খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছয় শিক্ষার্থী।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টা থেকে রাবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের ফটকের সামনে এই অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা।
অনশনকারীরা হলেন- বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন, রাবি শাখার সমন্বয়ক ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন আম্মার, ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের শিক্ষার্থী আতাউল্লাহ, সমাজকর্ম বিভাগের আরিফ আলভি, গণিত বিভাগের মৌসি, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের আরিফুল ইসলাম ও ইসমাইল হোসেন।
‘দফা এক, দাবি এক-কুয়েট ভিসির পদত্যাগ’, ‘স্ট্যান্ড উইথ কুয়েট’, ‘আপস নয়, সংগ্রাম’—এমন নানা স্লোগানসংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।
সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘৫ আগস্টের ঘটনার পর আমরা পরিবর্তনের আশা করেছিলাম। কিন্তু এখন আমরা দেখছি, একধরনের ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা পাচ্ছে। কুয়েটের উপাচার্য বহিরাগতদের হামলাকে বৈধতা দিয়ে উল্টো শিক্ষার্থীদের বহিষ্কার করেছেন। তিনি তাঁর পদে থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা হারিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘উপাচার্য দাবি করছেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী তাঁর পদত্যাগ চান না। কিন্তু বাস্তবতা হলো সারাদেশের শিক্ষার্থীরা তাঁর পদত্যাগ দাবি করছে। কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অনশনে আছেন। তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। সরকার এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এটা এখন কেবল কুয়েটের বিষয় নয়, বরং জাতীয় সংকট।’
অনশনকারীরা জানিয়েছেন, কুয়েট উপাচার্য মাসুদ হোসেনকে অপসারণ না করা পর্যন্ত তাঁদের অনশন চলবে।
এআই