এইমাত্র
  • স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও ‘মুক্তিযোদ্ধা’ স্বীকৃতি পাননি ওয়াজ উদ্দিন তালুকদার
  • জবিতে সফলভাবে ই-ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
  • ফের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দ্বারপ্রান্তে গণ বিশ্ববিদ্যালয়
  • ইসলামী আন্দোলনে যোগ দিলেন বকশীগঞ্জ বিএনপির সাবেক সভাপতি
  • হাদিকে গুলির ঘটনায় সন্দেহভাজন মাসুদের ব্যাংক হিসাব জব্দ
  • হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে মোংলায় এনসিপির বিক্ষোভ
  • হবিগঞ্জ সীমান্তে বিজিবির সতর্কতা জারি
  • তারাগঞ্জে নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকরে অভিযান
  • হাদির ওপর হত্যাচেষ্টা দেশকে মেধাহীন করার ষড়যন্ত্র: আসিফ মাহমুদ
  • হাদির ওপর হামলায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেল শনাক্ত, মালিক গ্রেপ্তার
  • আজ রবিবার, ৩০ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ধামরাইয়ে মা ও দুই ছেলেকে হত্যার রহস্য উন্মোচন, মেয়ের জামাই গ্রেপ্তার

    আব্দুল কাদের, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম
    আব্দুল কাদের, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

    ধামরাইয়ে মা ও দুই ছেলেকে হত্যার রহস্য উন্মোচন, মেয়ের জামাই গ্রেপ্তার

    আব্দুল কাদের, ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ৫ জুন ২০২৫, ০৮:২৪ পিএম

    ঢাকার ধামরাইয়ে বসতঘর থেকে মা ও দুই ছেলের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঢাকা জেলা।

    পিবিআইয়ের দাবি, প্রয়াত শ্বশুরের রেখে যাওয়া ডেকোরেটর ব্যবসার দেখভাল নিয়ে পারিবারিক কলহের জেরে বালিশ চাপা দিয়ে তিনজনকে হত্যা করে মেয়ের জামাই রবিন (২২)। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

    বৃহস্পতিবার (৫ জুন) দুপুর পৌনে তিনটার দিকে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কুদরত-ই-খুদা এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।

    জানা গেছে, গত ২ জুন বিকেলের দিকে উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত গ্রাম থেকে মা ও দুই ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাটি ব্যাপক চাঞ্চল্যের জন্ম দেয়। এ ঘটনায় গত ৪ জুন নিহতের ভাই আঃ রশিদ (৪২) বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা (নম্বর- ০৫) করেন। গ্রেপ্তার রবিন ধামরাইয়ের বালিয়া ইউনিয়নের কামারপাড়া এলাকার মোঃ রফিকুল ইসলামের ছেলে।

    নিহতরা হলেন, ধামরাইয়ের গাংগুটিয়া ইউনিয়নের রক্ষিত এলাকার মৃত রাজা মিয়ার স্ত্রী নারগিস আক্তার (৩৭) ও তার দুই ছেলে মোঃ শামীম (২২) ও সোলাইমান (৮)। বড় ছেলে শামীম ডেকোরেটরের কাজ করতেন এবং ছোট ছেলে সোলাইমান মায়ের কাছে থাকতেন।

    মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ১ জুন রাত ৯টা থেকে দুপুর ২টার দিকে অজ্ঞাত আসামি পরিবারটির বসতঘরের টিনের বেড়ার দরজা খুলে ঢুকে পরিকল্পিতভাবে তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ খাটের ওপর শুইয়ে রেখে কাঁথা দিয়ে ঢেকে রেখে যায়। থানায় মামলা রুজু হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করতে থাকে পিবিআই ঢাকা জেলা। এর ধারাবাহিকতায়, মেয়ের জামাই রবিন হত্যায় জড়িত রয়েছে, এমন তথ্য উঠে আসে। এর জেরে গত ৪ জুন ধামরাইয়ের সানোড়া ইউনিয়নের মধুডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালিয়ে রবিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তিনিই হত্যায় জড়িত হওয়ার বিষয়ে তথ্য দেন।

    রবিনের বরাত দিয়ে পিবিআই বলেন, গত ১ জুন রাত সাড়ে ১১টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে ওই বাড়ির টিনের বেড়ার দরজা খুলে ঘরে ঢুকে প্রথমে বড় শ্যালক শামীমকে (২২) খাটের পাশে শোয়া দেখে তার মুখের ওপর বালিশ চাপা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর শাশুড়ি নারগিস (৩৭) ও সোলাইমানকে (৮) আরেক খাটে শোয়া দেখে একইভাবে তাদেরও মুখে বালিশ চাপা দিয়ে চেপে ধরে মৃত্যু নিশ্চিত করে। এরপর তিনজনের মরদেহ একই খাটে শুইয়ে কাঁথা দিয়ে ঢেকে ভোর ৪টার দিকে নিজের বাড়ি ফিরে আসে।

    এদিকে পর দিন সকাল থেকে নারগিসের মেয়ে নাসরিন তার মাকে ফোন করতে থাকে, তবে তারা ফোন রিসিভ না করায় দুপুর ২টার দিকে তিনি মায়ের বাড়ি আসে। ঘরে ঢুকে দেখতে পান, তার মা ও দুই ভাই মৃত অবস্থায় কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।

    পিবিআই আরো বলেন, মূলত এক বছর আগে মারা যাওয়া শ্বশুর রাজা মিয়ার ডেকোরেটরের ব্যবসা দেখাশোনা নিয়ে তৈরি হওয়া পারিবারিক কলহের জেরে শাশুড়ি ও দুই শ্যালককে হত্যা করে রবিন।

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…