এইমাত্র
  • বকশীগঞ্জের এক স্কুলেরই ৬৬ ছাত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা
  • নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নারায়ণগঞ্জে নিরাপত্তা জোরদার
  • যমুনায় জেগে উঠেছে অসংখ্য ডুবোচর, নৌ চলাচল ব্যাহত
  • সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে এভারকেয়ার ছাড়লেন হাদি
  • আগামীকাল সাময়িক বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল
  • হাদি গুলিবিদ্ধের ঘটনায় গুজবে সয়লাব ফেসবুক : ফ্যাক্টওয়াচ
  • কওমী মাদ্রাসার বোর্ড পরীক্ষার সময়সূচি এগিয়ে আনা হয়েছে
  • কলম্বিয়ায় স্কুলবাস খাদে পড়ে নিহত ১৭
  • হাদির ওপর হামলায় নির্বাচনে প্রভাব পড়বে না: সিইসি
  • হাদিকে গুলি করা অভিযুক্ত মাসুদের ভারতে গিয়ে সেলফি
  • আজ সোমবার, ১ পৌষ, ১৪৩২ | ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫
    শিক্ষাঙ্গন

    হাবিপ্রবিতে বিশেষ নৈশভোজ ঘিরে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম
    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

    হাবিপ্রবিতে বিশেষ নৈশভোজ ঘিরে অব্যবস্থাপনার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

    তালহা হাসান, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি প্রকাশ: ৬ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৪৩ পিএম

    হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের জন্য আয়োজন করা হয় বিশেষ নৈশভোজের। তবে এ নৈশভোজ ঘিরে নানারকম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলেছেন কয়েকটি হলের শিক্ষার্থীরা।

    জানা যায়, বিশেষ এ নৈশভোজে খাবারের আয়োজনের মধ্যে ছিল পোলাও, ডিম, ডাল, মুরগির রোস্ট, খাসির মাংস এবং কোমল পাণীয়ের ব্যবস্থা। এজন্য প্রতি শিক্ষার্থীর থেকে নেয়া হয়েছে ৮০ টাকা করে। তবে খাবার পরিবেশনে টোকেন দিতে চরম অব্যবস্থাপনার অভিযোগ ওঠে বেগম রোকেয়া হলের মেয়েদের পক্ষ থেকে। এক পর্যায়ে ক্ষুব্ধ হয়ে 'টোকেন কই, খাবার কই' স্লোগান দিতেও দেখা যায় রোকেয়া হলের ছাত্রীদের। পরে উপস্থিত স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিয়ে খাবার বিতরণ শুরু করা হয়।

    এদিকে, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলে খাবার বিতরণ নিয়ে অভিযোগ ওঠে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। জানা যায়, প্রায় দুই শতাধিক ছাত্র তাদের প্যাকেটে খাসির মাংস পায়নি। এসময় তিনটি খাসি জবাই না করে হলের মধ্যেই রেখে দেয়ার অভিযোগও ওঠে। পরে সরেজমিনে গিয়ে এ অভিযোগের সত্যতাও পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ভেটেরিনারি অনুষদের ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী জুবাইয়র আল ফুয়াদ বলেন, ২০০ এর অধিক শিক্ষার্থীর খাসির রেজালা না পাওয়ার অপ্রত্যাশিত এই ঘটনা শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত বিব্রতকর। বিশেষ করে যেসব জুনিয়র ছেলেরা এইবার প্রথম হল ফেস্ট খাচ্ছে তারা যে উৎসাহ, উদ্দীপনা নিয়ে হল ফেস্টের জন্য এসেছিল, তারা অনেকে বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ক্যাম্পাসের প্রথম হল ফেস্টের অংশীদার হলো।

    তিনি আরো বলেন, এর আগে ১৬ ডিসেম্বর হল ফেস্টের সময়ও জিয়া হলে খাবার সংকট ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা গিয়েছিল। বারবার এমন অব্যবস্থাপনার ঘটনা হল প্রশাসনের অদক্ষতারই প্রমাণ বহন করে। হল প্রশাসনের এমন অব্যবস্থাপনায় জিয়া হলের একজন আবাসিক শিক্ষার্থী হিসেবে আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি হল প্রশাসনের এমন অব্যবস্থাপনার কারণ এবং এখনও তিনটি ছাগল কোন কারণে, কেনো জীবিত রাখা হলো, এর ব্যাখ্যা হলের সকল শিক্ষার্থীদের কাছে দেয়ার আহবান রইলো।

    এ বিষয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হলের হল সুপার অধ্যাপক ড. আবুল খায়ের মো. মুক্তাদিরুল বারী চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ইতোমধ্যেই আমি বঞ্চিতদের লিস্ট করেছি, তাদের জন্য বাকি খাসি জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছি। তাদের খাসির মাংস ডাল ভাত খাওয়াবো। আমাদের গণনা অনুযায়ী ৩টি খাসি ছাড়াই হয়ে যাওয়ার কথা। তাই খাসি তিনটা জবাই করি নাই, অপচয় হতে পারে ভেবে। এর জন্য আবারো দুঃখ প্রকাশ করছি। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি আয়োজন সফল করার।

    এ আয়োজনের সামগ্রিক বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে নাসিম আহমেদ নামের এক শিক্ষার্থী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লিখেন, 'সময় অনেক আগায় গেছে। বাইরের দুনিয়া তো আরো বেশি। আপনাদের আরেকটু আপডেটেড হওয়া উচিত। এত অব্যবস্থাপনা আপনাদের কাছ থেকে কাম্য নয়। হল ফেস্টের টোকেনের জন্য একবার লাইনে দাঁড়াতে হয়, আর একবার খাবারের জন্য যুদ্ধ করতে হয়। আপনারা তো ফ্রি ত্রাণ বিতরণ করতেছেন না, ব্যবস্থাপনা ২০২৫ সালের মত হওয়া উচিত।'

    ক্ষোভ প্রকাশ করে সৃষ্টি সারাহ বর্মন নামে আরেক শিক্ষার্থী লিখেন, 'হল ফেস্টে পরপর ২০২২ আর ২০২৪ এর বিজয় দিবস উপলক্ষে খাবার রান্না, পরিবেশন, ব্যবস্থাপনা খুব ভালো ছিল। তবে এবারেরটা নিয়ে এক্সপেকটেশন ছিলো অনেক বেশি। তবে খাবার খেয়ে আমি বুঝলাম না, এটা আমি আসলে কার চল্লিশার খাবার খেলাম। খাবার গন্ধ হয়ে গেছে সব, কারণ রান্না করেছে গত রাত থেকে হয়তো। খাবার বেশিরভাগ ডাস্টবিনে ফেলায় দিলাম, কষ্ট লাগতেছে কিছু করার নাই।'

    আয়োজনে অব্যবস্থাপনার বিষয়ে হল সুপার কাউন্সিলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আবু সাঈদ মন্ডলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এখনো সঠিকভাবে জানিনা। দুই একটা বিচ্ছিন্ন অব্যবস্থাপনার ঘটনা ঘটতে পারে তবে তা সব হলে না। অল্প সময়ে, সীমাবদ্ধতার মধ্যে আয়োজন করায় কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে। যেমন জিয়া হল বড় ও শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হওয়ায় সেখানে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে শুনেছি।'

    এনআই

    সম্পর্কিত:

    সম্পর্কিত তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়নি

    Loading…