এইমাত্র
  • হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সোমবার
  • সোমবার হাদিকে থাইল্যান্ডে নিতে চায় তার পরিবার
  • আবারও রাজধানীতে বাসে আগুন
  • প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শোক জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • সেই ফয়সালের সই করা বিপুল চেকসহ আটক ৩
  • সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে
  • কুড়িগ্রামের দুই সেনাসদস্য সুদানে শহিদ, ‘নীরব হওয়ার’ শেষ বার্তা শান্তর
  • বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সাকিব-লিটনের পোস্ট
  • ছোট পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হেসে-খেলে হারাল ভারত
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    গ্রাহক হয়রানি

    কুয়াকাটা বিদ্যুৎ অফিসে সেবা বঞ্চিত গ্রাহকদের ক্ষোভ

    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম
    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

    কুয়াকাটা বিদ্যুৎ অফিসে সেবা বঞ্চিত গ্রাহকদের ক্ষোভ

    জুয়েল ফরাজী, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১২ মে ২০২৫, ০৮:০৯ পিএম

    পটুয়াখালীর কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস এখন দালালদের দখলে। এখানে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন সেবা প্রত্যাশীরা। দালাল ও অফিসের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে গ্রাহকদের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সেবা নিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা।

    সরেজমিনে সোমবার (০৮ মে) এসব অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহে গেলেই চোখে পরে দালালদের সাথে সেবা প্রত্যাশীদের হট্টগোলের দৃশ্য।

    খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কুয়াকাটার যে সকল বাড়িতে এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ পায়নি, সে সকল বাড়ির লোক সংযোগ নিতে কুয়াকাটা পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের এজিএম মোতাহার হোসেনের কাছে যান। সেখানে তার থেকে পরামর্শ ও সহযোগিতা না পেয়ে বাধ্য হয়ে যেতে হচ্ছে দালালের কাছে। আর দালালরা একটি মিটারের জন্য তিন থেকে চার হাজার টাকা নিয়ে ঘুরান বছরের পর বছর এমনটাই অভিযোগ গ্রাহকদের। অসাধু চক্রটি এজিএম’র সঙ্গে জড়িত বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন। কুয়াকাটা সাব-জোনাল অফিসের আওতাধীন শুধুমাত্র লতাচাপলী ইউনিয়নে এ রকম দালাল রয়েছে ৮ থেকে ১০ জন।

    এছাড়াও কুয়াকাটা পৌরসভা ও পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের জন্য আরও অনেক দালাল চক্র রয়েছে। দালালের মাধ্যমে মিটার পেতে কোনো রকম কাগজ দিলেই হচ্ছে। আর দালাল ছাড়া গেলে এই কাগজ, সেই কাগজ ইত্যাদির বাহানা। অপরদিকে অনলাইনে ফরম পূরণ করে মিটার পেতে সময় লাগে এক থেকে দেড় মাস।

    ভুক্তভোগী গ্রাহক সিফাত বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেলে আমার মার্কেটের ১২টি মিটার খুলে নিয়ে যান বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। পরবর্তীতে তারা বিল পরিশোধ করিনি এমন অভিযোগ তুলে মিটারগুলো স্থগিত করে রাখেন। এমনকি আমার নামের একটি মিটার তারা অন্য এক ভাঁড়াটিয়াকে দিয়েছেন।

    আরেক ভুক্তভোগী জাকির বলেন, আমার বাড়ীতে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই৷ বারবার অফিসে গিয়া কোন কাজ হয়নি। নিরুপায় হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের কাজ করে এমন এক ব্যক্তির কাছে পাচঁ হাজার টাকা দিয়েছি। আজ ছয় মাসেও কোন কাজ হয়। ভুক্তভোগীদের দাবি এর সাথে অফিস কর্মকর্তারা জড়িত আছে। এমন অহরহ অভিযোগ রয়েছে কুয়াকাটা বিদ্যুৎ অফিসের কর্মচারী ও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে । স্থানীয়দের দাবী দালাল মুক্ত করা হোক বিদ্যুৎ খাত।

    এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুৎ কুয়াকাটা শাখার এজিএম মোতাহার হোসেন বলেন, আমাদের অফিসে কয়েকজন ইলেকট্রিশিয়ান আছে তবে তারা নিয়োগ প্রাপ্ত নন। তাদের সাথে কেউ টাকা পয়সার লেনদেন করলে সে দায়ভার অফিস নিবে না। এদেরকে পাবলিকের সাইজ করা উচিত। আমরা চাইলেও এদের তাঁড়াতে পারছি না। গ্রাহক তাদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিব।

    পটুয়াখালী জেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (অঃ দাঃ) মোহাম্মদ আবুল কাশেম বলেন, আমাদের অফিসের দালালের কোনো স্থান নেই। অফিসে এসে কেউ হয়রানি হলে সেই গ্রাহক অভিযোগ দিলে আমরা ব্যবস্থা নিবো। আমাদের বিদ্যুৎ অফিস দালাল মুক্ত রাখতে সকলের সহযোগিতা চাই।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…