এইমাত্র
  • ওসমান হাদির শারীরিক অবস্থার আপডেট জানালো ইনকিলাব মঞ্চ
  • জীবনের নিরাপত্তা চান জাকির খান, থানায় জিডি
  • দেশবাসীকে শান্ত থাকার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা
  • যুগ্ম সচিবকে জিম্মি করে চাঁদা দাবি চালকের!
  • ভারতের হাইকমিশনারকে লাথি দিয়ে বের করে দেয়া উচিত: হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সৌদি আরব
  • ভিক্ষাবৃত্তির দায়ে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে ৫১ হাজারের বেশি পাকিস্তানিকে
  • পে-স্কেল নিয়ে অবশেষে যেসব সিদ্ধান্ত হলো
  • মেক্সিকোর সংসদে নজিরবিহীন হট্টগোল, চুলোচুলিতে জড়ালেন আইনপ্রণেতারা
  • কলকাতার নিউটাউনে ঘুনি বস্তিতে ভয়াবহ আগুন
  • আজ বৃহস্পতিবার, ৩ পৌষ, ১৪৩২ | ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    সরকারি চাল নিতে বাধ্যতামূলক চাঁদা, ১১ ইউপি সদস্য আটক

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম
    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম

    সরকারি চাল নিতে বাধ্যতামূলক চাঁদা, ১১ ইউপি সদস্য আটক

    নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ০৯:৫৪ এএম

    সরকারি চাল বিতরণের নামে দরিদ্র নারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায়ের অভিযোগে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার ঝলইশালশিরি ইউনিয়নে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয়দের প্রতিবাদের মুখে সোমবার (২৬ মে) রাতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ১১ জন ইউপি সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১ লাখ ১৩ হাজার ৯০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

    জানা যায়, ওইদিন সকালে ভিডব্লিউবি কার্ডধারীদের মাঝে জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত পাঁচ মাসের বরাদ্দ ১৫০ কেজি করে চাল বিতরণ করছিল ঝলইশালশিরি ইউনিয়ন পরিষদ। মোট ২৫৮ জন দরিদ্র নারী ছিলেন এই চাল বিতরণের তালিকায়। বিতরণের সময় প্রত্যেকের কাছ থেকে ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ ওঠে ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে।

    অভিযোগে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন স্থানীয়রা। বিকেলে তারা অভিযুক্তদের ইউনিয়ন পরিষদে অবরুদ্ধ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে খবর দেন। দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সেনাবাহিনীর বোদা ক্যাম্পের একটি দল। অভিযুক্তদের টাকা-সহ আটক করে থানায় হস্তান্তর করে যৌথ বাহিনী।

    আটক হওয়া ইউপি সদস্যরা হলেন—এক নম্বর ওয়ার্ডের খলিলুর রহমান, দুই নম্বরের হামিজ উদ্দিন, তিন নম্বরের প্রিয় নাথ রায়, পাঁচ নম্বরের সুনীল চন্দ্র রায়, ছয় নম্বরের দাহির উদ্দিন, সাত নম্বরের খাদিমুল ইসলাম, আট নম্বরের মামুন ইসলাম, নয় নম্বরের আশরাফুল ইসলাম এবং তিনজন নারী সদস্য—শেফালী রাণী, বিলকিস বেগম ও রুপালী বেগম।

    এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহরিয়ার নজির জানান, স্থানীয়দের অভিযোগ, আলামত ও অভিযুক্তদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “এটি একটি ফৌজদারি অপরাধ। এর বিচার দেশের জন্য একটি দৃষ্টান্ত হবে।”

    স্থানীয় বাসিন্দা রহমত উল্লাহ বলেন, “সরকার যেখানে বিনামূল্যে চাল দিচ্ছে, সেখানে ইউপি সদস্যরা জোর করে টাকা নিচ্ছে—এটা চরম অন্যায়।”আরেকজন বলেন, “১১ জন সদস্য আটক হওয়ায় পরিষদের কাজ থেমে যেতে পারে। তাই সেবা কার্যক্রম সচল রাখতে প্রশাসনের উচিত তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ।”

    এমআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…