এইমাত্র
  • সেভেন সিস্টার্সকে ভারত থেকে আলাদা করে দেবো: হাসনাত
  • দিল্লিতে ২৭টি সিগারেট খাওয়ার সমান ক্ষতি হবে মেসির ফুসফুুসে!
  • গালফ প্রো কার চ্যাম্পিয়ন হলেন অভিক আনোয়ার
  • সন্ত্রাসবিরোধী আইনে সাংবাদিক আনিস আলমগীরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে
  • নেপালকে হারিয়ে সেমির পথে বাংলাদেশ
  • বিএনপির প্রার্থী পুনঃবিবেচনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
  • পিএসএলের কারণে পিছোতে পারে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর
  • ৩০ বছর পর রোগীর পেট থেকে বের হলো লাইটার
  • বার্সেলোনাকে কিনতে ১০ বিলিয়ন ইউরো’র প্রস্তাব সৌদি যুবরাজের
  • বিজয় দিবসে যেসব সড়ক এড়িয়ে চলতে বলেছে ডিএমপি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    গোলাপগঞ্জে 'দেওয়ানের পুল' সেতু অনিশ্চয়তায়, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    মেহেদী হাসনাত, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৪১ পিএম
    মেহেদী হাসনাত, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৪১ পিএম

    গোলাপগঞ্জে 'দেওয়ানের পুল' সেতু অনিশ্চয়তায়, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

    মেহেদী হাসনাত, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ০২:৪১ পিএম

    গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষিপাশা ইউনিয়নে দেওয়ানের সড়কে 'দেওয়ানের পুল' নামে সেতুর জন্য দীর্ঘ ৩ বছর থেকেই দুর্ভোগে রয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ। দুই প্রতিষ্ঠানের ঠেলাঠেলিতে বন্ধ রয়েছে সেতুর কাজ। কখন কাজটি শুরু হতে পারে, কারো জানা নেই।

    গোলাপগঞ্জ, বিয়ানীবাজার ও বড়লেখা উপজেলার মানুষ এই লিংক রোড দিয়ে সহজে সিলেটে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতেন। কিন্তু গত ৩ বছর ধরে দেওয়ানের (পুল) সেতুর জন্য এই রোডের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। যাতায়াতের গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।

    জানা যায়, প্রায় ২০০ বছর আগে সিলেটের তৎকালীন দেওয়ানের (রাজস্ব কর্মকর্তা) নির্দেশে গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকা দক্ষিণ এলাকার শ্রীচৈতন্যদেবের বাড়িমুখী সড়কটি নির্মাণ করা হয়। এ সময় লক্ষ্মীপাশা ইউনিয়নের দেওরভাগা খালে একটি সেতুও নির্মাণ করা হয়। সেতুটিই 'দেওয়ানের পুল' নামে পরিচিত। ২০২২ সালে সড়কটি সংস্কার ও প্রশস্তকরণের জন্য উদ্যোগ নেয় এলজিইডি।

    এ সময় নতুন করে সেতু নির্মাণ করার জন্য পুরনো সেতুটি ভাঙার কাজ শুরু হলে ভেঙে নতুন সেতু নির্মাণ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। সেতুটি অনেকটা ভেঙে ফেলার পর ঐতিহাসিক স্থাপত্য হিসেবে রক্ষার জন্য দাবি ওঠে। পরে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের একটি দল পরিদর্শন করে গেলেও সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তিন বছর ধরে ভাঙা অবস্থায় পড়ে রয়েছে সেতুটি। দেখার যেন কেউ নেই। এতে করে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এই এলাকার বাসিন্দাদের।

    স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘ ৩ বছর থেকে পুলটি (ব্রীজ) ভাঙার কারণে পুলটির দু'দিকের রাস্তায় খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। গাড়ি চলাচল না করার কারণে সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষক, ব্যবসায়ী, গ্রামবাসী পায়ে হেঁটে অনেক কষ্ট করে যাতায়াত করছেন।

    স্থানীয় সিএনজি অটোরিকশা চালক ইমরান আহমদ জানান, আমরা গাড়ি নিয়ে খুব সহজেই এই রাস্তা দিয়ে গোলাপগঞ্জ, ঢাকাদক্ষিণ, বিয়ানীবাজার, বড়লেখা ও সিলেটে যেতে পারতাম। পুলটি ভেঙে ফেলায় এখন এই রাস্তা দিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

    স্থানীয় বাসিন্দা বাবর জোয়ারদার বলেন, এই পুলটি দিয়ে লক্ষিপাশা, ফুলবাড়ি, ঢাকাদক্ষিণসহ বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করেন। এর পাশাপাশি কয়েকটি উপজেলার সাথেও এটি লিংক সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছিল। জনগুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তাটি একটি পুলের জন্য আজ বন্ধ।

    আমরা অনেক কষ্টে রাস্তা দিয়ে চলাচল করছি। দুটি দপ্তরের টানাটানিতে এটি সংস্কার হচ্ছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যাতে এই সমস্যার সমাধান করেন, এর জোর দাবি জানাচ্ছি। অন্যথায় এই এলাকার মানুষ আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবে।

    এ ব্যাপারে সিলেট এলজিইডি বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ইনামুল কবির বলেন, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর থেকে পুলটি (সেতু) ঐতিহাসিক পুরাকীর্তি বলে বাধা আসায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পুরো কাজের টেন্ডারও বাতিল হয়ে যায়। এখন এটা আমাদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। এটা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর দেখবে।

    এদিকে সেতুটি সংস্কার বা পুনর্নির্মাণে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে কিনা বা কবে হবে, এর সদুত্তর দিতে পারেনি প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের ফিল্ড অফিসার সাইদ ইনাম তানফিরুল বলেন, এটা প্রথমে সংরক্ষিত পুরাকীর্তি ঘোষণা করা হবে। তারপর এটা কীভাবে সংস্কার করা যায়, তা বিবেচনা করা হবে।

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…