এইমাত্র
  • ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালো ইনকিলাব মঞ্চ
  • জীবনের নিরাপত্তা চান জাকির খান, থানায় জিডি
  • দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি চালকের!
  • ভারতের হাইকমিশনারকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া উচিত: হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সৌদি আরব
  • ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে
  • পে-স্কেল নিয়ে অবশেষে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
  • মেক্সিকোর সংসদে নজিরবিহীন হট্টগোল, চুলোচুলিতে জড়ালেন আইনপ্রণেতারা
  • কলকাতার নিউটাউনে ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    তেঁতুলিয়ায় ইলিশের আকাল, খালি হাতে ফিরছে জেলেরা

    কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম
    কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

    তেঁতুলিয়ায় ইলিশের আকাল, খালি হাতে ফিরছে জেলেরা

    কৃষ্ণ কর্মকার, বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৮ মে ২০২৫, ০২:৩৩ পিএম

    চলতি বছর ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অভয়াশ্রমে সব ধরনের মাছ শিকার বন্ধ ছিল। অভয়াশ্রমের অংশ হিসাবে তেঁতুলিয়া নদীর ১০০ কিলোমিটার এলাকায় মাছ ধরা বন্ধ থাকার পর জেলেরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে গত ১ মে থেকে নদীতে নামেন মাছ ধরতে। কিন্তু নদীতে ইলিশতো দূরের কথা অন্য মাছও তুলনা মূলক কম পাওয়া যাচ্ছে।

    বর্তমানে রুপালী ইলিশের মৌসুম চললেও তেঁতুলিয়া ও লোহালিয়া নদীতে ইলিশের দেখা না পাওয়ায় দিনরাত নদীতে জাল ফেলেও জালে ইলিশ না পড়ায় ওই পেশার সাথে জড়িত প্রায় ২০ হাজার পরিবার চরম হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। চিন্তা তাদের মাথায় ভর করছে কিভাবে মহাজন কিংবা দাদনদারদের দেনা পরিশোধ করে পরিবার পরিজন নিয়ে বেঁচে থাকবে।

    সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, বাউফলের প্রায় ২০ হাজার জেলে পরিবার ইলিশ ব্যবসার সাথে জড়িত। এবছর অনেক ইলিশ ধরা পড়বে বলে অধিকাংশ জেলে পরিবার দাদনদার, মহাজন, এনজিও এবং ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে এমনকি জমিজমা বন্ধক রেখে জাল-নৌকা প্রস্তুত করেছে। ওইসব জেলেরা আশায় বুক বেঁধে রয়েছে চলতি মৌসুমে গত বছরের লোকসান কাটিয়ে উঠতে পাড়বে। হাসি ফুটাবে পরিবার পরিজনদের মুখে। কিন্তু এখন ইলিশের ভরা মৌসুম চললেও এখন পর্যন্ত তেমন সংখ্যক ইলিশের দেখা মিলছে না জেলেদের জালে।

    স্থানীয় বাজারেও ইলিশ মিলছে না। আরৎদারদের কাছে যা কিছু আসে তাহাও ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ৬ থেকে ৯শ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজী ১১শ থেকে ১২শ টাকা। এক কেজী ওজনের সাইজের কেজী ১৫শ টাকা উপরে। উপজেলার মৎস্য বন্দর কালাইয়া মৎস আড়তের মালিক উজ্জল দাস, নাহিদ হোসেন মিরাজসহ একাধিক আরৎদার জানায়, এবার ইলিশের দেখা পাওয়া যাচ্ছেনা। এসময় জেলেরা দিনে ২/৩বার ট্রলারে ইলিশ মাছ নিয়ে আড়তে আসত। কিন্তু এবার সপ্তাহেও একবার ইালশের ট্রলার আসছে না। দু’চারটা যা মিলছে তার দামও প্রচুর।

    তেঁতুলিয়া নদী পাড়ের জেলে মো. আলী মাঝি জানান, চলতি ইলিশ মৌসুমের শুরুতেই নদীতে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলার প্রস্তুতি নেয় তারা। মহাজন, আরতদারদের কাছ থেকে দাদন আবার কেউ কেউ জমিজমা বন্ধক রেখে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে, কেউবা এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে জাল ও নৌকা নিয়ে ইলিশের শিকারে নামছে। কিন্তু তেঁতুলিয়ার মোহনা ধুলিয়া, লোহালিয়া ও আগুনমূখা নদীতে জেলেরা জাল নৌকা নিয়ে দিন রাত পরিশ্রম করেও ইলিশ পাচ্ছে না।

    তেঁতুলিয়া নদীর উপর নির্ভরশীল জেলে মাহবুব রহমান বলেন, রোদের প্রচন্ড এই তাপের মধ্যে নদীতে সারা দিন জাল ফেলে একটা দুইটা ঝাটকা ইলিশ পাই। মাছের যে দাম হয় তা দিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে একবেলা খাবার জোটেনা। তাই বিভিন্ন জনের থেকে ধারকর্য করে চলি। আশায় বুক বেঁেধ আবার নদীতে নামি যদি ভাগ্যে ইলিশের দেখা মিলে।

    চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়নের প্রবীন জেলে বাদশা মাঝি বলেন, এক সময়ের উত্তাল তেঁতুলিয়া ইলিশে ছয়লাব ছিল। কিন্তু কিছু অসাধু জেলেরা অবৈধ বেহুন্দি জাল, কারেন্ট জাল, মশারি জাল দিয়ে নির্বিচারে মাছের রেনু পোণা শিকার করছে। অপর দিকে নদীর বুকে স্থানীয় প্রভাবশালী ঝাড়া পেতে মাছ শিকারের কারনে নদীর গভীরতা কমে গিয়ে ইলিশের বিচরন নাই বললেই চলে। তিনি নদী থেকে অবৈধ জাল ও ঝাড়া পাতা বন্ধ করে নদী খননের দাবী জানান।

    বাউফল উপজেলা সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মাহবুব আলম তালুকদার বলেন, নদীতে অনেক ডুবোচর রয়েছে। ডুবোচরের কারণে ইলিশ বিচরণ করতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। যেহেতু ইলিশ গভীর জলের মাছ তাই নদীতে বেশি পানি হলে ইলিশ সহজেই বিচরণ করতে পারবে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…