এইমাত্র
  • ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালো ইনকিলাব মঞ্চ
  • জীবনের নিরাপত্তা চান জাকির খান, থানায় জিডি
  • দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি চালকের!
  • ভারতের হাইকমিশনারকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া উচিত: হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সৌদি আরব
  • ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে
  • পে-স্কেল নিয়ে অবশেষে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
  • মেক্সিকোর সংসদে নজিরবিহীন হট্টগোল, চুলোচুলিতে জড়ালেন আইনপ্রণেতারা
  • কলকাতার নিউটাউনে ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    নাগরপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করছে ঝুঁকিপূর্ণ বাস

    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম
    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

    নাগরপুর-ঢাকা রুটে চলাচল করছে ঝুঁকিপূর্ণ বাস

    মো. আজিজুল হক, নাগরপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৫, ০২:৪৫ পিএম

    টাঙ্গাইলের নাগরপুর থেকে রাজধানী ঢাকাগামী রুটে চলছে পরিবহন নৈরাজ্য। নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে রাস্তায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মেয়াদোত্তীর্ণ ও লক্কর-ঝক্কর বাস। অধিকাংশ বাসই ফিটনেসবিহীন, নষ্ট বডি, রংচটা গায়ে, নেই সংকেত বাতি বা লুকিং গ্লাস, এমনকি অনেক বাসের পেছনের কাঁচও ভাঙা। ভেতরে যাত্রী আসনগুলোতে জমে থাকা ধুলা-ময়লা প্রতিদিনের নিত্যসঙ্গী।

    সরেজমিনে দেখা গেছে, নাগরপুর থেকে মামুদনগর-কালামপুর ও ধুবড়িয়া-মানিকগঞ্জ হয়ে ঢাকাগামী এসবি লিংক ও ভিলেজ লাইন নামের বাসগুলোই চলাচল করছে। যাত্রীদের অভিযোগ, এসব বাস যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে।

    এক যাত্রী শরিফুল ইসলাম বলেন, “প্রতিদিন এই রুটে যাতায়াত করি, কিন্তু বাসের যা অবস্থা ভয়ে থাকতে হয় কখন যে কী হয়ে যায়। ভাঙা কাঁচ, নষ্ট ব্রেক—সব মিলিয়ে ভয়াবহ অবস্থা।”

    আরেকজন যাত্রী বলেন, “আমরা টিকিটের পূর্ণ ভাড়া দেই, কিন্তু সেবা পাই না। সরকার যদি একটু নজর দিত, তাহলে এত দুর্ভোগ হতো না। ঢাকাগামী ভালো মানের বাস সার্ভিস আমাদের খুব প্রয়োজন।”

    ভৌগোলিক গুরুত্ব বিবেচনায় নাগরপুর উপজেলাটি আশপাশের ছয়টি উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত এবং ঢাকার সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। প্রতিদিন শতাধিক বাসে প্রায় ১০ হাজার যাত্রী চলাচল করেন। সড়কের অবকাঠামো উন্নয়ন হলেও বাসের মান না বাড়ায় যাত্রী ভোগান্তি বেড়েছে। ৩ ঘণ্টার পথ যেতে সময় লাগছে ৪ থেকে ৫ ঘণ্টা।

    বিআরটিএ’র নিয়ম অনুযায়ী, কোনো বাসকে রাস্তায় নামাতে হলে ৩২টি দিক পর্যালোচনার পর ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট দেওয়া হয়। কিন্তু প্রশ্ন রয়ে গেছে—এতসব নষ্ট বাস কিভাবে ফিটনেস সনদ পাচ্ছে? স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের গাফিলতি ও নজরদারির অভাবেই এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

    এখন সময় এসেছে নাগরপুরবাসীর প্রাণের দাবি পূরণের। তারা চান ঢাকার সঙ্গে আধুনিক, নিরাপদ ও বিলাসবহুল বাস সার্ভিস চালু হোক। পাশাপাশি সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করুক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

    এ প্রসঙ্গে নাগরপুর বাস মালিক সমিতির সুপারভাইজার মো. রাসেল মিয়া বলেন, “নাগরপুরে বর্তমানে কোনো বাস মালিক সমিতির কমিটি নেই। আমরা ঢাকা কমিটির তত্ত্বাবধানে কাজ করছি। রুটের পরিবহন সমস্যা নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ফিটনেসবিহীন বাস অপসারণ এবং যাত্রীসেবার মান বাড়াতে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…