এইমাত্র
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় আরও ২ জন আটক
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    জীবননগরের হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সবাই ফেল

    সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম
    সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

    জীবননগরের হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সবাই ফেল

    সালাউদ্দীন কাজল, জীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৩:৪০ পিএম

    ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বর যোগ না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ভোকেশনাল বিভাগ থেকে অংশ নেয়া ৬৩ জন পরীক্ষার্থী ফেল করেছে।

    বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের গাফলতিতে এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। এমন বিপর্যয়ে অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

    জানা গেছে, ২০২৫ সালে হাসাদহ বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬৩ শিক্ষার্থী ভোকেশনাল বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। বৃহস্পতিবার এসএসসি পরীক্ষার প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের টেড ইন্সট্রাকশন বিষয়ে ব্যবহারিক পরীক্ষায় সবাই অকৃতকার্য হয়েছে।

    বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা শুক্রবার সকালে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে সমস্যা সমাধানের জন্য মানববন্ধন করেন। তারা বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন।

    অর্ক নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘সব বিষয়ে ভালো নম্বর পেয়েছি, তবুও সবকিছু শেষ। কার কী দোষ আমি জানি না। ভালো পরীক্ষা দিয়েও কেন ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করেছি? কেন তা জানি না- এটা তদন্ত করে সমাধান করা হোক।’

    মিম নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ব্যবহারিকের নম্বর পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষকদের হাত দিয়েই দেয়া হয়। নম্বর মার্কশিটে যোগ না হওয়ায় সবাই ফেল করেছে। কেন এমনটা হলো, এজন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দায়ী। তারা ভালোভাবে মনিটরিং করলে এমনটি হতো না।’

    সিফাত নামে অপর এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা সকলেই আমাদের ব্যবহারিক খাতা সময় মতো বিদ্যালয়ে জমা দিয়েছি। এটার দায় সম্পূর্ণ শিক্ষকদের। তাদের ব্যর্থতার দায় আমরা কেন নেব? এটার তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।’

    ভোকেশনাল বিভাগের শিক্ষক তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা এখান থেকে শিক্ষার্থীদের নম্বর যথাসময় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়েছি। কিন্তু বোর্ড বলছে নম্বর পাননি, কারিগরি ত্রুটির কথা বলছেন তারা।’

    তিনি আরও বলেন, ‘বোর্ড থেকে বলা হয়েছে যে শিক্ষার্থীদের ফলাফল অকৃতকার্য এসেছে সেগুলো নিয়ে বোর্ডে যাওয়ার জন্য। যেহেতু অনলাইনে হয়নি তাই ২৫০০ টাকা জরিমানা দিয়ে ম্যানুয়্যালি নিয়ে যেতে হবে। আশা করি আগামী রোববার বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।’

    বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম বলেন, ‘কারিগরি ত্রুটির কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে। এজন্য ৬৩ পরীক্ষার্থী সমস্যায় পড়েছে। এ নিয়ে ঢাকা কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে আমরা কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।’

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…