এইমাত্র
  • ‘ফকির, মিসকিনদের ছেলে-মেয়েরা বড় রাজনৈতিক দলের নেতা’
  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে জার্মানির বিমান চলাচল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় সাইবার হামলার অভিযোগ
  • জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তায় কমিটি করা হয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
  • ‘দিল্লির মসনদ’ জ্বালিয়ে দেব: হাসনাত আবদুল্লাহ
  • নির্বাচনে প্রার্থীদের নিরাপত্তায় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে: ডিএমপি কমিশনার
  • প্রয়োজনে চিকিৎসার জন্য হাদিকে বিদেশে পাঠাবে সরকার
  • মেসিকে দেখতে না পেয়ে স্টেডিয়ামে সমর্থকদের ভাঙচুর
  • জামায়াতে যোগ দিলেন বিএনপি’র সাবেক এমপি
  • ওসমান হাদির পরিবারের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
  • যারা নির্বাচন চায় না, তারাই হাদির ওপর হামলা করেছে: সালাউদ্দিন আহমেদ
  • আজ শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ | ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ভোলায় পানিতে ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত-মাছের ঘের

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম
    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

    ভোলায় পানিতে ডুবে গেছে ফসলের ক্ষেত-মাছের ঘের

    মো. সাইফুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট (ভোলা) প্রকাশ: ৯ জুলাই ২০২৫, ০৪:৩৮ পিএম

    সাগরে লঘুচাপ আর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশজুড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় হচ্ছে ভারী বর্ষণ। টানা পাঁচ দিন ধরে ভারী বৃষ্টির কারণে ভোলার বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। একইসাথে মেঘনা নদীর পানিও বেড়ে গেছে। এতে চরফ্যাশন উপজেলার পৌর শহর, আসলামপুর, মাদ্রাজ, আহম্মদপুর, হামিদপুর, হাজারিগঞ্জ, চর মনিকা, নজরুল নগরসহ পঁচিশটি এলাকা জোয়ারের পানিতে ডুবে গেছে। এতে আউশধান, আমন ধানের বিজতলা, সবজি খামার, মাছের ঘের, পুকুর, কাঁচা রাস্তা ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    বুধবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কৃষিজমি, পাকা ও কাঁচা রাস্তায় হাঁটুপানি জমে আছে। শতাধিক সবজি খামার ও মাছের ঘের, পুকুর ডুবে গেছে।

    আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে, মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়েছে। গত ৪৮ ঘণ্টায় ভোলায় ভারী বৃষ্টি হয়েছে।

    চরফ্যাশন পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মো. রুবেল বলেন, 'আমার পুকুরের ৫০ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে। কিছুদিন আগে ছেড়েছিলাম। সারারাত বৃষ্টি হওয়ায় বহু মানুষের মাছের ঘের, পুকুর ডুবে গেছে।'

    আসলামপুর ইউনিয়নের কৃষক আলাউদ্দিন বলেন, 'আমি এক একর জমিতে আমন ধানের বীজ বুনেছি। চারাও গজিয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে জোয়ারের পানিতে ডুবছে। ভাটায় কিছুটা কমলেও বাতাসের চাপে পানি জমা থাকে। পানি না কমলে চারার গোড়ায় পচন ধরতে পারে।'

    মাদ্রাজ ইউনিয়নের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, 'টানা বৃষ্টিতে ইতোমধ্যে আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানির কারণে জমি চাষ দিতে পারিনি। আমার দেড় একর জমির বীজতলা পানির নিচে ডুবে আছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি এভাবে থাকলে বীজতলার ব্যাপক ক্ষতি হতে হবে।'

    ভোলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষক মনিরুল ইসলাম বলেন, এ মৌসুমে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ১২ জুলাই পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকতে পারে।

    উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, 'গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে কৃষি জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ৭ হাজার ৮০০ হেক্টর আউশধান পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। আমন ধানের বীজতলা ৮৭০ হেক্টর এবং ১ হাজার ১২০ হেক্টর জমির বর্ষাকালীন সবজি (খরিপ-২) আক্রান্ত হয়েছে। পানি নেমে গেলে পুরো ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা যাবে।'

    উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, 'মাছের ঘের ডুবে গেছে ১০৭টি, যার আয়তন ৪৩ দশমিক ৩১ হেক্টর। পুকুর ও দীঘি ২ হাজার ২০৫টি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, যার আয়তন ৮৯ দশমিক ২৭ হেক্টর। সাদা মাছ ১৯৬ দশমিক ৪৮ মেট্রিক টন, চিংড়ি ২ দশমিক ৩ মেট্রিক টন ভেসে গেছে। আনুমানিক ক্ষতি পরিমাণ ৭২৯ দশমিক ২২ লক্ষ টাকা।'

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    সর্বশেষ প্রকাশিত

    Loading…