এইমাত্র
  • ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ভবনে ইসরাইলের হামলা
  • স্বামীসহ সাবেক হাইকমিশনার সাঈদা মুনার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু
  • ‘এখনও ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে গণমাধ্যম পুরোপুরি মুক্ত নয়’
  • ঢাবিতে অবিস্ফোরিত ৭টি ককটেল উদ্ধার
  • খামেনিকে হত্যার বিষয়ে কখনো আলাপই হয়নি: নেতানিয়াহু
  • শেখ হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ
  • ঈদযাত্রার ১৫ দিনে সড়ক, রেল ও নৌ-পথে নিহত ৪২৭
  • কক্সবাজারে বাস-কাভার্ডভ্যান সংঘর্ষে বাবা-ছেলেসহ নিহত ৩
  • এইচএসসি পরীক্ষার সব কেন্দ্রে সক্রিয় থাকবে মেডিকেল টিম
  • ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতুতে ৩ কোটি ২৮ লাখ টাকার টোল আদায়
  • আজ সোমবার, ২ আষাঢ়, ১৪৩২ | ১৬ জুন, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সরকারি শিক্ষক হয়েও যুবলীগ সভাপতি, বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৫:০০ পিএম
    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

    সরকারি শিক্ষক হয়েও যুবলীগ সভাপতি, বৈষম্যবিরোধী মামলায় গ্রেপ্তার

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ১০ মে ২০২৫, ০৫:০০ পিএম

    সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়েও এক দশক ধরে রাজনীতিতে সরব উপস্থিতি অবশেষে আইনের জালে ধরা পড়লেন যুবলীগ নেতা মো. কামাল হোসেন সরকার। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করেছে দেবীগঞ্জ থানা পুলিশ।

    শুক্রবার (৯ মে) রাত সাড়ে ১১টায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার দণ্ডপাল ইউনিয়নের কালীগঞ্জ বাজার থেকে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    কামাল হোসেন সরকার প্রধানাবাদ ঢাকাইয়া পাড়ার বাসিন্দা ও মো. লিয়াকত আলীর ছেলে। তিনি মৌমারি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হলেও দীর্ঘদিন ধরে দণ্ডপাল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।

    পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট করতোয়া সেতুর পশ্চিম প্রান্তে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার ওপর হামলা চালানো হয়। এতে গুরুতর আহত হন রবিউল ইসলাম নামের এক যুবক। পরে তিনি ৪৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ১০০০-১২০০ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করে দেবীগঞ্জ থানায় মামলা করেন। কামাল হোসেন সরকার ওই মামলার অন্যতম আসামি।

    দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা বলেন, "হত্যা চেষ্টার অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় শিক্ষক কামাল হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতে পাঠানো হবে।"

    তবে সবচেয়ে বিস্ময়কর তথ্য হলো, সরকারি চাকরিজীবী হয়েও তিনি সরাসরি রাজনৈতিক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা ‘সরকারি কর্মচারী (আচরণ) বিধিমালা, ১৯৭৯’-এর স্পষ্ট লঙ্ঘন। এই বিধিমালার ২৫ (১) ধারা অনুযায়ী, কোনো সরকারি কর্মচারী রাজনৈতিক দলে সম্পৃক্ত হতে বা কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে পারেন না।

    দেবীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আজমল হোসেন বলেন, “আমাদের কাছে এখনো কোনো অফিসিয়াল তথ্য আসেনি। কোর্ট বা অন্য সূত্র থেকে নিশ্চিত হলে তাকে বরখাস্ত করা হবে।

    এই ঘটনা সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার বিতর্ককে আবারও সামনে নিয়ে এলো।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…