এইমাত্র
  • হানিমুন বাদ দিয়ে টিকিট কেটেছিলেন মেসিকে দেখতে, বিশৃঙ্খলায় সব পণ্ড
  • লোহাগাড়ায় ইটভাটায় অভিযান-জরিমানা
  • নারায়ণগঞ্জে বুড়িগঙ্গা নদীতে লঞ্চের ধাক্কায় বাল্কহেড ডুবি
  • আজও হাত মেলায়নি ভারত-পাকিস্তান
  • মিরসরাইয়ে জুলাই যোদ্ধা তাহমিদ হত্যায় ছাত্রদল কর্মী গ্রেপ্তার
  • নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল সরবরাহ করবে পুলিশ
  • এবার হলিউডে নাম লেখালেন রোনালদো!
  • আইপিএল নিলাম থেকে বাদ পড়লো ৯ ক্রিকেটারকে
  • মস্তিষ্কে অক্সিজেন স্বল্পতা, হাদির অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক: চিকিৎসক
  • হাদির অবস্থা অপরিবর্তিত, বিদেশে নেয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে: চিকিৎসক
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিপাকে প্রধান শিক্ষক, ব্যাখ্যা চেয়েছে অধিদপ্তর

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম
    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

    ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে বিপাকে প্রধান শিক্ষক, ব্যাখ্যা চেয়েছে অধিদপ্তর

    মো. আরিফুর রহমান, মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ মে ২০২৫, ০৬:৩৩ পিএম

    মাদারীপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট দিয়ে ফেসে গেলেন এক প্রধান শিক্ষক। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সুপারিশ করেছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। আর বিভাগীয় অধিদপ্তর থেকে সাত কার্য দিবসের মধ্যে ব্যাখাও চাওয়া হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেনের কাছে।

    জানা যায়, মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৮নং লেবুতলী বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি দিয়ে ২০২৪ সালের ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ১৪ মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন সময় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর ও সচিবালয়ের কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে একাধিক পোস্ট করেন।

    সেখানে তিনি লিখেন প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ দালাল মুক্ত হবে কবে, এই অধিদফতর ও সচিবালয় চলে দালালচক্রের মাধ্যমে। এছাড়া বর্তমান সরকার বিরোধীও নানান ধরনের পোস্ট করেন শাহাদাত হোসেন। বিষয়টি নজরে আসলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর গত ২৩ মার্চ অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন। পরে ব্যাখা পেলে বিষয়টি সন্তোষজনক না হওয়ায় গত ০৬ এপ্রিল ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরে সুপারিশ করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম।

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে ৫ মে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের বিভাগীয় উপ পরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজা ৭ কার্যদিবসের মধ্যে অভিযুক্ত শিক্ষককে নোটিশ দেন। সেখানে বলা হয় সরকারি কর্মকারি বিধিমালা, ২০১৮ এর ৩ (খ) বিধিমতে ‘অসদারচরণ’ এর সামিল বিধায় কেন বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না তার ব্যাখা চাওয়া হয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস ও বিভাগীয় অধিদফতরের দুটি চিঠিতেই অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন তার ভুল স্বীকার স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।

    এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর উপজেলার ১০৮নং লেবুতলী বাজিতপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, অসাবধানবশতন ভুলের কারনে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে ভুল ও ক্ষমা চেয়ে ব্যাখা দিয়েছে জেলা অফিস ও বিভাগীয় অধিদপ্তরে। আশা করি উর্দ্ধতন স্যারেরা আমাকে মাফ করে দিবেন। আর আগামীতে এমন কর্মকান্ড আমি করবোও না।

    মাদারীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, সরকারি বেতনভাতা ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে প্রধান শিক্ষক তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে এভাবে সরকারের বিরুদ্ধে লিখতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভাগীয় কার্যালয়ে সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তী সিদ্ধান্ত বিভাগীয় অফিস থেকে উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা নিবেন। তবে, জেলা অফিস থেকে প্রাপ্ত জবাবে শাহাদাত হোসেন তার ভুল স্বীকার করে ক্ষমাও চেয়েছেন।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…