৬০০ টাকা, চিড়া আগে ছিলো ৬৫ টাকা বর্তমানে ৭০ টাকা, চিনিগুড়া চাল আগে ছিলো ৯০ টাকা বর্তমানে ১১০ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল আগে ছিলো, ১৮৫ টাকা বর্তমানে ১৯০ টাকা লিটার দরে বিক্রি হচ্ছে।

    ভোলার বাজারে বেশ কিছু ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত এক থেকে দেড় মাসে ধরে তেলের সংকট দেখা দিয়েছে। বোতলজাত তেলের অর্ডার দিলে কোম্পানির লোকজন চাহিদা অনুযায়ী তেল দিচ্ছে না। তেলের সঙ্গে ডিলাররা চিনিগুড়া চাল, চা পাতা, হলুদের গুড়া জাতীয় পণ্য জোরপূর্বক ভাবে আমাদের নিতে বাধ্য করছেন। ক্রেতাদের চাহিদা মেটানোর জন্য আমরাও এসকল পন্য নিতে বাধ্য হই।

    তারা আরো জানান, বর্তমান বাজারে বেশ কিছু পন্যের দাম কমলেও ঈদকে সামনে রেখে মসলা জাতীয় দ্রব্যের দাম বেড়েছে বিপুল পরিমান।

    ভোলা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. আজাদ জাহান জানান, ভোলায় বোতলজাত সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট, নাকি অন্য কোনোকিছু এর পেছনে রয়েছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    তিনি আরো বলেন, আমি ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা যেন নিয়মিত ভোলার বাজারগুলো মনিটরিং করে। রমজান মাসে যদি কোনো ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে। তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং ইতিমধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…