আর মাত্র একদিন পরেই মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে নাড়ীর টানে বাড়ি ফেরা ঘরমূখো মানুষের ঢল নেমেছে ভোলার লঞ্চঘাট গুলোতে।
বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) সকাল থেকে দুপুর পযন্ত ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে আসা প্রত্যেকটি লঞ্চে উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
মূলত, গতকাল সরকারি ছুটি ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই এই ভীড় লক্ষ্য করা গেছে। ছুটির প্রথম দিনেই কর্মস্থল থেকে ঘরে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত দ্বীপজেলা ভোলার মানুষ। তবে, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি ও ধারন ক্ষমতার অধিক যাত্রী বহন করতে দেখা গেছে লঞ্চ গুলোতে।
সরেজমিন ভোলার ইলিশা লঞ্চঘাটে গিয়ে দেখা , ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ভোলাগামী প্রত্যেকটি লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে ঘাটে ভিড়ছে লঞ্চ গুলো। এছাড়াও লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে যাত্রী বোঝাই করে একের পর এক সি-ট্রাক এসে ভিড়ছে। প্রতিটি সি-ট্রাকে ধারণক্ষমতার দুই থেকে তিনগুণ বেশি যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। চট্টগ্রাম, সিলেটসহ পূর্বাঞ্চলের যাত্রীরা মূলত এই রুটে যাতায়াত করেন।
এদিকে যাত্রীরা বলছেন, ঈদের আনন্দ পরিবারের সাথে ভাগাভাগি করতে এক প্রকার ঝুঁকি নিয়েই তারা ঢাকা থেকে ভোলায় আসছেন। একদিকে তীব্র গরম আর থেমে থেমে বৃষ্টি যাত্রীদের ভোগান্তির কারন হয়ে দাড়িয়েছে বলে জানান তারা। তবে লঞ্চ গুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলেও ভাড়া আদায়ে যাত্রীদের কোন অভিযোগ নেই।
তবে সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলারে করে উত্তাল মেঘনায় যাত্রী পারাপার করতে দেখা গেছে। এছাড়াও ভোলা-লক্ষ্মীপুরের মজু চৌধুরীরের ঘাট থেকে নিষিদ্ধ ট্রলার ও স্পিডবোটে যাত্রী পরিবহন চলছে।
এদিকে অবৈধ নৌ-যান চলাচল ঠেকাতে ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়েকটি টিমকে কাজ করতে দেখা গেছে। এরমধ্যে কোস্টগার্ড, নৌ-পুলিশ, পুলিশ ও আনসার সদস্যসহ বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন (বিআইডব্লিউটি)এর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে।
এসআর