এইমাত্র
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধার পর খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার
  • হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল
  • কাজিপুরে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • সিরাজগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
  • গভীর রাতে কৃষকের গরু জবাই করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
  • খড়ের আড়ালে চোলাই মদ পাচারের চেষ্টা, আগুন দিল জনতা
  • ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    উলিপুরে কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১১ পিএম
    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১১ পিএম

    উলিপুরে কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

    সাজাদুল ইসলাম, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:১১ পিএম

    কুড়িগ্রামের উলিপুরে কাজ শেষ না করেই প্রকল্পের চার লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। আর এই কাজে সহায়তা করেছেন সংস্কার কাজের দায়িত্বে থাকা উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

    জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলার যমুনা চৌমহনী হতে বুড়াবুড়ি ইউপি কার্যালয় পর্যন্ত ৩ কিলো ৬৬০ মিটার রাস্তার সংস্কার কাজের বরাদ্দ দেওয়া হয় এক কোটি ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা। সংস্কারের কাজের দায়িত্ব পান মেসার্স আব্দুল্লাহ ট্রেডার্স নামে কুড়িগ্রামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কাজটি সাব ঠিকাদারি করেন বুড়াবুড়ি এলাকার শহিদুর রহমান নামে এক ইটভাটা মালিক।

    অভিযোগ রয়েছে, সাব ঠিকাদার শহিদুর রহমান একজন ভাটা মালিক। উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয়ের উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম যোগসাজসে শহিদুর রহমানের ভাটার তৃতীয় শ্রেণির ইট দিয়ে রাস্তার সংস্কার করছেন। শুধু তাই নয় ওই রাস্তার কিলোমিটার পোস্ট, গাইড পোস্ট, রাস্তার নামফলকসহ ৩০টি সাইনের তিন লাখ ৯৮ হাজার ৩২০ টাকার কাজ না করেই প্রকল্পের সমুদয় ওই বছরের ৪ মার্চ তুলে নিয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। আর এ কাজে সহযোগীতা করেছেন উপসহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম বলে।

    শহিদুর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় প্রভাব খাটিয়ে নিন্মমানের সামগ্রী দিয়ে সংস্কারের কাজ করলেও স্থানীয় মানুষজন প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, এক বছর আগে রাস্তা সংস্কার করা হলেও রাস্তার কিলোমিটার পোস্ট, গাইড পোস্ট, রাস্তার নামফলক চোখে পড়েনি।

    বুড়াবুড়ি জনতারহাট সড়কে চলাচলকারী অটোরিকশাচালক আব্দুস ছাত্তার, সফিকুল ইসলাম জানান, সড়ক সংস্কারের সময় জনতারহাট বাজারের পাশে জোকমারী ব্রিজে কয়েকটি খুটি বসানো হলেও সেগুলো রং করা হয়নি।

    সাব ঠিকাদার শহিদুর রহমান বলেন, কাজ করতে গিয়ে প্রায় ২৫ শতাংশ লেস (ছাড়) দিতে হয়। তাই কিছু কাজ বাকি রয়েছে। এক বছরেও বাকি কাজ সম্পন্ন করেননি এমন প্রশ্নের জবাবে সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।উপ-সহকারী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে রাজি হননি।

    এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী প্রদীপ কুমারকে একাধিক বার ফোন দিলেও ফোন রিসিভ করেন নাই। এছাড়াও বিভিন্ন যোগাযোগ মাধ্যেমে খুদে বার্তা দিলে কোন সাড়া দেন নাই।

    তবে কুড়িগ্রাম নির্বার্হী প্রকৌশলী মাসুদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্তটিম গঠন করা হবে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…