এইমাত্র
  • সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত
  • দিল্লিতে ২৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হবে মেসির ফুসফুুসে!
  • গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিক আনোয়ার
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  • নেপালকে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ
  • বিএনপির প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • পিএসএলের কারণে পিছোতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
  • ৩০ বছর পর রোগীর পেট থেকে বের হলো লাইটার
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    মাদ্রাসাটিতে ১৪ জন শিক্ষক, তবুও চার শিক্ষার্থীর সবাই ফেল!

    মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম
    মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম

    মাদ্রাসাটিতে ১৪ জন শিক্ষক, তবুও চার শিক্ষার্থীর সবাই ফেল!

    মিজানুর রহমান, শেরপুর প্রতিনিধি প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ০৯:১৯ পিএম

    শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় কোনো পরীক্ষার্থী পাস করতে পারেনি। প্রতিষ্ঠানটির নাম 'তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা'।

    ১৯৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত মাদরাসাটিতে ১৪ জন শিক্ষক এবং ৩ জন স্টাফ রয়েছেন। এ বছর এই মাদরাসা থেকে ৪ জন শিক্ষার্থী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেও ৪ জনই ফেল করেছে।

    শেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের তথ্য মতে, এ বছর শেরপুর জেলায় মাধ্যমিক পাসের হার ৫৩ দশমিক ৭৪ শতাংশ। দাখিলে পাসের হার ৪৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। শেরপুর জেলার ১০৫টি দাখিল মাদরাসায় শিক্ষার্থী ছিল ৩ হাজার ৩৩ জন। এর মধ্যে পাস করেছে ১ হাজার ৫১৩ জন শিক্ষার্থী। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৫ জন শিক্ষার্থী। শুধুমাত্র একটা দাখিল মাদরাসায় ৪ জন শিক্ষার্থী ছিল। ওই চার শিক্ষার্থী পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

    'তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা'টি ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নে অবস্থিত। ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের ইউপি সদস্য রহমত বলেন, 'আমার বাড়ির পাশেই মাদরাসাটি। এখানে তেমন পড়াশোনা হয় না। কিছুদিন আগে জানতে পেরেছি এখানে নতুন ভবন হবে। ভবন হয়ে লাভ কী, যদি পড়াশোনাই না হয়।'

    মাদরাসার সুপার মোতালেব জানান, রেজাল্ট খারাপ হওয়ার বিষয়ে তার কিছুই জানা নেই। কেন খারাপ হয়েছে? গত বছর কেমন রেজাল্ট ছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'গত বছর রেজাল্ট খারাপ ছিল বা কেন খারাপ ছিল তা জানি না।' পড়াশোনা মান নিয়ে প্রশ্ন করা হলে ফোন কেটে দেন এবং ফোন বন্ধ করে দেন।

    'তাওয়াকুছা তিলাতারা ইসলামিয়া দাখিল মাদরাসা'র এডিট কমিটির সভাপতি এবং ঝিনাইগাতী উপজেলার নির্বাহী অফিসার মো. আশরাফুল আলম রাসেল জানান, '৫ আগস্টের পর পদাধিকারের বলে তিনি উপজেলার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সভাপতি। প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় এই প্রতিষ্ঠানে তেমন ক্লাস হয় না। এখন থেকে এই মাদরাসা বিষয়ে আমি নিয়মিত মনিটরিং করব এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে একটু আগে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নিয়মিত খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য।'

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…