এইমাত্র
  • ‘ফকির, মিসকিনদের ছেলে-মেয়েরা বড় রাজনৈতিক দলের নেতা’
  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার অভিযোগ
  • জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কমিটি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
  • প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে পাঠাবে সরকার
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন কোনো নির্বাচন চাই না: জামায়াতের আমির

    অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম
    অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

    শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন কোনো নির্বাচন চাই না: জামায়াতের আমির

    অলি আহমদ মাহিন, মৌলভীবাজার প্রতিনিধি প্রকাশ: ৮ জুন ২০২৫, ০৪:৫৯ পিএম

    জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, খুব ভালো নির্বাচন আমরা আশা করি। কেউ নির্বাচনকে প্রশ্ন বিদ্ধ করার চেষ্টা করবেন না। তাহলে, আমাদের শহীদদের প্রতি আমরা ঈমানদারি রক্ষা করতে পারবো না। আমাদের শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন কোনো নির্বাচন আমরা দেখতে চাই না। শহীদদের রক্তের মর্যাদা রক্ষা করে খুব‌ই সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা প্রত্যাশা করি। নির্বাচনে কোন দেশের‌ই হস্তক্ষেপ আমাদের দেশে থাকুক এটা কাম্য নয়। আমরা‌ও কোন দেশের কোন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাই না। আমরা সবাইকে বন্ধু হিসাবে দেখতে চাই।

    আজ রবিবার (৮ জুন) দূপুর ১২টায় মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভার মিলনায়তনে পেশাজীবী প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি আরো বলেন, অতীতে যে যা করেছে তার কিছু পাওনা তারা পেয়েছে আরো পাবে, বাকিটা আখিরাতেও পাবে। একটা প্রতিহিংসা মুক্ত সমাজ আমরা দেখতে চাই। আমি এই উপজেলার‌ সন্তান, আমার বিরুদ্ধে‌ ও যুদ্ধাপরাধের মামলা দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। তখন আমার সেই বয়স‌ও ছিলো না। আমি সেই অর্থে কোন সংগঠনের সাথে মুঠেই যুক্ত ছিলাম না। এখন যেহেতু আমি জামায়াতে ইসলামীর আমীর, তাই আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর চেষ্টা হয়েছে। আমি কুলাউড়ার মানুষের প্রতি খুব‌ই কৃতজ্ঞ। ওরা যাদের কাছে গেছে উপযুক্ত জবাব পেয়ে জেনে শুনে চলে গেছে। ওরা একবার দুবার নয়- অনেকবার বৃথা চেষ্টা করেছে। কিন্তু কুলাউড়ার একটা মানুষ‌ও খারাপ কোন কথা বলেনি। আমি এই ঋণ আজীবন শোধ করতে পারবো না। আমার প্রতি যদি এরকম আচরণ করা হয় তাহলে রাষ্ট্রের নাগরিকদের সাথে কি করা হয়েছে তা এখান থেকেই বুঝা যায়। আমরা এটার কোন প্রতিশোধ নেব না। কে বা কারা করেছে আমরা সব জানি। প্রতিহিংসা আর প্রতিশোধ যদি নিতেই থাকি, তাহলে এর কোন শেষ নাই। এই সমাজ একটা অসুরের সমাজে পরিণত হবে। একটা মাণবিক সমাজ আর বানাতে পারবো না। তবে যারা অপরাধ করেছে তাদের ন্যায় বিচার হোক, এই দাবি আমাদের বলিষ্ঠ। এখানে আমরা কোন ছাড় দেবো না।

    আমীরে জামায়াত আরো বলেন, সমাজের সকল জায়গায় দুর্নীতি আর সিন্ডিকেট ওপরে সত্যিকার চিহ্নিত করে আঘাত দেয়া যায়, তাহলে তছনছ হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। দেশের মানবসম্পদ আর আল্লাহর দেয়া সম্পদ‌ই যথেষ্ট বাংলাদেশকে বদলানোর জন্য। আমাদের কুশিক্ষার জায়গায় সুশিক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে। শিক্ষার কারিকুলাম ও মডিউল নৈতিকতার ভিত্তিতে হয়, তাহলেই লিক্ষার পরিপূর্ণ পূর্ণতা পাবে। অপ সংস্কৃতির কারণে পরিবারের কাঠামো এলোমেলো হয়ে গেছে। প্রতিষ্ঠানের একটা মানুষে কিভাবে নিজে বড়লোক হবে, শুধু এটাই শেখানো হয়। ভিক্ষুক থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ধনী ব্যক্তি পর্যন্ত সবাই ট্যাক্স দেয়। সেই ট্যাক্সের টাকায় কোন না কোন ভাবে দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকার ব্যয় করেছে। যারা উচ্চ শিক্ষায় পড়ালেখা করেছি বরং জাতির টাকা আমাদের পেটে ডুকেছে মগজে ডুকেছে। সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটি ইট, বালি, পাথরের সাথে এদেশের আঠারো কোটি মানুষ জড়িত । এই শিক্ষাটাই যদি‌ মানুষকে দেয়া হতো যে তোমাদের বেড়ে উঠার পেছনে সমস্ত মানুষের অবদান। তাদের দান-অনুদানে তুমি আজকে এই জায়গায় এসেছো। যত বড় মেধাবী যতবড় শিক্ষিত ততবেশি তারা জাতির কাছে দায়বদ্ধ । এটাই যদি তাদের মগজে প্রতিষ্ঠা করা যেতো, তাহলে ঘুষ নেয়ার সময় তাদের হাত থর থর করে কাপতো। এই নৈতিক দায়বদ্ধতা যদি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যুক্ত করতে পারি তাহলে আমাদের শিক্ষিত সমাজ জাতির সম্পদে পরিণত হতো।

    বিভিন্ন পেশার বিপুল সংখ্যক প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত এই মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন- জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আব্দুর রহমান,‌ জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা পল্টন থানা আমীর শাহীন আহমদ খান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমীর হাফেজ তাজুল ইসলাম।

    পেশাজীবী নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এডভোকেট ছালিক আহমদ চৌধুরী, আনিসুর রহমান, মনির উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মাসুক উদ্দিন, মোঃ শফিক উদ্দিন, মোহাম্মদ শামসুল হক, এড. রবিউল ইসলাম, এনামুল ইসলাম, রাজানুর রহিম ইফতেখার, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি মো. নিজাম উদ্দিন, উপজেলা সভাপতি আতিকুর রহমান তারেক প্রমুখ।

    এইচএ

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…