গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয় গাজীপুরের কর্মকর্তাগণ অভিযান চালিয়েছেন। এ সময় স্বাস্থ্য সেবার মান, লাখ লাখ টাকার মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অব্যবহৃত বিকল যন্ত্রপাতি ও নানা কাগজপত্রে অনিয়ম পাওয়া গেছে দুদক কর্মকর্তাগণ জানিয়েছেন।
জানা যায়, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গত ২০২৩ ও ২৪ সালে বরাদ্দ পাওয়া বিপুল পরিমাণ ওষুধ রোগীদের মাঝে বিতরণ না করে সংরক্ষণাগারে ফেলে রাখা হয়েছিল। তাছাড়া বেশ কিছু যন্ত্রপাতি বেশ কয়েক বছর ধরে পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজে ব্যবহার না করে স্টোর রুমে ফেলে রাখা হয়েছিল।
বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যরা হলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান খান, ঢাকা বিভাগের সহকারী পরিচালক ডা. জমির মোঃ হাসিবুস সাত্তার, উপ পরিচালক ডা. মোঃ হারুন অর রশিদ। গতকাল সোমবার তিন সদস্য বিশিষ্ট ওই কমিটি তদন্ত করতে সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন। একই দিনে দুদক গাজীপুর জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের কর্মকর্তাগণও দিনব্যাপী অভিযান চালান। এ অভিযানে অংশ নেন দুদক গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া, উপ সহকারী পরিচালক প্রান্তিক সাহা।
এ সময় গাজীপুর জেলা সিভিল সার্জন ও সাবেক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মামুনুর রহমান, বর্তমান উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান, সাবেক স্টোর কিপার আব্দুর রাজ্জাক ও বর্তমান স্টোর কিপার আজহারুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তদন্ত কমিটি ও দুদক কর্মকর্তাগণ পৃথকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
দুদক গাজীপুরের সহকারী পরিচালক মোঃ সেলিম মিয়া জানান, কাপাসিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা প্রদানে অনিয়ম ও হয়রানি এবং সরকারি ওষুধ বিতরণে অবহেলার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার মান,ওষুধের মজুত রেজিস্টার, ওষুধ বিতরণ রেজিস্টার, রোগীদের খাবারের মানসহ অন্যান্য বিষয় পর্যবেক্ষণ করা হয়। এ সময় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে বিপুল পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ এবং যন্ত্রাংশ স্টোরে নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ ছাড়া ওষুধ বিতরণে অনিয়মের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
এফএস