এইমাত্র
  • মেসি-শচীনের ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ, উপহার বিনিময়
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় মামলা
  • হাবিবুরসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক শুরু আজ
  • বাংলাদেশি শান্তিকর্মীদের ওপর হামলা, সুদানকে সতর্কবার্তা জাতিসংঘের
  • হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সোমবার
  • সোমবার হাদিকে থাইল্যান্ডে নিতে চায় তার পরিবার
  • আবারও রাজধানীতে বাসে আগুন
  • প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শোক জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • সেই ফয়সালের সই করা বিপুল চেকসহ আটক ৩
  • সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    রাজধানী

    রাজধানীতে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল চিরকুট

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম

    রাজধানীতে দম্পতির মরদেহ উদ্ধার, পাশেই ছিল চিরকুট

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ২০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৫ পিএম
    ছবি: সংগৃহীত

    রাজধানীর ওয়ারী এলাকার একটি বাসা থেকে স্বামী স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে ওয়ারী থানার ওয়ার স্ট্রীট জমজম টাওয়ারের পাঁচতলার একটি কক্ষ থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশ।

    তারা হলেন- স্বামী মোহাম্মদ মুঈদ(৩২) ও স্ত্রী আইরিন আক্তার রত্না (৩৫)।

    ওয়ারী থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) কাউছার আহম্মদ বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে ওই বাসা থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়। স্বামী মুঈদের মরদেহ পচনশীল ছিল। একই বিছানায় মৃত অবস্থায় পড়েছিল তার স্ত্রী রত্না। সিআইডি ক্রাইম সিন মরদেহের বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে। পরে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়।

    এসআই আরও বলেন, ওই বাসায় স্বামী স্ত্রী দুজনই থাকতো। কারো সাথে তেমন যোগাযোগ ছিল না। এক কাজের বুয়া ঠিকে কাজ করতো। তবে দুই মাস যাবত কাজের মহিলার বেতন দিতে পারেনি। রোজার ঈদের পরে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। গত বৃহস্পতিবার বিকালে বেতন নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাজের বুয়া ওই বাসায় যায় এবং অনেকক্ষণ কলিংবেল টিপেও কোন সারা শব্দ না পেয়ে চলে যায়। এরপর শনিবার বিকেলে বাড়িওয়ালার মাধ্যমে ওই বাসায় আবার যায়। তখন অনেকক্ষণ কলিং সারা শব্দ না পেয়ে থানা পুলিশের খবর দেয়। খবর পেয়ে ঐ বাসায় গিয়ে কেচিগেটের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে মরদেহ দুটি পড়ে থাকতে দেখি। মুঈদের মরদেহ পচনশীল ছিল। একই বিছানায় তার স্ত্রী রত্নার মরদেহ পড়েছিল।

    পাশেই একটি চিরকুট পাওয়া যায়। সেখানে লেখা ছিল। বিয়ের পর আমার বাবা মা স্বামীর পরিবারের সাথে কোন যোগাযোগ নাই। আমাদের দুজনের মরদেহ ঢাকাতে কোন সরকারী কবরস্থানে দাফন দিয়েন। আমার এবং আমার স্বামীর বাড়িতে নেওয়ার দরকার নাই।

    এসআই বলেন, স্বামী মুঈদ দীর্ঘদিন যাবত ক্যান্সারে ভুগছিলেন। তার স্ত্রী রত্না বাইরে কোথাও বের হতেন না। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামী চার পাঁচদিন আগে মারা গেছে। এই শোকে স্ত্রী কোন কিছু সেবন করে আত্মহত্যা করতে পারে। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

    এদিকে মৃত মুঈদের বড় ভাই ডা. মুগলী সানি জানান, গত ২১ সালের পর তাদের সাথে আর কোন যোগাযোগ নেই। ঢাকার কোথায় থাকতো আমাদের জানা ছিল না। তার ভাইয়ের আমেরিকা যাওয়ার কথা ছিল। গতকাল সন্ধ্যায় পুলিশের মাধ্যমে তাদের মরদেহ উদ্ধারের কথা জানতে পারি। তবে কিভাবে মারা গেছে তা আমাদের জানা নেই। তাদের বাড়ি কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলার আড়াই কান্দি গ্রামে বাবার নাম মো. মুসা। মৃত রত্নার বাড়ি কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায়। বাবার নাম জয়নাল আবেদিন।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…