এইমাত্র
  • স্বামীসহ সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
  • ‘এখনও ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়’
  • ঢাবিতে অবিস্ফোরিত ৭টি ককটেল উদ্ধার
  • খামেনিকে হত্যার বিষয়ে কখনো আলাপই হয়নি: নেতানিয়াহু
  • শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
  • ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে নিহত ৪২৭
  • কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
  • এইচএসসি পরীক্ষার সব কেন্দ্রে সক্রিয় থাকবে মেডিকেল টিম
  • ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার টোল আদায়
  • চতুর্থ দফায় ইরানের হামলায় ইসরায়েলে নিহত ৩, আহত ৬৭
  • আজ সোমবার, ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৬ জুন, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    জিআই স্বীকৃতি পেল বদলগাছীর ‘নাক ফজলি আম’

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১২:৫৫ এএম
    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

    জিআই স্বীকৃতি পেল বদলগাছীর ‘নাক ফজলি আম’

    সময়ের কণ্ঠস্বর ডেস্ক প্রকাশ: ৭ মে ২০২৫, ১২:৫৫ এএম

    এবার জিওগ্রাফিকাল ইন্ডিকেশন (জিআই) সনদ পেয়েছে নওগাঁর ‘নাক ফজলি আম’। এই আম বেশ লম্বা, স্বাদে অতুলনীয়, মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত হয়ে থাকে। নাক ফজলি আম প্রথম চাষ শুরু হয়েছিল জেলার বদলগাছী উপজেলায়। এদিকে, নিজ জেলার আমের এমন স্বীকৃতিতে উচ্ছ্বসিত জেলাবাসী।

    মঙ্গলবার (৬ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদলগাছী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাবাব ফারহান। তিনি জানান, গত ১ মে বিশ্ব মেধাসম্পদ দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় ‘নাক ফজলি আম’ চাষি সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোজাফ্ফর হোসেনের হাতে জিআই সনদ তুলে দেয়া হয়। সনদ হস্তান্তর করেন শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

    কৃষি কর্মকর্তা সাবাব ফারহান আরও বলেন, ‘নাক ফজলি আম' স্বাদে অতুলনীয়, মিষ্টি ও সুগন্ধিযুক্ত। এটি শুধু একটি ফল নয় বরং এ অঞ্চলের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও কৃষি অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আমের স্বাদ, পুষ্টিগুণ ও বহুমুখী ব্যবহার সারা দেশে পরিচিতি এনে দিয়েছে।

    এর আগে, ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে বদলগাছীর ‘নাক ফজলি আমের’ পক্ষে পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরে জিআই নিবন্ধনের আবেদন করা হয়। পরে নওগাঁ জার্নাল নং ৫৬ প্রকাশিত হলে বিধিমতো দুই মাস অপেক্ষার পর কোনো পক্ষ থেকে বিরোধিতার নোটিশ না আসায় সনদ প্রদান করা হয়।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের মতে, এ অঞ্চলের রাজা বাদশাদের অনেকেরই শখ ছিলো নতুন নতুন গাছপালা সংগ্রহের। তেমনই নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ভান্ডারপুরের জমিদার বিনোদ কুমার লাহিড়ীর ছিল ভ্রমণ আর গাছপালা সংগ্রহের শখ। প্রতিবছর তিনি স্বপরিবার যেতেন তীর্থ ভ্রমণে। আর ফেরার সময় ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে আনতেন বিভিন্ন ফল, বিশেষ করে বিভিন্ন জাতের আমের চারা। সেগুলো রোপণ করতেন তার নিজস্ব বাগানে। এভাবেই বিনোদ কুমার লাহিড়ী নিজের শখের বাগানে লাগিয়েছিলেন কাশি ফজলি, বোম্বে ফজলি, দেবীভোগ, মালদা ফজলি নামের সুস্বাদু আম।

    জানা যায়, ইংরেজ গভর্নর লর্ড লিটনের (১৯২২-১৯২৭) আমলে বিনোদ কুমার লাহিড়ী মুর্শিদাবাদের নবাবদের বাগান থেকে সংগ্রহ করেছিলেন উৎকৃষ্ট স্বাদের নাক ফজলির চারা। লাগিয়েছিলেন নিজের বাগানে। এরপর থেকে নওগাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এ আম। এই আমের নিচের দিকে নাকের মতো আছে বলে এর নাম নাক ফজলি রাখা হয়ে থাকতে পারে।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…