এইমাত্র
  • ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালো ইনকিলাব মঞ্চ
  • জীবনের নিরাপত্তা চান জাকির খান, থানায় জিডি
  • দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি চালকের!
  • ভারতের হাইকমিশনারকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া উচিত: হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সৌদি আরব
  • ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে
  • পে-স্কেল নিয়ে অবশেষে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
  • মেক্সিকোর সংসদে নজিরবিহীন হট্টগোল, চুলোচুলিতে জড়ালেন আইনপ্রণেতারা
  • কলকাতার নিউটাউনে ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    আন্তর্জাতিক

    'আমি যদি মারা যাই, তাহলে ইচ্ছা শুধু এটাই যে আমার মৃত্যু যেন হয় কোলাহলপূর্ণ'

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম
    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

    'আমি যদি মারা যাই, তাহলে ইচ্ছা শুধু এটাই যে আমার মৃত্যু যেন হয় কোলাহলপূর্ণ'

    আন্তর্জাতিক ডেস্ক প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৮ পিএম

    ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ফিলিস্তিনি ফটোসাংবাদিক ফাতিমা হাসৌনা গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) নিহত হয়েছেন। ওই হামলায় তার পরিবারের আরও ৯ সদস্য নিহত হয়েছেন।

    তবে গাজায় বসবাসরত তরুণ ফটোসাংবাদিক ফাতিমা হাসুনা জানতেন, মৃত্যু তার দোরগোড়ায়। কারণ—গাজায় ১৮ মাস ধরে যুদ্ধের ছবি তুলছেন তিনি। মৃত্যু যেকোনো সময় আসবে জেনেও আবদার ছিলো শুধু একটাই: চুপচাপ এই পৃথিবী থেকে চলে যেতে চান না ফাতিমা।

    তাই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছিলেন, ‘আমি যদি মারা যাই, তাহলে ইচ্ছা শুধু এটাই যে আমার মৃত্যু যেন হয় কোলাহলপূর্ণ। আমি শুধু সংবাদের শিরোনাম বা একটি সংখ্যা হতে চাই না। চাই এমন এক মৃত্যু, যা বিশ্ব শুনবে; এমন এক প্রভাব, যা সময়ের সাথে রয়ে যাবে; এমন এক ছবি, যা সময় বা স্থানের গর্ভে ঢাকা পড়বে না।’

    যা লিখলেন, তাই হয়েছে। হয়তো দয়াময় ঈশ্বর তার ইচ্ছাগুলো শুনেছেন। তবে, বাস্তবে যা ঘটেছে, ভয়াবহ ও হৃদয়বিদারক। কারণ— ইসরায়েলি বিমান হামলায় ফটো জার্নালিস্ট ফাতিমা হাসুনা ও তার পরিবারের ১০ সদস্য ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।

    গত বুধবার (১৬ এপ্রিল) তার বিয়ের মাত্র কয়েক দিন আগে, ২৫ বছর বয়সী ফাতিমা উত্তর গাজায় তার বাড়িতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত হন। তার গর্ভবতী বোনসহ পরিবারের আরও ১০ সদস্যও এই হামলায় প্রাণ হারান।

    আসন্ন কান উৎসবে তথ্যচিত্র ‘পুট ইওর সোল অন ইওর হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ প্রদর্শিত হবে। তথ্যচিত্রটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে আছেন ফাতিমা। গতকাল সংবাদমাধ্যম ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যচিত্রটি ঘোষণার একদিন পরই গাজা সিটিতে ফাতিমার বাড়িতে হামলা চালায় ইসরায়েল।

    ইরানি পরিচালক সেপিদেহ ফারসি নির্মিত ‘পুট ইয়র সোল অন ইয়র হ্যান্ড অ্যান্ড ওয়াক’ শীর্ষক এই চলচ্চিত্রে হাসুনা ও ফারসির ভিডিও কথোপকথনের মাধ্যমে গাজায় ফিলিস্তিনিদের দৈনন্দিন জীবন ও যন্ত্রণার গল্প বলা হয়েছে। ফারসির বর্ণনায়, হাসুনা হয়ে উঠেছিলেন ‘গাজায় আমার একমাত্র চোখ: প্রাণবন্ত ও জীবনোচ্ছ্বল। আমি তার হাসি, কান্না, আশা ও হতাশা সবই ধারণ করেছি’।

    ফাতিমার মৃত্যুর পর ফারসি বলেন, ‘আমি হারালাম আমার গাজার চোখকে। যাকে দিয়ে গাজার মানুষগুলোকে দেখতে পারতাম। ফাতিমা ছিল এক উজ্জ্বল আলো, যে গাজার বেদনা ও সংগ্রামকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিয়েছে’।

    এদিকে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, এটি ইসরায়েলি সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিকদের ওপর হামলায় জড়িত এক হামাস সদস্যকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছিল।

    উল্লেখ্য, গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ১০০ জনের বেশি সাংবাদিক নিহত হয়েছেন।

    এবি

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…