এইমাত্র
  • হানিমুন বাদ দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন মেসিকে দেখতে, বিশৃঙ্খলায় সব পণ্ড
  • লোহাগাড়ায় ইটভাটায় অভিযান-জরিমানা
  • নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি
  • আজও হাত মেলায়নি ভারত-পাকিস্তান
  • মিরসরাইয়ে জুলাই যোদ্ধা তাহমিদ হত্যায় ছাত্রদল কর্মী গ্রেপ্তার
  • নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ
  • এবার হলিউডে নাম লেখালেন রোনালদো!
  • আইপিএল নিলাম থেকে বাদ পড়লো ৯ ক্রিকেটারকে
  • মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা, হাদির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক
  • হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে: চিকিৎসক
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    কাজীপুরে জরাজীর্ণ একটি সেতুর রেলিং ভাঙা, ঝুঁকিতে চলাচল

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম
    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম

    কাজীপুরে জরাজীর্ণ একটি সেতুর রেলিং ভাঙা, ঝুঁকিতে চলাচল

    উপজেলা করেসপন্ডেন্ট প্রকাশ: ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৪৩ পিএম

    সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে ইছামতি নদীর উপর নির্মিত একটি সেতুর দুই পাশের রেলিং দীর্ঘদিন আগে ভেঙে গেছে। জরাজীর্ণ সেতু দিয়ে চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে স্থানীয় লোকজন গ্রামীণ জনপদের এ সেতুটি দ্রুত সংস্কার অথবা নতুন করে নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন।

    সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার সোনামুখী ইউনিয়নের পাঁচগাছি এলাকার কৃষ্ণগোবিন্দপুর চরপাড়া ত্রিশক্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই সেতুটির অবস্থান। নির্মাণের সময় সেতুর দুই পাশে রেলিং ছিল। সাত-আট বছর আগে থেকে সেতুর দুই পাশের রেলিং ভাঙতে শুরু করে। সেতুটি এখন জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। সরু সেতুটির ওপর দিয়ে পাশাপাশি দুটি ইজিবাইক যাতায়াতও ঝুঁকিপূর্ণ। অপরদিকে সেতুর দুপাশে সংযোগ সড়কও পাকাকরণ করা হয়নি।

    স্থানীয়রা জানান, সেতুটির ওপর দিয়ে হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন ধরণের হালকা যানবাহন নিয়ে চলাচল করে। পাঁচগাছি, পাইকপাড়া, চরকাদহ সহ আশপাশের প্রায় পাঁচটি গ্রামের মানুষ সেতুটি ব্যবহার করেন। এলাকাটি কৃষি পণ্য উৎপাদনে প্রসিদ্ধ। ওই সেতু দিয়ে প্রতিদিন কয়েক হাজার মণ কৃষিপণ্য পাড়াপাড় করেন কৃষকেরা।

    সাইফুল ইসলাম নামের এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, 'সেতুটি নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যেই রেলিং এর পলেস্তারা চটে যেতে থাকে। এখন প্রত্যেক রাতেই দুই একটা করে রড নাই হয়ে যায়। দিনের বেলায় চলাচল করা গেলেও রাতের অন্ধকারে চলাচল খুবই কষ্ট ও ঝুঁকিপূর্ণ। '

    কৃষক চান মিয়া বলেন, 'প্রতিনিয়তই নদীর ওপারের কৃষিপণ্য ট্রলি অথবা ভ্যানে করে আনতে হয়। একেতে সরু সেতু তার ওপর রেলিং ভাঙা। যে কোন সময় মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।'

    মোকলেছুর নামের এক ব্যক্তি বলেন, 'জরাজীর্ণ এ সেতুর ওপর দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে মোটরসাইকেল, বাইসাইকেল, অটোরিকশা, ভ্যান ও হেঁটে চলাচল করছেন। বেশি ঝুঁকিতে শিশু ও বয়স্করা। দ্রুত সংস্কার অথবা নতুন করে সেতু নির্মাণ না হলে যে কোন সময় প্রাণহানী হতে পারে।'

    স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) কাজীপুর উপজেলা প্রকৌশলী একেএম হেদায়েত উল্ল্যাহ বলেন, 'সড়কটি এলজিইডির গেজেট ভুক্ত না। আমরা গেজেটভুক্ত করার জন্য প্রস্তাবনা পাঠাবো। তারপর ওই রাস্তার পাকাকরণের কাজ হাতে নেব। সেতুটি অনেক আগে নির্মাণ করা হয়েছে। ২০০০ সালের আগের কোন নথিপত্র আসলে অফিসে নেই। তবে সেতুটি অন্য কোনভাবে সংস্কার করা যায় কিনা বিষয়টা দেখছি।'

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…