এইমাত্র
  • দেশের সব নির্বাচন অফিসে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
  • স্বামীকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে হত্যার অভিযোগ, স্ত্রী ও প্রেমিক আটক
  • রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্দে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা চান এরদোয়ান
  • ওসমান হাদির ওপর হামলাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা মনে করছে না বিএনপি
  • ছুটির দিনেও খোলা থাকবে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়
  • ওসমান হাদির ওপর হামলার পর পানছড়ি সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার
  • ১২ ঘণ্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি জাবালে নূর টাওয়ারের আগুন
  • চট্টগ্রাম-১৫ আসনে বিএনপি’র প্রার্থীকে জরিমানার পর শোকজ
  • আফগানিস্তানকে ৩ উইকেটে হারাল বাংলাদেশ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আক্রান্ত ৫৭২
  • আজ রবিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    বিরামপুরে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রদল সভাপতিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ এএম
    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ এএম

    বিরামপুরে চাঁদাবাজি মামলায় ছাত্রদল সভাপতিসহ ৫ জন গ্রেপ্তার

    ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০২৫, ১২:২৭ এএম

    দিনাজপুরের বিরামপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিষয়ে সমাধান করে দেওয়ার কথা বলে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি। চাঁদা না পেয়ে বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর ও বিভিন্ন প্রজাতির ফলের গাছ কাটার মামলায় সানোয়ার হোসেন (২৬) নামে উপজেলার পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতিসহ ৫ জন কে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

    মঙ্গলবার (১ লা এপ্রিল) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মমতাজুল হক। উপজেলার ৭ নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়নের ১ ওর্য়াডের চন্ডিপুর(চায়না অফিস) এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।


    গ্রেফতারকৃতরা হলেন, উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে মো. সানোয়ার হোসেন (২৬)। তিনি ৭নং পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি। অন্যরা হলেন, একই গ্রামের ইয়াসিন আলীর ছেলে মো. শাহা আলম (৩৬), জয়নাল আবেদীনের ছেলে মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (২৯), আশরাফ আলীর ছেলে মো. মোস্তাফিজুর রহমান (২৬), মৃত আলেফ আলীর ছেলে মো. রতন রানা (২৫)। গত রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, পলিপ্রয়াগপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সানোয়ার হোসেন ও তার গংদের সঙ্গে পৌরশহরের ঘাটপাড় এলাকার অধ্যাপক ডাঃ মোঃ মোখলেছুর রহমানের সাথে দীর্ঘদিন থেকে জমিজমার বিষয় নিয়ে মনোমানিল্য হয়ে আসিতেছিল। সেই জমির বিষয়ে সমাধান করার কথা বলে তারা ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে।

    মোখলেছুর রহমান পেশায় একজন ডাক্তার হওয়ায় তার জমি চন্ডিপুর (চায়না অফিস) এলাকার মৃত জাবেদ আলীর ছেলে মো. ফারুক হোসেন (৪৩), কে জমিজমা দেখাশোনার জন্য কর্মচারী হিসেবে রাখেন। তিনি দীর্ঘদিন থেকে তার জমিজমা দেখাশোনা করে আসছিলেন। সেই জমিতে ফারুক হোসেন একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেন। জমিতে এ মৌসুমে কুল (বড়ই) এবং কমলা চারা সহ বিভিন্ন প্রজাতির ফল গাছ লাগিয়ে তিনি পরিচর্যা করে আসছিলেন। এ মৌসুমে প্রতিটি বড়ই গাছে পর্যাপ্ত পরিমানে বড়ই ধরে, কিছু বিক্রয় করেন আর কিছু বড়ই এখনও গাছে আছে। জমি দেখাশোনার কাজ করায় তারা সময় সুযোগমত ফারুক হোসেনের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে। বাড়িঘর উচ্ছেদ করে জমি দখল করবে বলে প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিত ঐ ছাত্রদল সভাপতি।

    গত রবিবার (৩০ মার্চ) দুপুর দেড় টার দিকে ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সানোয়ারসহ অজ্ঞাত নামা ২০/২৫ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে লাঠি সোঠা, রামদা, লোহার রড, শাবল, ধারালো চাকু, ছুরি, দা, বেকী, কোদাল ও কুঠার ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে দল বেঁধে বাগানে ঢুকে পরে। বাগানে ঢুকে বাগানে থাকা ১৫৭ টি বড়ই গাছ, ৮৪টি কমলা গাছ ও ২৩টি আমের গাছের গোঁড়া কেঁটে দেয়। যার আনুমানিক মূল্য ১৬ লাখ ৮০ হাজার ৫৬০ টাকার ক্ষতি সাধন করে।

    এসময় তাদের গাছ কাটতে নিষেধ করলে তারা কর্মচারী ফারুক হোসেনের উপর ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে ছাত্রদল সভাপতি সানোয়ার হোসেন হুকুম দেন, শ্যালাদের শেষ করে দাও, হুকুম করার সঙ্গে সঙ্গে তারা কর্মচারী ফারুকের ওপর আক্রমন করে। প্রানভয়ে দৌড় দিয়ে বাড়ীতে চলে আসে। তখন ছাত্রদল সভাপতি আবারও হুকুম করে, শ্যালাদের ধর। হুকুম করার সঙ্গে সঙ্গে তারা সবাই ফারুকের পিছনে ধাওয়া করে। তারা ধাওয়া করে বসত বাড়ীতে অনধিকার ভাবে ঢুকে পরে। বাড়িতে ঢুকে তারা তাদের এলোপাথারীভাবে মারপিট শুরু করে। মারপিটে শরীরের বিভিন্নস্থানে জখম করে।

    ছাত্রদল সভাপতি সানোয়ার হোসেনের হাতে থাকা লোহার শাবল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে ফারুক হোসেনের মামাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন কে ডান হাতের কনুইয়ের নিচে ডাং মেরে গুরুত্বর জখম করে। দেলোয়ার মাটিতে পরে গেলে তার সঙ্গে থাকা মো. আবু বক্কর ছিদ্দিক লোহার রড দিয়ে বাম হাতের কনুইয়ের নিচে আবারও ডাং মেরে গুরুতর জখম করে।

    একপর্যায়ে, ফারুক হোসেনের বিদ্যুতের মিটারসহ বাড়ীঘর ভাংচুর করে আনুমানিক ১২ লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে এবং বক্সের ভিতরে রাখা ব্যবসার নগদ ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা অসৎতের উদ্দেশ্যে চুরি করে নিয়ে যায়। ফারুক হোসেন জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুজহাত তাসনীম আওন, বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মমতাজুল হক থানা ফোর্স, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা কর্মচারীসহ স্থানীয় জনগন দ্রুত ঘটনাস্থলে তাদের আটক করে। এ সময় বড়ই বাগান দিয়ে দৌড় দিয়ে পালানোর সময় তারা আঘাত প্রাপ্ত হয়। ঐ সময় উত্তেজিত জনতা তাদের মারপিট করে জখম করে।

    বিরামপুর থানার অফিসার ইনর্চাজ (ওসি) মমতাজুল হক বলেন, ফারুক হোসেনের দায়ের করা মামলায় মো. সানোয়ার হোসেনসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এই মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…