এইমাত্র
  • হাদিকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হচ্ছে সোমবার
  • সোমবার হাদিকে থাইল্যান্ডে নিতে চায় তার পরিবার
  • আবারও রাজধানীতে বাসে আগুন
  • প্রধান উপদেষ্টাকে ফোন করে শোক জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব
  • সেই ফয়সালের সই করা বিপুল চেকসহ আটক ৩
  • সাংবাদিক আনিস আলমগীর ডিবি হেফাজতে
  • কুড়িগ্রামের দুই সেনাসদস্য সুদানে শহিদ, ‘নীরব হওয়ার’ শেষ বার্তা শান্তর
  • বুদ্ধিজীবীদের স্মরণে সাকিব-লিটনের পোস্ট
  • ছোট পুঁজি নিয়েও পাকিস্তানকে হেসে-খেলে হারাল ভারত
  • সুদানে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত শামীমের বাড়িতে শোকের মাতম
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    দেশজুড়ে

    ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিভে গেলো গাজীপুরের ছোট্ট সায়মার

    রাসেল শেখ, গাজীপুর সদর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম
    রাসেল শেখ, গাজীপুর সদর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

    ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন নিভে গেলো গাজীপুরের ছোট্ট সায়মার

    রাসেল শেখ, গাজীপুর সদর প্রতিনিধি প্রকাশ: ২২ জুলাই ২০২৫, ০৭:৪০ পিএম

    রাজধানী উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী সায়মা আক্তারের গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে চলছে শোকের মাতম। অধিক শোকে পাথরের মতো স্থির হয়ে ক্ষীণস্বরে কাতরাচ্ছে মা রিনা বেগম।

    নিহত শিশু শিক্ষার্থী হলো গাজীপুরের সিটি কর্পোরেশনের বির্প্লবর্তা গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে সায়মা আক্তার (৯)।

    তার একমাত্র বড় ভাই সাব্বির হোসেন এবার মাইলস্টোন স্কুল থেকেই এসএসসি পাশ করেছে। নিহত সায়মার কবর খোঁড়া হয়েছে বাড়ির আঙিনাতেই। মঙ্গলবার (২২ জুলাই) সকাল ১১ টায় জানাজা নামাজ শেষে মরদেহ রাখা হয়েছে বাড়ির উঠোনে। বড় ভাই সাব্বিরের বোন হারানোর আর্তনাতে ভারী হয়ে উঠেছে আশপাশের পরিবেশ। বাবা দূর কবরস্থানের সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। শোকে কাতর মায়ের পাশে গ্রামের মহিলারা বসে রয়েছে। সবার চোখের পানিতে পরিবেশটা ভারী হয়ে উঠেছে।

    নিহতের বাবা শাহ আলম জানান, 'আমার বন্ধু ফোন করে জানায় স্কুলে বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এরপর আমরা সারারাত খোঁজাখুঁজি করেও পাইনি। রাত ৮ টার পর জানতে পারি সিএমএসে মরদেহ রয়েছে। পরে আমার সন্তান নিয়ে লাশ নিয়ে এসেছে। গতরাতেও মেয়ে আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়েছিল। কতবার চুমো দিয়েছে রাতে তার হিসাব নেই। এরপর আর মায়ের সঙ্গে কথা হয়নি। আমার মা আর আমাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমাবে না। এই কষ্ট কিভাবে সইবো।'

    সায়মার মা রিনা বেগম বলেন, 'ছোট্ট সায়মার স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবে, মানুষের সেবা করবে। কিন্তু এক বিভীষিকাময় দুর্ঘটনায় থেমে গেলো সেই স্বপ্নপথ। প্রতিদিন আমার মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যেতাম। গতকাল আমার এক ভাই স্কুলে নিয়ে যায়। পরে ফেসবুকে জানতে পারি স্কুলে বিমান দুর্ঘটনা হয়েছে। আমার মা স্কুলে যাওয়ার আগে বলে গেলো, মা স্কুলে গেলাম, টা টা। এরপর আর মার সঙ্গে কথা হয়নি।'

    এসআর

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…