ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের নিজেদের প্রথম ম্যাচে অকল্যান্ডকে সিটিকে গোল বন্যায় ভাসিয়ে শুভ সূচনা করলো জার্মান ক্লাব বায়ার্ন মিউনিখ। এদিন বলা চলে অকল্যান্ডকে নিয়ে রীতিমতো ছেলে খেলা করেছে মুসিয়ালা-মুলাররা। গুণে গুণে ১০ বার বল পাঠিয়েছে অকল্যান্ডের জ্বালে।
রোববার (১৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের সিনসিনাটির টিকিউএল স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের ক্লাব অকল্যান্ড সিটির মুখোমুখি হয় বায়ার্ন। যেখানে ‘অ্যামেচার দল’ অকল্যান্ডকে ১০-০ গোলে হারিয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে পথচলা শুরু হলো বায়ার্নের।
এদিন বায়ার্নের হয়ে হ্যট্রিকের দেখা পেয়েছেন জামাল মুসিয়ালা। বদলি হিসেবে মাঠে নেমে মাত্র ১৭ মিনিটেই তিনি নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন। এছাড়াও দুটি করে গোল করেন কিংসলে কোমান, টমাস মুলার ও মাইকেল ওলিসে। একটি গোল পান সাশা বুয়ে।
অকল্যান্ড সিটির অধিকাংশ খেলোয়াড় বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত। তাদের কেউ ছাত্র, কেউ শিক্ষক কিংবা কেউ রিয়েল এস্টেট এজেন্ট। ফলে পেশাদার ফুটবলের মাঝে এই দলের সবকিছুই অস্বাভাবিক, বিস্মিত করে।
ম্যাচের শুরু থেকেই নিজেদের ডি-বক্সের আশেপাশে অবস্থান নেয় অকল্যান্ড সিটি। স্বাভাবিকভাবেই রক্ষণ সামলানোই ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। যদিও সেই লক্ষ্যের ছিটে ফোটাও পূর্ণ হয়নি।
ম্যাচের ৬ষ্ঠ মিনিটে কর্নারে উড়ে আসা বল পেয়ে হেড পাস করেন জোনাথন টাহ এবং ফিরতি হেডে দলকে এগিয়ে নেন কিংসলে কোমান।
এরপরই শুরু হয় বায়ার্নের গোল উৎসব। ম্যাচের ১৮তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোল করেন সাশা বুয়ে। এর দুই মিনিট পর ব্যাবধান বাড়ান মাইকেল ওলিস।
ওলিসের গোলের রেশ কাটতে না কাটতেই ম্যাচের ২২তম তম মিনিটে আরেকবার এগিয়ে যায় বায়ার্ন। বাঁ পায়ের শটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন আরেক ফরাসি কোমান।
প্রথমার্ধের শেষদিকে স্কোরলাইনে নাম লেখান থমাস মুলার। আর বিরতির ঠিক আগে দুর্দান্ত নৈপুণ্যে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে ৬-০ করেন ফরাসি মিডফিল্ডার ওলিসে।
বিরতির পরও খেলায় কোনো পরিবর্তন আসেনি। এবারও একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় বাভারিয়ানরা। ম্যাচের ৬১তম মিনিটে হ্যারি কেইনের বদলি নামার ১২ মিনিটের মধ্যে দুটি গোল করেন মুসিয়ালা। মুলারের পাস ধরে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দলের সপ্তম গোলটি করার পর ৭৩তম মিনিটে পেনাল্টি শটে ব্যবধান আরও বাড়ান তরুণ জার্মান মিডফিল্ডার।
পুরো ম্যাচের মধ্যে অকল্যান্ড প্রথম আক্রমণ করে ৮০তম মিনিটে। ২৫ গজ দূর থেকে গোলরক্ষক বরাবর আঙ্গুসের ওই শটেই গ্যালারিতে করতালির ঢেউ ওঠে।
ম্যাচের ৮৪তম মিনিটে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন মুসিয়ালা। ডি-বক্সের মধ্যে থেকে ডান পায়ের শটে দলের নবম গোলটি করেন ২২ বছর বয়সী ফুটবলার।
আর অকল্যান্ডের কফিনের শেষ পেরেকটি ঠোকেন থমাস মুলার। ৮৯তম মিনিটে দারুণ ভলিতে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তার করা এই গোলেই শেষ পর্যন্ত ১০-০ গোলের ব্যবধান নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
আরডি