এইমাত্র
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধার পর খুলে দেওয়া হবে স্মৃতিসৌধের প্রবেশদ্বার
  • হাসিনা-কামালের আমৃত্যু কারাদণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল
  • কাজিপুরে মানসিক ভারসম্যহীন ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • সিরাজগঞ্জে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
  • গভীর রাতে কৃষকের গরু জবাই করে রেখে গেছে দুর্বৃত্তরা
  • খড়ের আড়ালে চোলাই মদ পাচারের চেষ্টা, আগুন দিল জনতা
  • ওসমান হাদিকে নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    ফিচার

    বিশ্ব বাবা দিবস আজ

    বাবার শেষ ঠিকানা যেন না হয় বৃদ্ধাশ্রম

    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ এএম
    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

    বাবার শেষ ঠিকানা যেন না হয় বৃদ্ধাশ্রম

    এলেন বিশ্বাস, উত্তরা (ঢাকা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১০:৫৬ এএম

    আজ বিশ্ব বাবা দিবস। সন্তান হিসেবে বাবার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা প্রকাশের আনুষ্ঠানিক দিন হলেও বাস্তব জীবনে বাবারা ঠিক কতটা সম্মান ও যত্ন পান—সে প্রশ্ন থেকেই যায়।

    দিনটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে আবেগঘন পোস্ট, কথামালায় ভেসে উঠবে ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। কিন্তু সবার ভেতর সেই অনুভূতির প্রতিফলন কি সত্যিকার অর্থে বাবা-মায়ের প্রতি দায়িত্ব পালনে দেখা যায়?

    বাংলার একটি প্রচলিত প্রবাদ—“থাকতে কাঁচি, হারালে দা”—অর্থাৎ যা হাতের নাগালে, তার গুরুত্ব আমরা বুঝি না। এই কথাটি বাবাদের ক্ষেত্রেও যেন শতভাগ প্রযোজ্য। যিনি জন্ম দিয়েছেন, জীবনের দীর্ঘ সময় যিনি সন্তানের সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধির বিষয় চিন্তা করে বিসর্জন দেয় নিজের ভালো থাকা, সেই বাবাদের অনেকেই আজ এ সমাজে অবহেলিত ও সন্তানদের দ্বারা নির্যাতিত। জীবনের শেষ বয়সে সন্তান যখন বাবার ভরসা ঠিক তখনই অনেক বাবার ঠিকানা ফুটপাত, কারোর বৃদ্ধাশ্রম। বর্তমান সমাজে বাবার প্রতি অবহেলার বহু চিত্র প্রতিদিনই উঠে আসছে গণমাধ্যমে।

    ২০২৫ সালের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে এমন কিছু হৃদয়বিদারক শিরোনাম ছিল— 'ছেলের লাঠির আঘাতে বাবার মৃত্যু', 'ছেলের হাতে বাবার লাঞ্ছনা, শাস্তির দাবি স্থানীয়দের', 'খোঁজ নেয়নি সন্তানরা, বৃদ্ধাশ্রমে বাবা-মায়ের অশ্রুসিক্ত ঈদ।

    এসব শিরোনাম আমাদের বিবেক নাড়া দিলেও—দিনশেষে আমরাই ভুলে যাই দায়িত্ব ও কর্তব্যের জায়গাগুলো। সন্তান হিসেবে সুখ-শান্তির প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাদের পথচলা, তাদের জীবনেই আমরা অনেক সময় বয়ে আনি দুঃখ, অবহেলা ও অনিশ্চয়তা।

    পিতা-মাতার প্রতি সন্তানের অবহেলা শুধু সামাজিক অবক্ষয় নয়—এটি ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেও স্পষ্ট গুনাহ। ইসলামে পিতা-মাতার প্রতি সদাচরণ করার নির্দেশ অত্যন্ত স্পষ্ট। কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—

    “তোমরা আল্লাহ ছাড়া আর কারো ইবাদত করবে না এবং মা-বাবার সাথে সদ্ব্যবহার করবে। তাদের কোনো একজন বা উভয়জন যদি বার্ধক্যে উপনীত হন, তাহলে তাদের ‘উফ’ বলো না, ধমক দিয়ো না। বরং সম্মানসূচক কথা বলো এবং দয়াশীল হয়ে বলো—‘হে আমার প্রতিপালক, আপনি তাদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে তারা আমাকে শৈশবে লালন-পালন করেছেন।’” (সূরা বনী ইসরাঈল: ২৩-২৪)

    শিশু সন্তানের চাওয়া-পাওয়া পূরণ, শিক্ষা-দীক্ষা, আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার পেছনে একজন বাবার অবদান নিঃসন্দেহে অতুলনীয়। পরিবার পরিচালনায় একজন নীরব যোদ্ধা হিসেবে বাবা আজীবন লড়েই যান।

    তাই বিশ্ব বাবা দিবস উপলক্ষে আমাদের সবার উচিত আত্মসমালোচনা করা—আমি নিজে কীভাবে বাবার প্রতি দায়িত্ব পালন করছি?

    আজকের এই দিনে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে আমাদের একান্ত দোয়া—হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে মা-বাবার প্রতি দায়িত্বশীল ও সৎ সন্তান হিসেবে গড়ে তুলুন। ভালো থাকুন পৃথিবীর সব বাবা-মা।

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…